ডুমস্ক্রলিং—সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম স্ক্রল করাই যখন চাকরি
Published: 9th, October 2025 GMT
ডুমস্ক্রলিং কী
ঘুম থেকে উঠেই সকালটা শুরু হয় ফোন হাতে নিয়ে। কতক্ষণ মনের অজান্তে স্ক্রল করা, এরপর আড়মোড়া ভেঙে বিছানা ছাড়া। অনেকেরই সকালের রুটিন হয়ে গেছে এটা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এভাবে বিরামহীন স্ক্রলিংয়ের একটা নাম আছে—ডুমস্ক্রলিং।
করোনা মহামারির সময় সবাই যখন চার দেয়ালে বন্দী, তখন ফোনই ছিল বাইরের পৃথিবীর সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম জানালা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের হাজারো কনটেন্টের ভিড়ে খুঁজে নিতে হতো সুখ-দুঃখ। তখন থেকেই ডুমস্ক্রলিং শব্দটির উৎপত্তি।
ডুমস্ক্রলিং যখন চাকরিভারতের ক্রিয়েটিভ ডিজিটাল মিডিয়া কোম্পানি মঙ্ক এন্টারটেইনমেন্ট। সংক্ষেপে মঙ্ক–ই নামে পরিচিত এই কোম্পানি ব্র্যান্ড ও কনটেন্ট নির্মাতাদের জন্য ট্যালেন্ট ম্যানেজমেন্ট, ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া কনটেন্ট ও ভিডিও প্রোডাকশনের মতো সেবা দেয়।
এর সহপ্রতিষ্ঠাতা বিরাজ শেঠ সম্প্রতি লিংকডইনে একটি পোস্ট দিয়ে জানান, তাঁদের কোম্পানি ডুমস্ক্রলার খুঁজছে। তবে সবাই নিজেকে ডুমস্ক্রলার বলতে পারবেন না। ইউটিউব ও ইনস্টাগ্রামের স্ক্রিনটাইমের স্ক্রিনশট দিয়ে প্রমাণ করতে হবে, তাঁরা আদতেই ডুমস্ক্রলার।
অদ্ভুত চাকরির খবর নতুন কিছু নয়। এর আগেও ওয়াটার স্লাইডে চড়ে, ঘুমিয়ে, হাঁটাহাঁটি করে টাকা কামানোর উপায় বাতলে দিতে দেখেছি আমরা অনেককে। কিন্তু এই চাকরির ধরনটা একটু আলাদা।
আরও পড়ুনবিনা নোটিশে চাকরি চলে গেছে, এখন কী করব২৭ জানুয়ারি ২০২৫ট্রেন্ডের সঙ্গে সম্পর্কস্ক্রল করার চাকরি মানেই শুধু স্ক্রল করে যাওয়া নয়। স্ক্রল করা বাদে আরও অনেক কিছু মাথায় রাখতে হয়। এই চাকরির মূল উদ্দেশই হলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সঙ্গে হালনাগাদ থাকা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বদৌলতে প্রতিমূহূর্তে বদলে যাচ্ছে ট্রেন্ড। আজ এই জিনিস জনপ্রিয় তো পরের দিন কেউ ভাবছেই না সেটা নিয়ে। কোম্পানিগুলোও তাল মেলাচ্ছে এই ট্রেন্ডের সঙ্গে।
মজার ব্যাপার হলো, এসব ট্রেন্ড কোনো কোম্পানি তৈরি করছে না। বরং ট্রেন্ডগুলো তৈরি হচ্ছে আপনা–আপনি, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম চালানো সাধারণ ব্যক্তিদের মাধ্যমেই। যে কারণে সাধারণ মানুষের দৃষ্টি দিয়েই বিচার করতে হয় এসব ট্রেন্ডকে। সেখান থেকেই এসেছে স্ক্রলিং করার চাকরি।
স্ক্রল করার চাকরি মানেই শুধু স্ক্রল করে যাওয়া নয়, স্ক্রল করা বাদে আরও অনেক কিছু মাথায় রাখতে হয়।.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মালিবাগে স্বর্ণের দোকানে দুর্ধর্ষ চুরি
রাজধানীর মালিবাগের একটি বিপণিবিতানে শম্পা জুয়েলার্স থেকে প্রায় ৫০০ ভরি স্বর্ণালংকার চুরির অভিযোগ উঠেছে। যার মধ্যে ৪০০ ভরি দোকানের নিজস্ব এবং ১০০ ভরি বন্ধকী সোনা। প্রতি ভরি সোনার দাম দুই লাখ টাকার বেশি। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, পেছনের জানালা দিয়ে চোরেরা প্রবেশ করে। পুলিশ চোর শনাক্ত ও স্বর্ণালংকার উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে চুরি হওয়া সোনার পরিমাণ নিয়ে কিছু বিভ্রান্তি রয়েছে।