বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসএএ) নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। পাশাপাশি চট্টগ্রামের অতিরিক্ত কমিশনার (রাজস্ব) শারমিন জাহানকে সংগঠনের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য সংগঠন অনুবিভাগের দুটি পৃথক চিঠিতে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে। এর আগে আগামী বৃহস্পতিবার নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হয়েছিল।

বাণিজ্য সংগঠন অনুবিভাগের উপসচিব চৌধুরী সামিয়া ইয়াসমীনের সই করা চিঠিতে নির্বাচন স্থগিত রাখার বিষয়টি বলা হয়েছে। এতে বলা হয়, তিন ব্যবসায়ীর আবেদন ও অনুবিভাগের শুনানির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের আসন্ন নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। চিঠিতে পরবর্তী তারিখ সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি।

বাণিজ্য সংগঠন অনুবিভাগের মহাপরিচালক মুহাম্মদ রেহান উদ্দিনের সই করা পৃথক আরেক চিঠিতে প্রশাসক নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। সেখানে বলা হয়, নির্বাচনে কয়েকজন প্রার্থীকে মনোনয়নপত্র জমা দিতে দেওয়া হয়নি। এ নিয়ে ভুক্তভোগীরা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। এ ছাড়া শিল্প, বাণিজ্য ও সেবা খাতের স্বার্থে সংগঠনটির (বিএসএএ) সার্বিক কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে না বলে প্রতীয়মান হয়।

এসব কারণে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত কমিশনার (রাজস্ব) শারমিন জাহানকে সংগঠনের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে চিঠিতে বলা হয়। তাঁকে ১২০ দিনের মধ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করতে বলা হয়েছে। তবে আজ বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে শারমিন জাহান প্রথম আলোকে জানান, তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো চিঠি হাতে পাননি।

এর আগে নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে ব্যবসায়ীদের বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন একজন ব্যবসায়ী। গত ৯ সেপ্টেম্বর নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান এ জেড এম জালাল উদ্দিন বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন তিনি। এতে উল্লেখ করা হয়, একটি পক্ষের বাধার মুখে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি কয়েকজন ব্যবসায়ী। ৭ সেপ্টেম্বর ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অন ব ভ গ র ব যবস য় স গঠন

এছাড়াও পড়ুন:

রাকসু: ছাত্রদলের বিরুদ্ধে ভোটারদের অর্থ প্রদানের অভিযোগ শিবিরের

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে ছাত্রদলের বিরুদ্ধে ভোটারদের সরাসরি অর্থ প্রদানের অভিযোগ করেছে ছাত্রশিবির।

অভিযোগে জানা যায়, গত ১৮ সেপ্টেম্বর আরবি বিভাগ ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের মাঝে ৫ হাজার টাকা বিতরণ করে ছাত্রদল।

আরো পড়ুন:

রাবিতে নবীন শিক্ষকদের নিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু

রাকসু: অভিনব সাজে নির্বাচনী প্রচারে এক প্রার্থী

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) দুপুর ১টায় রাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর নির্বাচনে ছাত্রদলের আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে স্মারকলিপি প্রদান করেন ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেল।

স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, আসন্ন রাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী ছাত্রদলের প্যানেল একাধিক ক্ষেত্রে আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে। এতে নির্বাচনী পরিবেশ ক্ষুণ্ন হচ্ছে এবং অন্যান্য প্রার্থীদের প্রতি অসঙ্গত আচরণ প্রদর্শিত হচ্ছে। 

ছাত্রদল প্যানেলের প্রার্থীরা আচরণবিধি ভঙ্গ করে ক্লাসরুমে প্রবেশ করে প্রচার চালাচ্ছেন। গত ১৫ সেপ্টেম্বর জিএস প্রার্থী নাফিউল ইসলাম জীবন আরবি বিভাগের ২০২৪–২৫ সেশনের শিক্ষার্থীদের ক্লাসে (শহীদুল্লাহ অ্যাকাডেমিক ভবন, কক্ষ ৩০৬) প্রচার চালান। এছাড়া ১৮ সেপ্টেম্বর আরবি বিভাগের ২০২৪–২৫ সেশনের শিক্ষার্থীদের ৫ হাজার টাকা প্রদান করে তারা।

পাশাপাশি, নির্ধারিত সময়সীমার বাইরে প্রচার চালানো এবং ভোটার নন এমন ব্যক্তিদের প্রচারে সম্পৃক্ত হওয়ার বিষয়েও অভিযোগ উত্থাপন করা হয়, যা নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত নিয়মাবলীর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান শেষে ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের জিএস প্রার্থী ফাহিম রেজা বলেন, “শুরু থেকেই কিছু প্রার্থী নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে আসছেন। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের আগেই অনেকে ভোট চাওয়া শুরু করেছেন। নিয়ম অনুযায়ী, পাঁচজনের বেশি নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে না। কিন্তু দেখা গেছে, অনেক প্রার্থী বহর নিয়ে এসে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। অনেকে রঙিন লিফলেট বিতরণ করেছেন এবং ক্লাসরুমের ভিতরে গিয়ে প্রচার চালিয়েছেন, যা নির্বাচনী আচরণবিধির স্পষ্ট লঙ্ঘন।”

তিনি আরো বলেন, “আমরা নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক রাখার স্বার্থে এর আগে কোনো লিখিত অভিযোগ দিইনি। তবে আমরা আবরার ফাহাদ স্মরণে ক্যাম্পাসে নিপীড়নবিরোধী দিবস পালনের অনুমতি চেয়েছিলাম, যা নির্বাচন কমিশন আচরণবিধি লঙ্ঘনের কথা বলে অনুমোদন দেয়নি। কিন্তু ছাত্রদল নির্বাচন কমিশনের অনুমতি ছাড়াই আজ বিকেলে নিজ উদ্যোগে কর্মসূচি আয়োজন করেছে। আমরা এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি।”

এ বিষয়ে রাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এফ নজরুল ইসলাম বলেন, “কয়েকবার নির্বাচন পেছানোর কারণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা শঙ্কা তৈরি হয়েছে। তবে প্রশাসন ক্যাম্পাসে যে অস্থিরতা ছিল, তার মূল কারণগুলো চিহ্নিত করে অনেকগুলোরই সমাধান করেছে।”

তিনি বলেন, “নির্বাচন স্থগিত হওয়ায় নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত বাজেটের চেয়ে অতিরিক্ত বাজেট প্রয়োজন হবে। তাই সব প্রার্থীদেরও অতিরিক্ত খরচ লাগবে এটাই স্বাভাবিক। আমরা ১৬ তারিখে নির্বাচনের নিশ্চয়তা দিচ্ছি।”

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাকসু: ছাত্রদলের বিরুদ্ধে ভোটারদের অর্থ প্রদানের অভিযোগ শিবিরের
  • ‘বাংলাদেশের ক্রিকেট উন্নয়নের প্রেমে পড়ে গিয়েছি’— সভাপতি হয়ে আমিনুল
  • ভোট দেননি তামিম
  • ‘সমালোচনা মাথায়’ নিয়েই বিসিবি নির্বাচন আজ
  • ‘রাতের ভোটকেও হার মানিয়ে ফেলেছে’ বলে বিসিবির নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন রেদুয়ান
  • বিসিবি নির্বাচনে নোংরামি: তিন দাবি না মানা হলে ক্রিকেট বর্জন