একাধিক মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত দুই আসামিকে ধরতে যায় পুলিশের একটি দল। এ সময় পুলিশের ওই দলের ওপর হামলা করেন দুই আসামি ও তাঁর স্বজনেরা। ছয় পুলিশ সদস্যকে আহত করার পাশাপাশি ছিনিয়ে নেওয়া হয় পুলিশের একটি ওয়াকিটকি ও একটি শটগান। পরে পুলিশের একাধিক দল অভিযান চালিয়ে খোয়া যাওয়া ওয়াকিটকি ও শটগান উদ্ধার করে। গ্রেপ্তার করা হয় একজনকে।

আজ মঙ্গলবার ভোরে ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের পশ্চিম আহাম্মদপুর গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তার আসামির নাম জাহেদুল ইসলাম ওরফে রিপন (৩৮)। তিনি আহাম্মদপুর গ্রামের আবুল হাশেমের ছেলে।

আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন সোনাগাজী মডেল থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সাইদুর রহমান ও মোফাজ্জল হোসেন, কনস্টেবল মাহবুব আলম, আইনুল করিম, কাঞ্চন ও হৃদয়। তাঁদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ জানায়, জাহেদুল ইসলাম ও তাঁর ছোট ভাই রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে একাধিক মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। তাঁরা ঘরে অবস্থান করছেন, খবর পেয়ে সকাল ছয়টার দিকে পুলিশের একটি দল তাঁদের ঘরে অভিযান চালায়। এ সময় জাহেদুল, রফিকসহ তাঁদের স্বজনেরা পুলিশের ওপর হামলা চালান। এ সময় পুলিশের একটি শটগান ও একটি ওয়াকিটকি কেড়ে নেওয়া হয়। একপর্যায়ে আসামিরা পালিয়ে যান।

পুলিশের ওপর হামলার খবর পেয়ে সোনাগাজী মডেল থানা-পুলিশের আরেকটি দল ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক দল সকালে ওই এলাকায় আবারও অভিযান চালায়। এ সময় জাহেদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেন তাঁরা। পরে তাঁর তথ্যে লুট হওয়া অস্ত্র ও ওয়াকিটকি উদ্ধার করা হয়।

সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তার জাহেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে আগের ৯টি মামলা রয়েছে। তাঁর ভাই রফিকুলও একাধিক মামলার আসামি। তাঁকে ধরতে অভিযান চলমান। পুলিশের ওপর হামলা ও ওয়াকিটকি-শটগান ছিনতাইয়ের ঘটনায় নতুন করে মামলা হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: জ হ দ ল ইসল ম প ল শ র একট প ল শ র এক এক ধ ক শটগ ন

এছাড়াও পড়ুন:

রংপুরে গৃহবধূকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা, একজন গ্রেপ্তার

রংপুরের পীরগাছা উপজেলায় এক গৃহবধূকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী নারী। পুলিশ ইতিমধ্যে মামলার এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।

গতকাল রোববার রাতে মাহীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল কুদ্দুস এক বিজ্ঞপ্তিতে গ্রেপ্তারের তথ্য জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গতকাল সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে মাহীগঞ্জ থানার পুলিশ। পরে ভুক্তভোগী শেফালী বেগম ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। মামলার এক আসামি ভুক্তভোগীর সতিন আমেনা বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার পীরগাছা উপজেলার কল্যাণী ইউনিয়নের নিজতাজ গ্রামে গৃহবধূ শেফালী বেগমকে সুপারিগাছের সঙ্গে বেঁধে মারধরসহ শারীরিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন, তাঁর স্বামীর পরিবারের সদস্যরা তাঁকে নির্যাতন করেছেন। পরে ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

আরও পড়ুনরংপুরে গৃহবধূকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন, ছড়িয়েছে ভিডিও২১ ঘণ্টা আগে

শেফালী অভিযোগ করেন, ২০১৪ সালে প্রবাসী নজরুল ইসলামের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। নজরুল তাঁর খোঁজখবর ঠিকমতো রাখতেন না। সম্প্রতি নজরুল বাড়িতে এলেও তাঁর খোঁজ নেননি। একপর্যায়ে শেফালী লোকমুখে জানতে পারেন, তাঁকে তালাক দিয়েছেন নজরুল। গত শনিবার ভোরে তিনি তালাকের কাগজপত্র চাইতে নজরুলের বাড়িতে যান। তখন তাঁকে বাড়ির বাইরে সুপারিগাছের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে মারধর করা হয়।

নজরুল দাবি করেন, তিনি শেফালীকে তালাক দিয়েছেন। সেই রাতে তাঁর ঘরের পেছনে তাঁকে বেঁধে রাখা হলেও মারধর করা হয়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ডিপো থেকে তেল চুরি তদন্তে কমিটি করেছে জ্বালানি বিভাগ
  • রাবিতে নবীন শিক্ষকদের নিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু
  • ইলিয়াস কাঞ্চনের জন্য দোয়া চাইলেন দিতিকন্যা লামিয়া
  • তিনি একজন উৎপাত সৃষ্টিকারী, তাঁকে চিকিৎসক দেখানো উচিত: থুনবার্গকে ট্রাম্পের উপহাস
  • সর্বসম্মতি ক্রমে সভাপতি আমিনুল
  • ‘ইলিয়াস কাঞ্চন ভাইয়ের অসুস্থতার খবরে আমরা গভীরভাবে ব্যথিত’
  • বিগ ব্যাশ, পন্টিং প্রেম ও হোবার্ট হারিকেনস নিয়ে রিশাদের উচ্ছ্বাস
  • বিদ্যালয়ে যেনতেন পড়াশোনা, ভরসা কোচিং ও গৃহশিক্ষক
  • রংপুরে গৃহবধূকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা, একজন গ্রেপ্তার