বিএনপির ‘বহিষ্কৃত’ নেতার মনোনয়ন বাতিল চেয়ে স্থানীয় ৩৩ নেতার আবেদন
Published: 9th, November 2025 GMT
সাতক্ষীরা-২ (সদর–দেবহাটা) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আবদুর রউফের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বরাবর আবেদন করেছেন সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের ৩৩ জন নেতা। গত বৃহস্পতিবার তাঁরা যৌথভাবে এ আবেদন করেন। খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) অনিন্দ্য ইসলামের কাছে আবেদনের অনুলিপি দেওয়া হয়েছে।
আবেদনকারী নেতারা আবদুর রউফের মনোনয়ন বাতিল করে জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুল আলিমকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানান।
৩ নভেম্বর আসন্ন সাতক্ষীরা–২ আসনে আবদুর রউফকে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। এরপর ওই দিন রাতে খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের বিনেরপোতা বাইপাস মোড়ে টায়ারে আগুন দিয়ে বিক্ষোভ করেন দলটির কিছু নেতা–কর্মী। এতে ঘণ্টা দুয়েকের জন্য মহাসড়কের যান চলাচল বন্ধ থাকে।
মহাসচিবের কাছে করা লিখিত আবেদনপত্রে বলা হয়, বিএনপি নেতা আবদুর রউফ অতীতে একাধিকবার দল পরিবর্তন করেছেন। ২০০৯ সালে বিএনপি থেকে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেওয়ার পর আবার বিএনপিতে ফিরে আসেন। দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় গত বছরের ২৪ এপ্রিল প্রাথমিক সদস্যপদসহ তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। সেই বহিষ্কারাদেশ এখনো প্রত্যাহার হয়নি। এ ছাড়া গত ২৩ এপ্রিল একটি মাহফিলে এক ইসলামি বক্তার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক ও আপত্তিকর আচরণের কারণে তিনি দেশব্যাপী সমালোচিত। ওই ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় আলেম-ওলামা বিক্ষোভ সমাবেশ করে তাঁর গ্রেপ্তারের দাবি জানান। এমতাবস্থায় এমন নেতা দলীয় মনোনয়ন পাওয়ায় দলের ঐক্য নষ্ট হবে বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে কথা হয় সদর উপজেলার লবশা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শফিকুল ইসলাম, বাঁশদাহ ইউনিয়নের সভাপতি নজরুল ইসলাম, বৈকারী ইউনিয়নের সভাপতি ইউনুস আলী, শিবপুর ইউনিয়নের সভাপতি তাবাসুজ্জামান, কুশখালী ইউনিয়নের সভাপতি আবুল বাশার, ধুলিহর ইউনিয়নের সভাপতি মো.
অভিযোগের বিষয়ে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আবদুর রউফ প্রথম আলোকে বলেন, বিগত ১৭ বছরের কর্মকাণ্ড দেখে কেন্দ্র থেকে তাঁকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। যাঁরা বিগত দিনে আন্দোলন–সংগ্রামে ছিলেন না, নেতা–কর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল না, তাঁরা এখন ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছেন।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আবু জাহিদ বলেন, বিএনপির মহাসচিব বরাবর তৃণমূল নেতাদের আবেদনের বিষয়টি তিনি জানেন না। অন্যদিকে আবদুর রউফের বহিষ্কার প্রত্যাহার–সম্পর্কিত কোনো চিঠি তিনি পাননি।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আবদ র রউফ সদর উপজ ল ব এনপ র স ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
মাতৃস্বাস্থ্য নিশ্চিতকরণে নারায়ণগঞ্জ ডিসির কার্যকর উদ্যোগ
নারায়ণগঞ্জ জেলা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের মেডিকেল ডায়াথার্মি মেশিন নষ্ট থাকায় সিজারিয়ান অপারেশন বন্ধ হয়ে যায়। এত বিপাকে পড়ে হাসপাতালে আগত রোগীরা এবং ব্যাহত হয় চিকিৎসা সেবা।
বিষয়টি গত ৫ নভেম্বর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় উপস্থাপন করেন উপপরিচালক শহিদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, এখানে পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতির পাশাপাশি প্রতি মাসে প্রায় ৪০০ গর্ভবতী নারীর সেবা, ৩০টি স্বাভাবিক প্রসব এবং ৪ থেকে ৫টি সিজারিয়ান সেকশন পরিচালিত হয়।
পরে সমস্যার গুরুত্ব অনুধাবন করে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা জেলা পরিষদ থেকে দ্রুততম সময়ে একটি ডায়াথার্মি মেশিন উপহার হিসেবে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের কর্মকর্তাদের হাতে এ মেশিন তুলে দেন। এ উদ্যোগের মাধ্যমে জেলার মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবার মান আরও উন্নত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন জেলা প্রশাসক।
তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, মায়ের স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে সন্তানের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে না। তাই মাতৃস্বাস্থ্যের প্রতি সবসময় বিশেষ গুরুত্ব দিই; ভবিষ্যতেও দেব।
স্বাস্থ্যকর্মীদের তিনি অনুরোধ জানান, মায়েদের অনেকেই অসহায় ও অশিক্ষিত। তাদের প্রতি আন্তরিকতা দেখিয়ে কাজ করবেন, যেন তাদের স্বাস্থ্যসেবা কোনোভাবেই ঝুঁকির মধ্যে না পড়ে।
তিনি আরও জানান, কেন্দ্রের চাহিদা অনুযায়ী গ্লুকোমিটার ও রক্তচাপ মেশিনও দ্রুত সরবরাহ করা হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সিভিল সার্জন ডা. এ এফ এম মুশিউর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো: আলমগীর হোসেন, নারায়ণগঞ্জ পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো: শহিদুল ইসলাম, সদর পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো: বোরহান উদ্দিন, এমসিএইচএফপি সদরের মেডিকেল অফিসার ডা. জাফরিন যুবাইয়া সুরভী, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু ও জামায়াত ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাও. মঈনুদ্দিন আহমেদসহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধিবৃন্দ।