নাসা গ্রুপের শ্রমিকের বকেয়া পরিশোধে প্রশাসক নিয়োগ
Published: 9th, October 2025 GMT
নাসা গ্রুপের শ্রমিক–কর্মচারীদের বকেয়া বেতন–ভাতা পরিশোধে একজন প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে সরকার। প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের (ডিআইএফই) অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক ও সরকারের যুগ্ম সচিব আরিফ আহমেদ খান।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের শ্রম শাখা থেকে গতকাল বুধবার ডিআইএফইর মহাপরিদর্শক আরিফ আহমেদ খানকে প্রশাসক পদে নিয়োগ করার অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এক মামলায় আদালতের আদেশে এই প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
১৯৯০ সালে এলিফ্যান্ট রোডের ছোট কারখানা দিয়ে যাত্রা শুরু করা নাসা গ্রুপ দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। তাদের মোট শিল্পকারখানার সংখ্যা ৩৪। এসব কারখানায় কাজ করেন প্রায় ৩০ হাজার কর্মী।
নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান আলোচিত ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম মজুমদার। বিদায়ী আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠ এই ব্যবসায়ী গত বছরের আগস্টে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর আত্মগোপনে চলে যান। তবে গত বছরের ১ অক্টোবর তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কয়েকটি দুর্নীতির মামলায় আসামি করা হয় তাঁকে। নজরুল ইসলাম মজুমদারের অনুপস্থিতিতে নাসার কারখানাগুলোয় অস্থিরতা শুরু হয়। ফলে বেতন–ভাতা বকেয়া পড়তে থাকে।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে শ্রমিক, মালিক ও সরকার পক্ষের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে ত্রিপক্ষীয় সভায় নাসা গ্রুপের ১৬টি কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। সভায় বলা হয়, বিদ্যুৎ–গ্যাসের সংকট ও ক্রয়াদেশ না থাকায় ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে এসব কারখানার সব কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। বন্ধ কারখানাগুলোর মধ্যে রয়েছে আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুর এলাকায় ১০টি, গাজীপুরে দুটি, চট্টগ্রাম ইপিজেডে দুটি ও কুমিল্লা ইপিজেডে দুটি কারখানা।
চুক্তি অনুসারে, কারখানার কর্তৃপক্ষ ১৫ অক্টোবর আগস্টের বকেয়া বেতন–ভাতা (মজুরি) ও ৩০ অক্টোবর সেপ্টেম্বরের বকেয়া বেতন–ভাতা (মজুরি) পরিশোধ করবে। এ ছাড়া বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী, প্রত্যেক পূর্ণ বছর চাকরির জন্য ৩০ দিনের মূল মজুরি ও মাতৃত্বকালীন ছুটির টাকা পরিশোধ করা হবে। শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণের এই অর্থ আগামী ৩০ নভেম্বর পরিশোধ করা হবে। কোনো শ্রমিককে তথ্যভান্ডারে কালোতালিকাভুক্ত করা যাবে না।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র বক য় পর শ ধ সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
গকসুর নবনির্বাচিতদের শপথ গ্রহণ
গণ বিশ্বদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (গকসু) নবনির্বাচিত সদস্যরা শপথ গ্রহণ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (০৯ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় সাভারের আশুলিয়ায় অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪১৭ নম্বর কক্ষে এ শপথ পাঠ করান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও গকসু সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন।
আরো পড়ুন:
রাকসু নির্বাচন: ১৬ দফা ইশতেহার দিল গণতান্ত্রিক শিক্ষার্থী পর্ষদ
চাকসু: ছাত্রদলের ৮ দফা ইশতেহার ঘোষণা
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রার, নির্বাচন কমিশনের সদস্যবৃন্দসহ বিভিন্ন অনুষের ডিন, বিভাগীয় প্রধান ও শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন।
শপথ শেষে নবনির্বাচিত সহ সভাপতি (ভিপি) মৃদুল দেওয়ান বলেন, “আমরা প্রতিশ্রুতির নয়, জবাবদিহিতার রাজনীতি করতে এসেছি। আমরা চাই সবাইকে সঙ্গে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে জাতীয় পর্যায়ে উপস্থাপন করতে।”
নবনির্বাচিতদের উদ্দেশ্যে একে অপরকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়ে গকসু সভাপতি ও উপাচার্য ড. মো. আবুল হোসেন বলেন, ডা. জাফরুল্লাহ মৃত্যুর আগে দ্রুত ছাত্রসংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার ব্যাপারে নির্দেশনা দিয়েছিলেন। তার জীবদ্দশায় আমরা নির্বাচন আয়োজন করতে পারিনি। তবে এখন করেছি। সুষ্ঠু ভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে পারায় নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।”
বিশ্ববিদ্যালয়টিতে চতুর্থবারের মতো অনুষ্ঠিত হওয়া এ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হয় গত ২৫ সেপ্টেম্বর। এ নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৪ হাজার ৬৭২ জন। ভোটগ্রহণের ৯ ঘণ্টা পর গণনা শেষে নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হয়।
নির্বাচনে ভিপি পদে নয়জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে চারজন এবং এজিএস পদে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া কোষাধ্যক্ষ পদে চারজন, ক্রীড়া সম্পাদক পদে তিনজন, দপ্তর সম্পাদক পদে ছয়জন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে চারজন, সহক্রীড়া সম্পাদক পদে চারজন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে তিনজন, সহসাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে দুজন, সমাজকল্যাণ ও ক্যান্টিন সম্পাদক পদে চারজন প্রার্থী হয়েছিলেন।
ঢাকা/সাব্বির/মেহেদী