চিচিঙ্গায় ২ লাখ টাকা আয়ের আশা কৃষকের
Published: 23rd, November 2025 GMT
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার গরুড়া গ্রামের কৃষক এনামুল হক মাচা পদ্ধতিতে উচ্চ ফলনশীল জাতের চিচিঙ্গা চাষ করছেন। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ সবজিটির উৎপাদনও হয়েছে ভালো। ইতোমধ্যে পাইকারী বাজারে চিচিঙ্গা বিক্রি করতে শুরু করেছেন তিনি।
এই কৃষক জানান, পৌনে দুই বিঘা জমিতে মালচিং পদ্ধতি ও ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করে চিচিঙ্গা চাষে তার খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। বাজারে দাম ভালো পাচ্ছেন। এই সবজি বিক্রি করে দুই লাখ টাকা লাভ হবে এমনটি আশা তার।
আরো পড়ুন:
নেত্রকোণায় আমন কাটা শুরু, ব্যস্ত চাষির মুখে হাসি
চাঁপাইনবাবগঞ্জে নজিরবিহীন বৃষ্টি, ৪৪৫৯ হেক্টর ফসল ক্ষতির মুখে
উপজেলার গরুড়া ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো.
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, দৌলতপুরে প্রায় ৩০ হেক্টর জমিতে চিচিঙ্গা চাষ হয়েছে।
কৃষক এনামুল হক বলেন, “এ বছর অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে সব ধরনের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে নিজ উদ্যোগে মালচিং পদ্ধতি ও ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করে বিষমুক্ত চিচিঙ্গা চাষে করেছি।”
তিনি বলেন, “জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে চিচিঙ্গা রোপণ করা হয়েছিল। ৩৫-৪০ দিনের মধ্যে চিচিঙ্গা সংগ্রহ শুরু হয়। বিষমুক্ত হওয়ার কারণে এর চাহিদা বেশি। পাইকারি বাজারে ৩৫ টাকা কেজি দরে চিচিঙ্গা বিক্রি করছি। আশা করছি, দুই লাখ টাকার মতো লাভ করতে পারব।”
দৌলতপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রেহানা পারভীন বলেন, “চিচিঙ্গা পুষ্টিসমৃদ্ধ সবজি, যা ওজন কমানো, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়ক। স্বল্প সময় ও খরচে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। আশা করছি, আগামীতে আরো বেশি কৃষক চিচিঙ্গা চাষ করবেন।”
ঢাকা/কাঞ্চন/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফসল উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
১৩ সেনা কর্মকর্তাসহ ২৮ আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির তারিখ ধার্য
আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুম-নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক দুই মামলায় ১৩ সেনা কর্মকর্তাসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির তারিখ ধার্য করা হয়েছে। একটি মামলায় শুনানি হবে ৩ ডিসেম্বর, অন্যটিতে ৭ ডিসেম্বর।
বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ আজ রোববার এই তারিখ ধার্য করেন। ট্রাইব্যুনালের অপর সদস্য হলেন বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন সেলে (টিএফআই সেল) গুম করে রাখার ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মোট ১৭ জন আসামি। এই মামলায় ৩ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির তারিখ ধার্য করা হয়েছে।
এই মামলায় ১০ জন গ্রেপ্তার আছেন। তাঁরা হলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার কে এম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন, কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে), লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এই আসামিদের প্রথম সাতজন র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক হিসেবে এবং শেষের তিনজন র্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এ মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ সাত আসামি পলাতক।
জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেলে (জেআইসি) গুম করে রাখার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের আরেকটি মামলায় শেখ হাসিনাসহ ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় ৭ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানি হবে।
এ মামলায় তিন আসামি গ্রেপ্তার আছেন। তাঁরা হলেন প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) সাবেক তিনজন পরিচালক মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী।
এ মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ ১০ আসামি পলাতক।