বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) প্রাক্তন উপাচার্য ও খ্যাতনামা পোলট্রি স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী আন্তর্জাতিকভাবে মর্যাদাপূর্ণ ‘হল অব ফেম অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করেছেন। তিনি বাকৃবির ২৫তম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন।

গত ৬ অক্টোবর মালয়েশিয়ার সারাওয়াক প্রদেশের বোর্নিও কনভেনশন সেন্টারে শুরু হওয়া ২৩তম ওয়ার্ল্ড ভেটেরিনারি পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন (ডব্লিউভিপিএ) কংগ্রেস ২০২৫-এ তাকে এই সম্মানজনক পুরস্কার প্রদান করা হয়। সম্মেলনটি আগামীকাল শুক্রবার (১০ অক্টোবর) শেষ হবে। এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ‘টেকসই ও স্বাস্থ্যসম্মত পোলট্রি উৎপাদন, একটি সুস্থতর বিশ্বের লক্ষ্যে’।

আরো পড়ুন:

যবিপ্রবির শিক্ষার্থীর আন্তর্জাতিক স্বর্ণপদক অর্জন

একাডেমিক অ্যাক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড পেলেন বেরোবির ৪৭০ শিক্ষার্থী

বাকৃবির ভেটেরিনারি সায়েন্স অনুষদের প্যাথলজি বিভাগের অধ্যাপক ড.

 ড. এমদাদুল হক চৌধুরী পোলট্রি স্বাস্থ্যবিজ্ঞান ও এভিয়ান প্যাথলজিতে অসামান্য গবেষণা, শিক্ষা ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দীর্ঘদিনের অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে এ সম্মাননায় ভূষিত হয়েছে।

‘হল অব ফেম অ্যাওয়ার্ড’ ডব্লিউভিপিএ এর অন্যতম সর্বোচ্চ স্বীকৃতি, যা শুধু সেসব ব্যক্তিকে দেওয়া হয়, যারা বিশ্বব্যাপী পোলট্রি বিজ্ঞানে অনন্য সাফল্য অর্জন করেন।

এ অর্জনে বাংলাদেশজুড়ে পোলট্রি শিল্প সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ, গবেষক, শিক্ষক ও পেশাজীবীদের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়েছে। তারা একে দেশের জন্য এক গর্বের অর্জন ও তরুণ বিজ্ঞানীদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে দেখছেন।

বিশ্বের নানা দেশের গবেষক ও বিজ্ঞানীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এই কংগ্রেস পোলট্রি স্বাস্থ্য, টেকসই খাদ্য উৎপাদন ও বৈশ্বিক সহযোগিতা বৃদ্ধির একটি অন্যতম প্ল্যাটফর্ম হিসেবে স্বীকৃত।

ঢাকা/লিখন/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

হামাস–ইসরায়েলের সংলাপকে স্বাগত জানাল বাংলাদেশ

ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংলাপকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ বিশ্বাস করে কূটনীতি এবং সংলাপই যেকোনো সংঘাত সমাধানের একমাত্র উপায়। এই মর্মান্তিক সংকটের অবসান ঘটাতে গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক উদ্যোগকে সহজতর করার জন্য অংশীদারদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছে ঢাকা।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, বাংলাদেশ আশা করে, এই প্রক্রিয়াটি তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি, মানবিক সহায়তা প্রবেশ পুনরায় শুরু এবং গাজার জনগণের দুর্ভোগের অবসান ঘটাবে। বাংলাদেশ আরও আশা করে, সংলাপের মাধ্যমে গাজায় চলমান যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে এই কূটনৈতিক প্রক্রিয়া একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র বাস্তবায়নের পথ প্রশস্ত করবে।

গাজায় শান্তি বজায় রাখতে এবং পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় অবদান রাখতে বাংলাদেশ প্রস্তুত বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়। ১৯৬৭ সালের পূর্ববর্তী সীমান্তের অনুসরণে দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের প্রতি অটল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে ঢাকা। আর পূর্ব জেরুজালেম হবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনার প্রথম ধাপ বাস্তবায়নে গাজায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময়ে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল ও হামাস। বৃহস্পতিবার রাতে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভায় পাস হলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে বলে সরকারের মুখপাত্র জানিয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ