চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) পাঁচ মন্ত্রণালয় ও বিভাগ তাদের বরাদ্দের ১ শতাংশের বেশি টাকা খরচ করতে পারেনি। এর মধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সংসদবিষয়ক সচিবালয় এক টাকাও খরচ করেনি।

অন্য তিনটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ হলো বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়; জননিরাপত্তা বিভাগ; অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি)।

গতকাল বৃহস্পতিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) জুলাই-অক্টোবর মাসের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের হালনাগাদ চিত্র প্রকাশ করেছে। সেখানে এই চিত্র পাওয়া গেছে।

আইএমইডি সূত্রে জানা গেছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ৫টি প্রকল্পে ১২১ কোটি টাকা বরাদ্দ আছে। কিন্তু চার মাসে এক টাকাও খরচ হয়নি। অন্যদিকে সংসদবিষয়ক সচিবালয়ের ১ প্রকল্পে ২০ লাখ বরাদ্দ থাকলেও এখনো কোনো টাকা খরচ করতে পারেননি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

একইভাবে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের ১৩টি প্রকল্পে ২ হাজার ৪৬৩ কোটি টাকা বরাদ্দ আছে। খরচ হয়েছে মাত্র ২০ কোটি টাকা। অন্যদিকে জননিরাপত্তা বিভাগের ১৪ প্রকল্পের বিপরীতে বরাদ্দ ১ হাজার ১৮৪ কোটি টাকা। খরচ মাত্র ১১ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) খরচ হয়েছে মাত্র ৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। এই বিভাগের ৬ প্রকল্পে বরাদ্দ ৭৭৫ কোটি টাকা।

গত জুলাই-অক্টোবর মাসে এডিপি বাস্তবায়ন হার মাত্র ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে সব মিলিয়ে ১৯ হাজার ৮৭৮ টাকা খরচ হয়েছে, যা আগের বছরের চেয়ে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা কম।

চলতি অর্থবছরে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৯৫ কোটি টাকার এডিপি নেওয়া হয়েছে। ১ হাজার ১৯৮টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রকল প খরচ হয় খরচ কর বর দ দ

এছাড়াও পড়ুন:

চার মাসে শুল্ক–কর আদায়ে ঘাটতি ১৭ হাজার কোটি টাকা

চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) শুল্ক-কর আদায়ে ঘাটতি ১৭ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।

শুল্ক-কর আদায় প্রতিবারের মতো এবারও পিছিয়ে পড়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

এনবিআরের হিসাব অনুসারে, গত জুলাই-অক্টোবর সময়ে এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ছিল ১ লাখ ৩৬ হাজার ৬৯৭ কোটি টাকা। এর বিপরীতে আদায় ১ লাখ ১৯ হাজার ৪৭৮ কোটি টাকা। এ সময়ে রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি হয়েছে ১৭ হাজার ২১৯ কোটি টাকা। এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের হালনাগাদ চিত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

চলতি অর্থবছর এনবিআরকে ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকার শুল্ক-কর আদায়ের লক্ষ্য দেওয়া হয়েছে।

চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে সাড়ে ১৫ শতাংশ। আগের বছর একই সময়ে (জুলাই-অক্টোবর) ১ লাখ ৩ হাজার ৪০৭ কোটি টাকা।

আলোচ্য সময়ে সবচেয়ে বেশি ঘাটতি হয়েছে আয়কর খাতে। চার মাসে ঘাটতি হয় ৯ হাজার ১৯৪ কোটি টাকা। এই খাতে আদায়ের লক্ষ্য ছিল ৪৭ হাজার ৪৩ কোটি টাকা। এ সময়ে আদায় হয়েছে ৩৭ হাজার ৮৪৯ কোটি টাকা।

আমদানি খাতে চার মাসে ৪১ হাজার ৫০৭ কোটি টাকার লক্ষ্যের বিপরীতে আদায় হয়েছে ৩৪ হাজার ৭৫১ কোটি টাকা। এই খাতে ঘাটতি হয়েছে ৬ হাজার ৭৫৬ কোটি টাকা।

গত জুলাই-অক্টোবরে ভ্যাট বা মূসক আদায়েও লক্ষ্য পূরণ হয়নি। এই খাতের লক্ষ্য ছিল ৪৮ হাজার ১৪৭ কোটি টাকা। ভ্যাট আদায় হয়েছে ৪৬ হাজার ৮৭৮ কোটি টাকা। এ সময়ে এই খাতে ঘাটতি ১ হাজার ২৬৯ কোটি টাকা।

এনবিআরের কর্মকর্তা বলছেন, ব্যবসা-বাণিজ্য শ্লথগতি থাকায় রাজস্ব আদায় তুলনামূলক কম হয়েছে। তবে বছরের শেষ দিকে রাজস্ব আদায়ে গতি বাড়বে বলে মনে করেন তাঁরা। তারা বলেন, করের আওতা বৃদ্ধি, কর পরিপালন নিশ্চিতকরণ, কর ফাঁকি প্রতিরোধ এবং ফাঁকি দেওয়া রাজস্ব পুনরুদ্ধার করার কাজ করছে এনবিআর।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রপ্তানি কমলেও চীনে বেড়েছে, ট্রাম্পের শুল্কের প্রভাব
  • চার মাসে শুল্ক–কর আদায়ে ঘাটতি ১৭ হাজার কোটি টাকা