নেত্রকোনায় ফাঁদে আটকা বিপন্ন গন্ধগোকুল, পরে বনে অবমুক্ত
Published: 7th, October 2025 GMT
নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার মনসুরপুর গ্রামে রুমান মিয়া নামের এক খামারির পাতা ফাঁদে বিপন্ন প্রজাতির একটি গন্ধগোকুল আটকা পড়ে। পরে বন বিভাগের কর্মীরা প্রাণীটিকে উদ্ধার করে অক্ষত অবস্থায় বনে অবমুক্ত করেন।
বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, আজ মঙ্গলবার ভোরে স্থানীয় একটি বনে প্রাণীটি অবমুক্ত করা হয়। এর আগে গতকাল সোমবার ভোরে রুমান মিয়ার হাঁসের খামারের পাশে লোহার ফাঁদে গন্ধগোকুলটি ধরা পড়ে।
এলাকাবাসী ও খামারির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কয়েক মাস ধরে রুমান মিয়ার খামারে রাতে হাঁস খাওয়ার ঘটনা ঘটছিল। পরে তিনি বাজার থেকে একটি লোহার খাঁচা এনে ফাঁদ তৈরি করেন। গত রোববার রাতে ফাঁদে একটি হাঁস রেখে খামারের পাশে সেটি রাখা হয়। পরদিন ভোরে প্রতিবেশী এক ব্যক্তি ফাঁদে বড়সড় একটি প্রাণী আটকা দেখতে পান।
রুমান মিয়া বলেন, ‘হয়তো গভীর রাতে খাবারের সন্ধানে বেরিয়ে লোহার খাঁচায় আটকা পড়েছে প্রাণীটি। বড় বিড়াল আকৃতির প্রাণীটি দেখে প্রথমে ভয় পেয়ে যাই। এলাকাবাসী প্রাণীটি মেরে ফেলতে চাইছিল, কিন্তু আমি তাতে বাধা দিই।’ পরে বন বিভাগের লোকজন এসে প্রাণীটি উদ্ধার করে নিয়ে যায় বলে তিনি জানান।
স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী রুকনুজ্জামান বলেন, গন্ধগোকুলটি আকারে বেশ বড়। শরীরের দাগ দেখে স্থানীয় লোকজন একে বাগডাশ বলে। নিশাচর প্রাণী হওয়ায় ধারণা করা হচ্ছে, রাতে খাদ্যের সন্ধানে বেরিয়ে এটি ফাঁদে আটকে যায়। অক্ষত অবস্থায় প্রাণীটি উদ্ধার করা হয়েছে।
নেত্রকোনার বন্য প্রাণী গবেষক অধ্যাপক মো.
অধ্যাপক মো. নুরুল বাসেত জানান, গন্ধগোকুল একটি বিপন্ন প্রজাতির প্রাণী। ২০০৮ সালে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন) প্রাণীটিকে ‘বিপন্ন’ তালিকাভুক্ত করে। বাংলাদেশে ২০১২ সালের বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-১ অনুযায়ীও এটি সংরক্ষিত প্রাণী। বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ভুটান, মিয়ানমার ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে এই প্রজাতি পাওয়া যায়।
নেত্রকোনার বন বিভাগের সহকারী বনসংরক্ষক এ এফ জি মোস্তফা বলেন, ‘গণমাধ্যমকর্মীদের মাধ্যমে খবর পেয়ে আমরা লোক পাঠিয়ে প্রাণীটি উদ্ধার করি। গন্ধগোকুলটি সুস্থ থাকায় মঙ্গলবার ভোরে সেটিকে বনে অবমুক্ত করা হয়েছে।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: বন ব ভ গ র ন ত রক ন অবম ক ত ক ত কর
এছাড়াও পড়ুন:
ব্যানার টানানো নিয়ে তিতুমীর কলেজে ছাত্রদল-শিবিরের সংঘর্ষে আহত তিন
রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজে ব্যানার টানানোকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল ও শিবিরের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত তিন শিক্ষার্থী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতদের একজন কলেজের গণমাধ্যমকর্মী। পুলিশ এসব খবর জানিয়েছে। তবে আহতদের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, তিতুমীর কলেজ শাখা ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে নবীন শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়ে ব্যানার টানাচ্ছিলেন। কলেজের প্রধান ফটকে ব্যানার টানানোর সময় ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা তাঁদের বাধা দেন। এতে করে বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে তা সংঘর্ষে গড়ায়। সংঘর্ষের ভিডিও ধারণ করতে থাকা কলেজের গণমাধ্যমকর্মীরাও হামলার শিকার হন।
সংঘর্ষের বিষয়ে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল সারোয়ার প্রথম আলোকে বলেন, ব্যানার টানানোকে কেন্দ্র করে তিতুমীর কলেজ ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির এর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেখানে রাতেও পুলিশ মোতায়েন থাকবে।