সড়ক দুর্ঘটনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক শিব শংকর রায় মারা গেছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক আসাদুজ্জামান বাদশা। তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার (৯ অক্টোবর) সকাল পৌনে ৭টার দিকে রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটা এলাকার রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কে দুর্ঘটনার শিকার হন তারা। কীভাবে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে তা জানাতে পারেনি পুলিশ।
আরো পড়ুন:
কিশোরগঞ্জে বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে
নসিমনের ধাক্কায় দুই শিশুসহ নিহত ৩
পবা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, “ছুটির দিনে দুই শিক্ষক মাছ ধরার সরঞ্জাম নিয়ে স্কুটিতে করে নওগাঁর দিকে যাচ্ছিলেন। স্কুটি চালাচ্ছিলেন আসাদুজ্জামান বাদশা, তার পেছনে ছিলেন শিব শংকর রায়। সকালে দুর্ঘটনা ঘটায় কোনো প্রত্যক্ষদর্শী পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থলে কোনো সিসিটিভি ক্যামেরাও নেই। তাই কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটেছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। স্কুটির পেছনের চাকা ফাটা অবস্থায় পাওয়া গেছে।”
তিনি বলেন, “পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেছে। আহত আসাদুজ্জামানকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত চলছে।”
ঢাকা/কেয়া/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন আহত দ র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
৮ দাবিতে গাংনীতে নার্সদের কর্মবিরতি পালন
আট দাবিতে অবস্থান ধর্মঘট ও দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স ও মিডওয়াইফারি কর্মকর্তারা।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। বাংলাদেশ নার্সেস এসোসিয়েশন (বিএনএ) গাংনী উপজেলা শাখার উদ্যোগে কর্মসূচি পালিত হয়।
আরো পড়ুন:
কুষ্টিয়ায় বিএনপির প্রার্থী বদলের দাবিতে কাফনের কাপড় পরে বিক্ষোভ
বাকৃবি শিক্ষার্থীদের রেলপথ অবরোধ
নার্স-মিডওয়াইফদের দাবির মধ্যে রয়েছে- স্বতন্ত্র নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরকে ভিন্ন অধিদপ্তরের সঙ্গে একীভূত করার অপচেষ্টা বন্ধ এবং জাতীয় নার্সিং কমিশন গঠন। নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর কর্তৃক প্রস্তাবিত নিয়োগবিধি, অর্গানোগ্রাম, স্ট্যান্ডার্ড সেট-আপ এবং ক্যারিয়ার প্যাথ অনুমোদন ও বাস্তবায়ন। নার্সদের পরবর্তী উচ্চতর পদগুলোতে (৯ম হতে ৪র্থ গ্রেড) পদোন্নতি। দ্রুত সময়ের মধ্যে নার্সিং সুপারভাইজার এবং নার্সিং ইন্সট্রাক্টর পদগুলো ৯ম গ্রেডে উন্নীত করা। ডিপ্লোমা নার্স-মিডওয়াইফদের সনদকে স্নাতক (পাশ) সমমান দেওয়ার পাশাপাশি সব গ্রাজুয়েট নার্স-মিডওয়াইফদের জন্য প্রফেশনাল বিসিএস চালু করা।
বেসরকারি স্বাস্থ্য সেবা এবং নার্সিং ও মিডওয়াইফারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নার্স নিয়োগের ক্ষেত্রে একটি সুনির্দিষ্ট নিয়োগ-বিধি ও মানসম্মত বেতন কাঠামো এবং অপ্রশিক্ষিত ও নিবন্ধনবিহীন ভুয়া নার্স-মিডওয়াইফদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ ও নার্স-মিডওয়াইফদের ঝুঁকিভাতা প্রদানসহ নার্সিং ইউনিফরম পরিবর্তন করতে হবে। শয্যা, রোগী ও চিকিৎসক অনুপাতে নার্স-মিডওয়াইফদের পদ সৃজন ও নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানান।
নার্সিং সুপারভাইজার নুরুন্নাহার খাতুন ও নার্সিং সুপারভাইজার আমেনা খাতুনের নেতৃত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সিনিয়র স্টাফ নার্স মোছা. রোকেয়া খানম, মোছা. রাফিজা খাতুন, শাহিনা খাতুন, সাহারা খাতুন, আসমা আক্তার,মিম্মা খাতুন, রেখসোনা খাতুন, মিডওয়াইফ মোছা. জান্নাতুল ফেরদাউস ও নার্গিস পারভিন।
ঢাতা/ফারুক/মাসুদ