‘জেমস বন্ড’খ্যাত হলিউড পরিচালক লি তামাহরি মারা গেছেন। গত ৭ নভেম্বর নিউ জিল্যান্ডের বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই তারকা পরিচালক। তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।  

নিউ জিল্যান্ডের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আরএনজেড-কে পাঠানো একটি বিবৃতিতে লি তামাহরির মৃত্যুর খবর জানিয়েছে তার পরিবার। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ৭ নভেম্বর মারা গেছেন লি তামাহরি। এসময় পরিবারের সদস্যরা তার পাশেই ছিলেন। পারকিনসন রোগে ভুগছিলেন লি। 

আরো পড়ুন:

অস্কার মনোনীত অভিনেত্রী ডায়ান মারা গেছেন

হলিউডে সৃজিতের নয়া মিশন

এ বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, “কারিশম্যাটিক লিডার ও অদম্য সৃজনশীল আত্মা লি, পর্দা ও পর্দার পেছনে মাওরিদের তুলে ধরেছেন। আমরা অসাধারণ একজন সৃজনশীল মানুষকে হারিয়েছি।” 

১৯৫০ সালে নিউ জিল্যান্ডের ওয়েলিংটনে জন্মগ্রহণ করেন তামাহরি। তার পিতা মাওরি বংশোদ্ভুত এবং মাতা ব্রিটিশ বংশোদ্ভুত। লি তামাহরি পরিচালিত প্রথম সিনেমা ‘ওয়ান্স ওয়ার ওয়ারিয়র্স’। এটি ১৯৯৪ সালে মুক্তি পায়। এটি মাওরিদের জীবনের নির্মম চিত্র। মুক্তির পর এটি নিউ জিল্যান্ডের সিনেমায় মাইলফলক হয়ে দাঁড়ায়। চলচ্চিত্রজগতে লি তামাহরিকে উজ্জ্বল ও নতুন কণ্ঠ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে। 

এরপর হলিউডে কাজের প্রস্তাব পান লি তামাহরি। ১৯৯৭ সালে সার্ভাইভাল থ্রিলার ঘরানার ‘দ্য এজ’ সিনেমা নির্মাণ করেন। এতে অভিনয় করেন অ্যান্থনি হপকিনস ও অ্যালেক বল্ডউইন। ২০০১ সালে নির্মাণ করেন ‘অ্যালং কেইম আ স্পাইডার’ সিনেমা। লি তার সবচেয়ে বড় প্রকল্প হাতে নেন ২০০২ সালে। জেমস বন্ড সিরিজের এই সিনেমার নাম ‘ডাই অ্যানাদার ডে’। এটি মুক্তির পর বিশ্বব্যাপী নজরকাড়েন এই নির্মাতা। এতে জেমস বন্ড চরিত্রে অভিনয় করেন পিয়ার্স ব্রসনান। আলোচিত ‘বন্ড’ সিরিজে এটিই পিয়ার্সের শেষ সিনেমা।  

পরবর্তী সময়ে ‘এক্সএক্সএক্স: স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন’, ‘নেক্সট’, ‘দ্য ডেভিল’স ডাবল’ নির্মাণ করলেও তেমন সাড়া ফেলতে পারেনি; বক্স অফিসেও পারফরম্যান্স তেমন ভালো ছিল না। এরপর কিছুটা বিরতি নিয়ে নিজ দেশ নিউ জিল্যান্ডে ফিরেন লি। ২০১৬ সালে আবারো চলচ্চিত্র নির্মাণ শুরু করেন। নির্মাণ করেন—‘মাহানা’, ‘দ্য কনভার্ট’। এ দুটো সিনেমা এই নির্মাতার শেষ দিকের কাজ।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র ন র ম ণ কর পর চ ল ণ কর ন

এছাড়াও পড়ুন:

রাশিয়া থেকে প্রথমবার পণ্যবাহী ট্রেন পৌঁছেছে ইরানের বন্দরে

রাশিয়া থেকে যাত্রা করা একটি পণ্যবাহী ট্রেন গতকাল শনিবার ইরানের আপরিন ড্রাই বন্দরে পৌঁছেছে। এর মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো রাশিয়া থেকে কোনো পণ্যবাহী ট্রেন ইরানের এ বন্দরে পৌঁছেছে।

এ ঘটনা রাশিয়া ও ইরানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারের ইঙ্গিত দেয়। সেই সঙ্গে এটাকে ইরান, রাশিয়া এবং মধ্য এশিয়ার প্রতিবেশীদের সঙ্গে নিয়মিত ট্রেন চলাচল শুরুর বিষয়ে একটি বড় পদক্ষেপ ধরা হচ্ছে।

পণ্যবাহী ট্রেনটিতে ৬২টি কনটেইনার রয়েছে। একেকটি কনটেইনার ৪০ ফুট দীর্ঘ। সেগুলোতে কাগজ, পাল্প আর সংশ্লিষ্ট নানা পণ্য রয়েছে। ট্রেনটি রাশিয়ার রাজধানী মস্কো থেকে প্রায় ৯০০ কিলোমিটার উত্তর থেকে ইরান ও ইরাকের উদ্দেশে যাত্রা করে।

শুরুতে রাশিয়া, এরপর কাজাখস্তান ও তুর্কমেনিস্তান পেরিয়ে ইরানে প্রবেশ করে পণ্যবাহী ট্রেনটি। এ ট্রেন ১২ দিনের যাত্রা শেষে ইরানি বন্দরটিতে এসে পৌঁছায়।

ইরান রেলওয়ের বাণিজ্য ও পরিচালনাবিষয়ক উপপরিচালক মোর্তেজা জাফারি শনিবার ইরনাকে বলেন, এ বছরের জুনে চীন থেকে প্রথম একটি পণ্যবাহী ট্রেন আপরিন ড্রাই বন্দরে এসে পৌঁছায়। এরপর থেকে এখানে এমন ৩০টি ট্রেন এসেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ফার্মা ফেস্ট’
  • গলায় ছুরিকাঘাত নিয়ে তিন কিলোমিটার পথ পাড়ি দেন অটোরিকশাচালক, পরে মৃত্যু
  • কাটা গলা নিয়ে রিকশাচালিয়ে ৩ কিলোমিটার, হাসপাতালে মৃত্যু
  • শরীয়তপুরে জাতীয় যুবশক্তির কমিটি ঘোষণার ২০ মিনিট পরই সদস্যসচিবের পদত্যাগ
  • রাশিয়া থেকে প্রথমবার পণ্যবাহী ট্রেন পৌঁছেছে ইরানের বন্দরে
  • ৩৭ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তানের কাছে সিরিজ হারল দ. আফ্রিকা
  • ‘দয়া করে কেউ নিয়ে যাবেন’ লিখে রেখে যাওয়া নবজাতকের অভিভাবক হতে কয়েক শ ফোনকল
  • লাইনচ্যুত বগি রেখে চলে গেল ট্রেন, ১১ ঘণ্টা পর উদ্ধার
  • গভীর রাতে গাড়িতে দুর্বৃত্তদের আগুন, সিসিটিভিতে ধরা পড়ল পুরো ঘটনা