আমি অর্ধেক মরে বেঁচে আছি: শ্রীলেখা
Published: 26th, September 2025 GMT
ভারতীয় বাংলা সিনেমার আলোচিত অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। ‘ডোন্ট কেয়ার’—স্বভাবের কারণে বরাবরই আলোচনায় থাকেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় সোজাসাপটা মন্তব্য করে প্রায়ই বিতর্কে জড়ান এই অভিনেত্রী।
সমকালীন নানা বিষয় নিয়ে নিজের মতামত ব্যক্ত করেন শ্রীলেখা। পাশাপাশি ব্যক্তিগত ভালো লাগা-মন্দ লাগা নিয়েও কথা বলতে দেখা যায় তাকে। এসব অনুভূতি প্রকাশ করতে ফেসবুককে বেছে নেন এই অভিনেত্রী।
আরো পড়ুন:
ফেরদৌসের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন, মুখ খুললেন শ্রীলেখা
প্রেমে পড়লেও বিয়ে করতে চাই না: শ্রীলেখা
২৫ সেপ্টেম্বর শ্রীলেখার বাবার মৃত্যুবার্ষিকী ছিল। কিন্তু অজানা কারণে দিনটির কথা বেমালুম ভুলে যান এই অভিনেত্রী। তা নিয়ে আফসোসের শেষ নেই তার। সোশ্যাল মিডিয়ায় শ্রীলেখা তার বাবার একটি ছবি পোস্ট করে সে কথাই জানিয়েছেন।
শ্রীলেখা লেখেন, “গতকাল যে ২৫ সেপ্টেম্বর ছিল, তা সারাদিন একবারও মনে পড়ল না। ২৫ সেপ্টেম্বর যে বাবা চলে গেছিল সেটাও ভুলিনি। অথচ কাল যে ২৫ সেপ্টেম্বর একটাবারের জন্যও মনে পড়ল না? ভাই সৌমিক ছবি পাঠাতে মনে পড়ল।”
বাবাকে হারানোর পর অর্ধেক মরে গেছেন শ্রীলেখা। এ কথা উল্লেখ করে এই অভিনেত্রী লেখেন, “কী হয়েছে আমার জানি না। ভালো লাগছে না। বাবা, সরি। আমি ভুলিনি তোমায়, কোনো দিনই এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাব না। আমি অর্ধেক মরে বেঁচে আছি, তোমার চলে যাবার পর…।”
শ্রীলেখার বাবার নাম সন্তোষ মিত্র। ২০২১ সালে মারা যান তিনি। তার কয়েক বছর আগে মাকে হারিয়েছেন শ্রীলেখা। মা চলে যাওয়ার পর বাবাকে আগলে রাখতেন তিনি। বাবার সঙ্গে বন্ধুর মতো সম্পর্ক ছিল তার।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্বের যেকোনো আদালতের মানদণ্ডে এই সাক্ষ্যপ্রমাণগুলো উতরে যাবে: চিফ প্রসিকিউটর
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলায় শেখ হাসিনাসহ আসামিদের যে সাজা দেওয়া হয়েছে, পৃথিবীর যেকোনো আদালতে এই সাক্ষ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করলে একই শাস্তি পাবেন।
আজ সোমবার দুপুরে রায় ঘোষণার পর এক সংবাদ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এ কথা বলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘যে ধরনের সাক্ষ্যপ্রমাণ এই আদালতে উপস্থাপিত হয়েছে, বিশ্বের যেকোনো আদালতের স্ট্যান্ডার্ডে এই সাক্ষ্যপ্রমাণগুলো উতরে যাবে এবং পৃথিবীর যেকোনো আদালতে এই সাক্ষ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করা হলে আজ যেসব আসামিকে শাস্তি প্রদান করা হয়েছে, তাঁরা প্রত্যেকেই একই শাস্তি প্রাপ্ত হবেন।’
মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশ সব আন্তর্জাতিক নর্মস, আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড মেইনটেইন করে ক্রাইমস এগেন্স হিউম্যানিটির মতো কমপ্লেক্স (মানবতাবিরোধী অপরাধের মতো জটিল) অপরাধের বিচার করতে সক্ষম এবং বাংলাদেশ সাফল্যের সঙ্গে সেটা করেছে।’ তিনি বলেন, ‘অপরাধী যতই ক্ষমতাশালী হোক, সে আইনের ঊর্ধ্বে নয়। বাংলাদেশ এমন একটি রাষ্ট্র, যেখানে যত বড় অপরাধীই হোক, তার অপরাধের জন্য তাকে জবাবদিহির মুখোমুখি হতে হবে এবং তার প্রাপ্য শাস্তি পেতে হবে।’
তাজুল ইসলাম আরও বলেন, এই রায়ের প্রক্রিয়া সমাপ্ত হওয়ার মাধ্যমে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের সমাপ্তি হয়েছে। যদিও আরও অনেকগুলো মামলা বিচারাধীন রয়েছে। তিনি বলেন, ‘শহীদ পরিবার, যাদের ক্ষতি কোনো কিছু দিয়ে পূরণ হবে না, তাদের সামনে অন্তত একটা ন্যায়বিচারের দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পেরেছি। এ জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।’