ডেঙ্গুতে প্রাণ গেল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সানজিদার
Published: 8th, October 2025 GMT
এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী সানজিদা ইসলাম। আজ বুধবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। সানজিদা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, তিন দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন সানজিদা। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর মহাখালীর একটি হাসপাতালে পরীক্ষা করালে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে আজ দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল স্থানান্তর করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়। সেখানে নেওয়ার ২০-২৫ মিনিট পর তাঁর মৃত্যু হয়।
সানজিদার স্বামী মোহাম্মদ তাজ উদ্দিন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সানজিদার জ্বর আসত, যেত। একই সঙ্গে কয়েক মাস তাঁর ‘রক্তের ইনফেকশনের’ চিকিৎসা চলছিল। আজ হঠাৎ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। গতকাল থেকে আজ পর্যন্ত ৩-৪টা হাসপাতাল পরিবর্তন করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘সর্বশেষ ঢামেক হাসপাতালে আইসিইউতে নেওয়া হয়। এর মধ্যে সানজিদা আমাদের ছেড়ে চলে যায়।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক প্রথম আলোকে বলেন, মেয়েটির গিঁটে ব্যথা ছিল। তাই ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়া বুঝতে পারেনি। ততক্ষণে চিকিৎসায় বিলম্ব হয়ে পড়ে। তিনি জানান, অন্তিম ইচ্ছা অনুযায়ী সানজিদার লাশ স্বামীর বাড়ি মেহেরপুরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখানেই তাঁর দাফন সম্পন্ন হবে। তাঁর অকালমৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার শোকাহত।
এদিকে আজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া গতকাল মঙ্গলবার সকাল আটটা থেকে আজ সকাল আটটা পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ৭০০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৫২ হাজার ১০৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। মশাবাহিত এ রোগে মারা গেছেন ২২০ জন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলায় অবনতির শঙ্কা দেখছেন না স্বরাষ্ট্র উপদে
নির্বাচনের আগে দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই বলে দাবি করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
রবিবার (২৩ নভেম্বর) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা–সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ দাবি করেন।
উপদেষ্টা বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে ভালো হচ্ছে। নির্বাচন ঘনিয়ে এলে রাজনৈতিক দলগুলোর মিছিল-বিক্ষোভ ও সভা-সমাবেশ স্বাভাবিকভাবেই বাড়বে। তবে, পরিস্থিতি অবনতির কোনো আশঙ্কা আমরা দেখছি না।
তিনি দাবি করেন, দায়িত্ব নেওয়ার সময় দেশের সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি ততটা অনুকূলে ছিল না। গত দেড় বছরে বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে তা এখন অনেকটাই উন্নতির পথে।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকের মন্তব্য প্রসঙ্গে
অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ক্রান্তিকালের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, একজন নিরাপত্তা বিশ্লেষকের এমন মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ওই বিশ্লেষক কে, তার যোগ্যতা কী, আমি জানি না। এখন অনেকেই বিভিন্ন বিষয়ে বিশ্লেষক পরিচয় দেন। যাদের সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা নেই, তাদের মন্তব্য নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই না।
সম্প্রতি রাতের বেলা এক সাংবাদিককে গোয়েন্দা পুলিশের তুলে নেওয়ার অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ঘটনাটি নিয়ে সাংবাদিকসমাজের মধ্যেও আলোচনা হয়েছে। তিনি যে কাজটি করছিলেন, সেটি সাংবাদিকতার দায়িত্বের মধ্যে ছিল না, এ ধরনের তথ্যও এসেছে।
বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/এএএম/রফিক