শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) র‍্যাগিংয়ের দায়ে ২৫ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর মধ্যে এক শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার এবং আরো ২৪ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করেছে প্রশাসন।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩৭তম সিন্ডিকেট সভায় প্রক্টরিয়াল বডির তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

অর্থনীতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ফাহিম মুনতাসিরকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। একই বিভাগের শিক্ষার্থী জুনায়েদ মুস্তাফিজ অয়নকে ৪ সেমিস্টার এবং শরিফুজ্জামান খান আতিফ, সাবিদ আবরার তাজিম, অনিক আহমেদ, প্রীতম সাহা, সুয়েল রানা, যুবায়ের হোসেন তালুকদার জিম, মো.

নাঈম মিয়া, বিকাশ চন্দ্র ধর ও মিঞা মোহাম্মদ সায়্যদুল বাশার রিফাতকে ২ সেমিস্টার বহিষ্কার করা হয়েছে।

গত বছরের ২৭ নভেম্বর শহীদ মিনারে জুনিয়র শিক্ষার্থীদের র‍্যাগিংয়ের ঘটনায় পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী কাজী তাসমিয়া হক আরিশাকে ৪ সেমিস্টার বহিষ্কার করা হয়েছে। একই ঘটনায় জড়িত ফারজানা মেহেরুন নুহা, তাসমিল্লাহ আলম মাইশা, লামিয়া ইসলাম জুঁই ও শ্রাবণী দে প্রীয়ার আবাসিক হলের আসন আজীবনের জন্য বাতিল করা হয়েছে।

এছাড়া, ২০২৪ সালের ১৪ নভেম্বর মেইন গেট সংলগ্ন একটি বাসায় র‍্যাগিংয়ের ঘটনায় সরাসরি নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. সাগর হোসেন ও সাখাওয়াত হোসেনকে ২ সেমিস্টার বহিষ্কার করা হয়েছে। একই বিভাগের শিবরাজ ত্রিপুরা, জুবায়ের আব্দুল্লাহ, রিয়াদুস সালেহীন রিয়ান, তন্ময় কর্মকার সাগর, ইয়াজউদ্দিন পাটোয়ারী ও নাফিস ইমতিয়াজ রুহানকে আবাসিক হল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতে হলে সিট বরাদ্দ না দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোখলেসুর রহমান  গণমাধ্যমকে বলেন, “র‌্যাগিংয়ের বিষয়ে আমাদের নীতি জিরো টলারেন্স। নবীন শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে এসে র‌্যাগিংয়ের ফলে মানসিকভাবে ট্রমাটাইজ হয়ে যায়। এতে অনেকে অ্যাকাডেমিক জায়গা থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়ে।

তিনি আরো বলেন, “এ র‌্যাগিংয়ের ঘটনা অনেক আগের। তদন্ত সাপেক্ষে র‌্যাগ দেওয়া শিক্ষার্থীদের বিচারের আওতায় আনতে আমরা প্রক্টরিয়াল বডি থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সুপারিশ করি।” 

ঢাকা/ইকবাল/ইভা  

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব শ বব দ য

এছাড়াও পড়ুন:

নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, নারী নিহত

ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মাদারীপুরের রাজৈরে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের খাদে পড়ে এক নারী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। শুক্রবার (৩ অক্টোবর) মধ্যরাতে রাজৈর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দুর্ঘটনার শিকার হন তারা। 

নিহত নিলুফা ইয়াসমিন নিলা (৩০) বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার রুনসী গ্রামের আবুল বাসারের স্ত্রী।

আরো পড়ুন:

গাজীপুরে ডাম্পট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত

অটোরিকশায় ট্রেনের ধাক্কা, মা-মেয়ে নিহত

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুয়াকাটা থেকে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল চন্দ্রা পরিবহনের বাসটি। ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের রাজৈর বাসস্ট্যান্ড পার হওয়ার পর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি সড়কের পাশের খাদে পড়ে যায়।  পরে হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে নিলার মরদেহ উদ্ধার করে। আহত হন অন্তত ২০ জন। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

মাদারীপুরের মস্তফাপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, বাস খাদে পড়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করা হয়। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। একজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। নিহত নারীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা/বেলাল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ