রাজশাহী-৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী বদল চেয়ে সংবাদ সম্মেলন
Published: 10th, November 2025 GMT
রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে বিএনপির প্রার্থী নজরুল ইসলাম মন্ডলের মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন দলটির স্থানীয় নেতা–কর্মীদের একটি অংশ। তাঁরা নজরুল ইসলামকে ‘জনবিচ্ছিন্ন’ উল্লেখ করে তৃণমূলের জনপ্রিয়, ত্যাগী ও পরীক্ষিত কোনো নেতাকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
গতকাল রোববার বিকেলে দুর্গাপুর প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন হয়। এ সময় তিন মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতা বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু বকর সিদ্দিক, পুঠিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ইশফাক খায়রুল হক ও প্রয়াত নেতা নাদিম মোস্তফার ছেলে জুলফান নাঈম মোস্তফার সমর্থকেরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলন চলাকালে প্রেসক্লাবের ভেতরে ও বাইরে কয়েক শ নেতা–কর্মী বিক্ষোভ করেন। তাঁরা নিজ নিজ পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে স্লোগান দেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রাজশাহী জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক হারুনুর রশিদ, পুঠিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ও দুর্গাপুর পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাইনুল ইসলাম।
লিখিত বক্তব্যে নেতারা বলেন, ১৯৯৬ সালের আগে রাজশাহী-৫ আসনটি বিএনপির দখলে ছিল না। সে সময় নাদিম মোস্তফাকে মনোনয়ন দিলে তিনি বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে আসনটি বিএনপিকে উপহার দেন। কিন্তু দল এবার যাঁকে প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন দিয়েছে, সেই নজরুল ইসলাম মন্ডল ১৯৯৬ সালে দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে জামানত হারিয়েছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে নেতারা বলেন, দুঃসময়ে যাঁরা মামলা-হামলার শিকার হয়ে জেল খেটেছেন, ব্যবসা-বাণিজ্য হারিয়েছেন, তাঁদের মধ্য থেকে কাউকে প্রার্থী করা হোক। আবু বকর সিদ্দিক, ইশফাক খায়রুল হক ও জুলফান নাঈমের মতো ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতারা মাঠে ছিলেন, নেতা–কর্মীদের পাশে থেকেছেন। এই তিনজনের মধ্য থেকে যেকোনো একজনকে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে তাঁরা আবেদন জানান। তাঁরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, নজরুল ইসলাম মন্ডলকে মনোনয়ন দেওয়া হলে এই আসনে জয়লাভ করা প্রায় অসম্ভব।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এস এম আকবর আলী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুস সামাদ, পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুল আজিজ মন্ডল, উপজেলা বিএনপির সদস্য গোলাম মোর্শেদ, বানেশ্বর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক পলান আলী সর্দার প্রমুখ।
এসব অভিযোগের বিষয়ে দলের মনোনয়ন পাওয়া জেলা বিএনপির সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, ‘১৯৯৬ সালে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলাম। তারপর দল থেকে আরও কয়েকবার নির্বাচন করেছি। আর এখন ২০২৫ সাল। ২০১৮ সালে দলীয় প্রার্থী নাদিম মোস্তফার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রিট করেছিলেন। তাঁর প্রার্থিতা বাতিল হয়ে গেলে আমাকে দলীয় প্রার্থী করা হয়। আমি মানুষের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। দল দেখেশুনে আমাকে প্রার্থী করেছেন। তাঁরা হয়তো আবেগের বশে এই কাজগুলো করছেন। আশা করি, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব এনপ র স ব ক স নজর ল ইসল ম উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহী-৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী বদল চেয়ে সংবাদ সম্মেলন
রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে বিএনপির প্রার্থী নজরুল ইসলাম মন্ডলের মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন দলটির স্থানীয় নেতা–কর্মীদের একটি অংশ। তাঁরা নজরুল ইসলামকে ‘জনবিচ্ছিন্ন’ উল্লেখ করে তৃণমূলের জনপ্রিয়, ত্যাগী ও পরীক্ষিত কোনো নেতাকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
গতকাল রোববার বিকেলে দুর্গাপুর প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন হয়। এ সময় তিন মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতা বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু বকর সিদ্দিক, পুঠিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ইশফাক খায়রুল হক ও প্রয়াত নেতা নাদিম মোস্তফার ছেলে জুলফান নাঈম মোস্তফার সমর্থকেরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলন চলাকালে প্রেসক্লাবের ভেতরে ও বাইরে কয়েক শ নেতা–কর্মী বিক্ষোভ করেন। তাঁরা নিজ নিজ পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে স্লোগান দেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রাজশাহী জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক হারুনুর রশিদ, পুঠিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ও দুর্গাপুর পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাইনুল ইসলাম।
লিখিত বক্তব্যে নেতারা বলেন, ১৯৯৬ সালের আগে রাজশাহী-৫ আসনটি বিএনপির দখলে ছিল না। সে সময় নাদিম মোস্তফাকে মনোনয়ন দিলে তিনি বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে আসনটি বিএনপিকে উপহার দেন। কিন্তু দল এবার যাঁকে প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন দিয়েছে, সেই নজরুল ইসলাম মন্ডল ১৯৯৬ সালে দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে জামানত হারিয়েছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে নেতারা বলেন, দুঃসময়ে যাঁরা মামলা-হামলার শিকার হয়ে জেল খেটেছেন, ব্যবসা-বাণিজ্য হারিয়েছেন, তাঁদের মধ্য থেকে কাউকে প্রার্থী করা হোক। আবু বকর সিদ্দিক, ইশফাক খায়রুল হক ও জুলফান নাঈমের মতো ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতারা মাঠে ছিলেন, নেতা–কর্মীদের পাশে থেকেছেন। এই তিনজনের মধ্য থেকে যেকোনো একজনকে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে তাঁরা আবেদন জানান। তাঁরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, নজরুল ইসলাম মন্ডলকে মনোনয়ন দেওয়া হলে এই আসনে জয়লাভ করা প্রায় অসম্ভব।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এস এম আকবর আলী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুস সামাদ, পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুল আজিজ মন্ডল, উপজেলা বিএনপির সদস্য গোলাম মোর্শেদ, বানেশ্বর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক পলান আলী সর্দার প্রমুখ।
এসব অভিযোগের বিষয়ে দলের মনোনয়ন পাওয়া জেলা বিএনপির সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, ‘১৯৯৬ সালে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলাম। তারপর দল থেকে আরও কয়েকবার নির্বাচন করেছি। আর এখন ২০২৫ সাল। ২০১৮ সালে দলীয় প্রার্থী নাদিম মোস্তফার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রিট করেছিলেন। তাঁর প্রার্থিতা বাতিল হয়ে গেলে আমাকে দলীয় প্রার্থী করা হয়। আমি মানুষের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। দল দেখেশুনে আমাকে প্রার্থী করেছেন। তাঁরা হয়তো আবেগের বশে এই কাজগুলো করছেন। আশা করি, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।’