বাজে ব্যাটিংয়ের পর নির্বিষ বোলিং, হারে সিরিজ শুরু বাংলাদেশের
Published: 8th, October 2025 GMT
বাংলাদেশ: ৪৮.৫ ওভারে ২২১। আফগানিস্তান: ৪৭.১ ওভারে ২২৬/৫।
টি–টোয়েন্টির ছন্দটা ওয়ানডেতে ধরে রাখত পারল না বাংলাদেশ। ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার পর বোলাররাও করতে পারেননি তেমন কিছু। টি–টোয়েন্টি সিরিজে আফগানিস্তানকে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করার তৃপ্তি তাই উড়ে গেল সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ওদের কাছে ৫ উইকেটের হারে।
বাংলাদেশের হতাশার শুরুটা হয়েছিল টস জিতে ব্যাট করতে নামার পরই। ইনিংসের ৭ বল বাকি থাকতেই মেহেদী হাসান মিরাজের দল অলআউট হয়ে যায় ২২১ রানে। টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান ফিরে যান দলের ৫৩ রানের মধ্যেই। ওয়ানডে অভিষেকে ৩৭ বলে ২৬ রান করেছেন সাইফ। তাঁর উদ্বোধনী সঙ্গী তানজিদ হাসান ১০ বলে ১০ আর তিনে নামা নাজমুল হোসেন করেছেন ৫ বলে ২ রান। তানজিদ-নাজমুল দুজনই ক্যাচ তুলেছেন আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের বলে।
এরপর বাংলাদেশ নতুন করে আশা দেখতে শুরু করে মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাওহিদ হৃদয়ের ব্যাটে। চতুর্থ উইকেটে তাঁদের জুটিতে ১০১ রানের পরও খুব বেশি দূর এগোয়নি বাংলাদেশের ইনিংস। ১৫৪ রানে পড়েছিল চতুর্থ উইকেট, সেখান থেকে ২০৯/৯ হয়ে যায় একের পর এক ব্যাটসম্যানের আসা-যাওয়ায়।
বিপর্যয়ের শুরুটা হয় মিরাজের সঙ্গে ভুল–বোঝাবুঝিতে ওয়ানডেতে টানা তিন হাফ সেঞ্চুরি করা তাওহিদ হৃদয় ৫৬ রান করে রানআউট হলে। এরপর টানা ৩টি উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে ধসিয়ে দেন রশিদ খান।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৬০ রান করেন মেহেদী হাসান মিরাজ.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
মাদাগাস্কারে ১২ দিন ধরে বিক্ষোভ, দমনে নতুন প্রধানমন্ত্রী
আফ্রিকার দেশ মাদাগাস্কারে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। গত সোমবার দেশটির রাজধানী আন্তানানারিভোতে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে নিরাপত্তা বাহিনী কয়েক শ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। এতে অন্তত একজন আহত হয়েছেন। বিক্ষোভ দমন ও চলমান সংকট নিরসনে সোমবার রাতে একজন জেনারেলকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট আন্দ্রে রাজোয়েলিনা।
বিদ্যুৎ ও পানির সংকটকে কেন্দ্র করে গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে আফ্রিকার দেশ মাদাগাস্কারে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভকারীদের বেশির ভাগই বয়সে তরুণ, যাঁরা জেন-জি নামে পরিচিত। তাঁদের আন্দোলন এখন সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ নিয়েছে। তাঁরা প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ দাবি করছেন।
সোমবার আন্তানানারিভোতে শত শত মানুষ পৃথক দুটি মিছিল নিয়ে বের হয়। এ সময় স্টান গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে তাঁদের থামিয়ে দেয় নিরাপত্তা বাহিনী। আন্দোলনের ১২তম দিনে রাজধানীজুড়ে কঠোর নিরাপত্তা চোখে পড়েছে।
এদিন রাজধানীর উপকণ্ঠে অবস্থিত অ্যাঙ্কাতসো বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছাকাছি স্থানে জড়ো হন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপর তাঁরা মিছিল নিয়ে শহরের মধ্যাঞ্চলের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তবে সেখানে পৌঁছানোর আগেই নিরাপত্তা বাহিনী মিছিল আটকে দেয়। এরপর দুপুরের দিকে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত একজন তরুণ আহত হয়েছেন। তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনমাদাগাস্কারে এবার রাজোয়েলিনার পদত্যাগের দাবিতে রাস্তায় জেন-জিরা, প্রত্যাখ্যান প্রেসিডেন্টের০৪ অক্টোবর ২০২৫২১ বছর বয়সী বিক্ষোভকারী টমি ফানোমেজানৎসোয়া বলেন, ‘আমি যেখানে থাকি, সেখানে প্রতি সপ্তাহে প্রায় ১২০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। আমরা সবার স্বার্থে আন্দোলন করছি। প্রেসিডেন্ট জনগণের ক্ষোভের কথা শুনছেন না। তিনি সব সময় নিজের ইচ্ছামতো কাজ করেন।’