সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (শাকসু) নির্বাচনের পুনঃতফসিল দেওয়া হতে পারে। গতকাল শনিবার রাতে নির্বাচন কমিশন-সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, আগামী ১৭ ডিসেম্বর ভোট হলে নির্বাচন ‘অংশগ্রহণমূলক’ না–ও হতে পারে—এ কারণ দেখিয়ে গতকাল পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে চারটি স্মারকলিপি জমা পড়েছে। এতে শিক্ষার্থীরা শীতের ছুটির পরে জানুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানায়।

ছাত্রশিবিরসহ সমমনাদের কয়েকটি সংগঠন ও প্ল্যাটফর্মের শিক্ষার্থীরা আগামী ১০ ডিসেম্বর নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করেছিল। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে কয়েকজন নির্বাচন কমিশনে স্মারকলিপি দিয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে জানুয়ারিতে নির্বাচন করার দাবি আগে থেকেই জানিয়ে আসছে ছাত্রদল।

গত দুই দিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ ফেসবুক গ্রুপগুলোতে ১৭ ডিসেম্বর নির্বাচন বয়কটের আহ্বান জানিয়ে শিক্ষার্থীদের বেশ কিছু পোস্ট দেখা গেছে। তাঁদের ভাষ্য, শীতের ছুটির আগমুহূর্তে তাঁরা নির্বাচন চান না।

অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী রাহিন ইসলাম লিখেছেন, ‘শাকসুতে দাঁড়ানোর ইচ্ছা ছিল। অনেকে সাহসও দিয়েছেন। কিন্তু আমি নিজেকে কোনো ঘৃণ্য রাজনীতির মঞ্চে দেখতে চাই না। আমিও ১৭ তারিখের শাকসু বয়কট করলাম.

..।’

সার্বিক বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের মুখপাত্র নজরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের জন্য শিক্ষার্থীরা দাবি জানাচ্ছে। কেউ কেউ বয়কটের ঘোষণা দিয়েছে। আজ রোববার শিক্ষার্থী, ছাত্রসংগঠন, প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের একটি বৈঠক আছে।

আরও পড়ুনতফসিলের পরও নির্বাচনের তারিখ নিয়ে ছাত্রদল-শিবিরের বিপরীতমুখী অবস্থান১৯ নভেম্বর ২০২৫

১৬ নভেম্বর শাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন। সেখানে আগামী ১৭ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণের কথা বলা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যালেন্ডার ঘেঁটে দেখা যায়, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকেই ধারাবাহিক ছুটি চলছে। ১২ ও ১৩ ডিসেম্বর সাপ্তাহিক ছুটি, ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস, এরপর আবার সাপ্তাহিক ছুটি। এই ধারাবাহিক ছুটির মধ্যে মাত্র তিন দিন—১১, ১৫ ও ১৭ ডিসেম্বর ক্যাম্পাস খোলা। ২১ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত শীতের ছুটি থাকবে। এর মাঝে ১৭ ডিসেম্বর ভোটের তারিখ পড়ায় ভোটার উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ১৪ নভেম্বর শীতের ছুটি পেছানোর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলেও শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে সেটি প্রত্যাহার করে কর্তৃপক্ষ।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

শাকসু নির্বাচনের তারিখ বদলাতে পারে

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (শাকসু) নির্বাচনের পুনঃতফসিল দেওয়া হতে পারে। গতকাল শনিবার রাতে নির্বাচন কমিশন-সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, আগামী ১৭ ডিসেম্বর ভোট হলে নির্বাচন ‘অংশগ্রহণমূলক’ না–ও হতে পারে—এ কারণ দেখিয়ে গতকাল পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে চারটি স্মারকলিপি জমা পড়েছে। এতে শিক্ষার্থীরা শীতের ছুটির পরে জানুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানায়।

ছাত্রশিবিরসহ সমমনাদের কয়েকটি সংগঠন ও প্ল্যাটফর্মের শিক্ষার্থীরা আগামী ১০ ডিসেম্বর নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করেছিল। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে কয়েকজন নির্বাচন কমিশনে স্মারকলিপি দিয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে জানুয়ারিতে নির্বাচন করার দাবি আগে থেকেই জানিয়ে আসছে ছাত্রদল।

গত দুই দিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ ফেসবুক গ্রুপগুলোতে ১৭ ডিসেম্বর নির্বাচন বয়কটের আহ্বান জানিয়ে শিক্ষার্থীদের বেশ কিছু পোস্ট দেখা গেছে। তাঁদের ভাষ্য, শীতের ছুটির আগমুহূর্তে তাঁরা নির্বাচন চান না।

অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী রাহিন ইসলাম লিখেছেন, ‘শাকসুতে দাঁড়ানোর ইচ্ছা ছিল। অনেকে সাহসও দিয়েছেন। কিন্তু আমি নিজেকে কোনো ঘৃণ্য রাজনীতির মঞ্চে দেখতে চাই না। আমিও ১৭ তারিখের শাকসু বয়কট করলাম...।’

সার্বিক বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের মুখপাত্র নজরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের জন্য শিক্ষার্থীরা দাবি জানাচ্ছে। কেউ কেউ বয়কটের ঘোষণা দিয়েছে। আজ রোববার শিক্ষার্থী, ছাত্রসংগঠন, প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের একটি বৈঠক আছে।

আরও পড়ুনতফসিলের পরও নির্বাচনের তারিখ নিয়ে ছাত্রদল-শিবিরের বিপরীতমুখী অবস্থান১৯ নভেম্বর ২০২৫

১৬ নভেম্বর শাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন। সেখানে আগামী ১৭ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণের কথা বলা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যালেন্ডার ঘেঁটে দেখা যায়, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকেই ধারাবাহিক ছুটি চলছে। ১২ ও ১৩ ডিসেম্বর সাপ্তাহিক ছুটি, ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস, এরপর আবার সাপ্তাহিক ছুটি। এই ধারাবাহিক ছুটির মধ্যে মাত্র তিন দিন—১১, ১৫ ও ১৭ ডিসেম্বর ক্যাম্পাস খোলা। ২১ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত শীতের ছুটি থাকবে। এর মাঝে ১৭ ডিসেম্বর ভোটের তারিখ পড়ায় ভোটার উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ১৪ নভেম্বর শীতের ছুটি পেছানোর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলেও শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে সেটি প্রত্যাহার করে কর্তৃপক্ষ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ