মা, দুই বোন ও ভগ্নিপতিকে নিয়ে অনলাইন প্রতারণা, হাতিয়ে নিল ৩৪ কোটি টাকা
Published: 9th, October 2025 GMT
অনলাইনে প্রতারণা, জুয়া ও হুন্ডির মাধ্যমে ৩৪ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে একই পরিবারের পাঁচ সদস্যসহ নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। মামলায় বলা হয়, আরিফুল ইসলাম (২৩) নামের এক যুবক এই কাজে মা, দুই বোন ও এক ভগ্নিপতিকেও ব্যবহার করতেন।
গতকাল বুধবার নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় মানি লন্ডারিং আইনে তাঁদেরসহ নয়জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় সাত-আটজনকে আসামি করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি এসব তথ্য জানায়।
এজাহারভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন আরিফুল ইসলামের মা লিলি আক্তার (৫৫), দুই বোন মোছা.
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আরিফুলের নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র টেলিগ্রাম অ্যাপের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিংয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সাধারণ মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলত। প্রথমে ছোট কিছু কাজের বিনিময়ে ৮-১০ হাজার টাকা দিয়ে ভুক্তভোগীদের আস্থা অর্জন করত। পরে তারা বড় প্রকল্পের অজুহাতে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিত। প্রতারণার পাশাপাশি চক্রটি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের দরিদ্র ও অশিক্ষিত মানুষের জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করে তাঁদের অজান্তে ভুয়া ব্যাংক ও মোবাইল আর্থিক সেবার হিসাব খুলত। এসব হিসাব ব্যবহার করা হতো অনলাইন প্রতারণা, হুন্ডি ও জুয়ার অর্থ লেনদেনে। এ ছাড়া চক্রটি ঘুষ-দুর্নীতির টাকাও হুন্ডি ও ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করত। তারা বিভিন্ন ভুয়া হিসাব ও পরিবারের সদস্যদের নামে ছোট ছোট লেনদেনের মাধ্যমে অর্থের প্রকৃত উৎস গোপন রাখত। পরে এসব অর্থ ডিজিটাল হুন্ডি ও ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে বিদেশে পাঠানো হতো।
আজ সিআইডির গণমাধ্যম শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান প্রথম আলোকে বলেন, ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শেষে মামলাটি করে সিআইডি। ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট মামলাটি তদন্ত করছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স আইড
এছাড়াও পড়ুন:
মা, দুই বোন ও ভগ্নিপতিকে নিয়ে অনলাইন প্রতারণা, হাতিয়ে নিল ৩৪ কোটি টাকা
অনলাইনে প্রতারণা, জুয়া ও হুন্ডির মাধ্যমে ৩৪ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে একই পরিবারের পাঁচ সদস্যসহ নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। মামলায় বলা হয়, আরিফুল ইসলাম (২৩) নামের এক যুবক এই কাজে মা, দুই বোন ও এক ভগ্নিপতিকেও ব্যবহার করতেন।
গতকাল বুধবার নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় মানি লন্ডারিং আইনে তাঁদেরসহ নয়জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় সাত-আটজনকে আসামি করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি এসব তথ্য জানায়।
এজাহারভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন আরিফুল ইসলামের মা লিলি আক্তার (৫৫), দুই বোন মোছা. রিমি আক্তার (৩৪) ও রুমি আক্তার (৩৬), রুমির স্বামী আবদুল কাদির জিলানি (৪০) এবং এই পরিবারের বাইরে মো. ইমরান হোসেন, (৩০), মো. নুরে আলম (৩৮), মুহা. নেয়ামতুল্লাহ (৩০) ও মো. রিয়াদ (২৫)।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আরিফুলের নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র টেলিগ্রাম অ্যাপের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিংয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সাধারণ মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলত। প্রথমে ছোট কিছু কাজের বিনিময়ে ৮-১০ হাজার টাকা দিয়ে ভুক্তভোগীদের আস্থা অর্জন করত। পরে তারা বড় প্রকল্পের অজুহাতে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিত। প্রতারণার পাশাপাশি চক্রটি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের দরিদ্র ও অশিক্ষিত মানুষের জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করে তাঁদের অজান্তে ভুয়া ব্যাংক ও মোবাইল আর্থিক সেবার হিসাব খুলত। এসব হিসাব ব্যবহার করা হতো অনলাইন প্রতারণা, হুন্ডি ও জুয়ার অর্থ লেনদেনে। এ ছাড়া চক্রটি ঘুষ-দুর্নীতির টাকাও হুন্ডি ও ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করত। তারা বিভিন্ন ভুয়া হিসাব ও পরিবারের সদস্যদের নামে ছোট ছোট লেনদেনের মাধ্যমে অর্থের প্রকৃত উৎস গোপন রাখত। পরে এসব অর্থ ডিজিটাল হুন্ডি ও ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে বিদেশে পাঠানো হতো।
আজ সিআইডির গণমাধ্যম শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান প্রথম আলোকে বলেন, ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শেষে মামলাটি করে সিআইডি। ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট মামলাটি তদন্ত করছে।