আধিপত্য বিস্তার, লবণমাঠ ও চিংড়ির ঘের দখল নিয়ে চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে স্থানীয় বাসিন্দাদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ছররা গুলিতে দুই কিশোরসহ চারজন আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা থেকে রাত সাড়ে নয়টা পর্যন্ত উপজেলার পশ্চিম সরল এলাকায় দফা দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষে দুই কিশোর ছাড়া আহত অপর দুজন হলেন আবু তাহের (৫৫) ও মো.

রুবেল (২১)। আহত ব্যক্তিরা কে, কোন পক্ষের তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। রাতে আহত চারজনকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় চারজনকেই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

স্থানীয় বাসিন্দারা ও পুলিশ জানায়, সংঘর্ষে জড়ানো দুই পক্ষের একটি নেতৃত্বে রয়েছেন আবুল মনসুর ও অন্যটির কবির আহমদ। এ দুই পক্ষ ‘মনসুর গ্রুপ’ ও ‘কবির গ্রুপ’ নামে এলাকায় পরিচিত। আধিপত্য বিস্তার ও দখল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আগেও বেশ কয়েকবার সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সন্ধ্যায়ও এ দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

জানতে চাইলে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক সৌরভ দেব বলেন, রাত সাড়ে নয়টার দিকে আহত চারজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। পরে তাঁদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সকালে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তারের পাশাপাশি সরকারি খাসজমিতে চিংড়ির ঘের করা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে প্রায়ই মারামারির ঘটনা ঘটে। সোমবার রাতেও এ নিয়ে দুই পক্ষের লোকজন মারামারিতে জড়ালে কয়েকজন আহত হন। পরে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। এখনো এ ঘটনায় কোনো পক্ষ অভিযোগ করেনি।’

আরও পড়ুন‘আপনারা দেখেন, ওরা আমাদের গুলি করতেসে’২২ এপ্রিল ২০২৫

বাঁশখালীতে লবণমাঠ ও চিংড়ির ঘের দখল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা এবারই প্রথম নয়। এর আগে চলতি বছর ২২ এপ্রিল দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। আবার ২৭ জুলাই এ দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। এতে তিনজন আহত হন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ঘর ষ র ঘটন দখল ন য় উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

ফরিদপুরে ওসির অপসারণে মানববন্ধনের প্রস্তুতিকালে বিএনপির চার নেতা গ্রেপ্তার

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় বিএনপির ছয় নেতার বিরুদ্ধে মামলা ও থানার ওসির অপসারণ চেয়ে মানববন্ধন আয়োজনের প্রস্তুতির সময় এজাহারভুক্ত তিন নেতাসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে উপজেলার কলেজ রোডের চুয়াল্লিশের মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ব্যানার পৌঁছানোর আগে পুলিশ এসে চারজনকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়। অন্যান্য নেতা-কর্মী পুলিশ দেখে পালিয়ে যান।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খোশবুর রহমান ওরফে খোকন, উপজেলা যুবদলের কর্মী রমজান মোল্লা, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আরব আলী ও অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে আলফাডাঙ্গা পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম।

আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজালাল আলম বলেন, গত শুক্রবার রাতে হামলার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। আজকের মানববন্ধন চলাকালে এজাহারভুক্ত তিন আসামিসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের আজই আদালতে সোপর্দ করা হবে।

মামলা করেছেন বোয়ালমারীর রূপপাত ইউনিয়নের সাবেক ছাত্রদল নেতা বনি আমিন। অভিযোগে বলা হয়েছে, খোশবুর রহমানের গ্রুপ তাঁকে ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য এ কে এম উজ্জ্বল হোসেনের ওপর হামলা চালিয়েছে। মামলায় ছয়জনকে এজাহারভুক্ত করা হয়েছে এবং ৩০ থেকে ৩৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

উপজেলা বিএনপি বর্তমানে দুই ভাগে বিভক্ত। এক অংশের নেতৃত্ব দেন কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহসভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম, অপর অংশের নেতৃত্ব দেন বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক শামসুদ্দিন মিয়া ওরফে ঝুনু। শামসুদ্দিন মিয়ার পক্ষে আলফাডাঙ্গায় নেতৃত্ব দেন খোশবুর রহমান।

সম্প্রতি খোশবুর রহমানের বিরুদ্ধে ফেসবুকে আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে আগে তোলা বিভিন্ন ছবি দিয়ে পোস্ট করে নাসিরুলের গ্রুপের লোকজন। এই বিষয়কে কেন্দ্র করে নাসিরুল গ্রুপের বোয়ালমারী উপজেলা সাবেক ছাত্রদল নেতা বনি আমিনের ওপর শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে আলফাডাঙ্গা সদর বাজারে খোশবুর রহমানের গ্রুপের লোকজন হামলা চালায়। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে নাসিরুলের আরেক সমর্থক উপজেলা বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য একেএম উজ্জ্বলের ওপর হামলা চালায়। এতে তারা আহত হন। এ ঘটনায় করা অভিযোগটি শুক্রবার রাতেই থানায় মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কুরআন অবমাননার প্রতিবাদে কুবিতে বিক্ষোভ
  • ফরিদপুরে ওসির অপসারণে মানববন্ধনের প্রস্তুতিকালে বিএনপির চার নেতা গ্রেপ্তার