অনলাইনে ইলিশ বিক্রির নিবন্ধন পেলেন চাঁদপুরের ৭ ব্যবসায়ী
Published: 10th, October 2025 GMT
অনলাইনে ইলিশ বিক্রির নিবন্ধন সনদ পেয়েছে চাঁদপুরের সাতটি প্রতিষ্ঠান। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকদের হাতে নিবন্ধন সনদ তুলে দেন।
নিবন্ধন পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো ‘ইলিশ ভাইয়া চাঁদপুর’, ‘মাছ পল্লী’, ‘একিন শপ’, ‘তাজা ইলিশ.কম’, ‘ইলিশ রানী’, ‘রুপালী বাজার’, ‘সজীব ইলিশের বাজার, চাঁদপুর’(ফেসবুক পেজের নাম অনুযায়ী)।
আরও পড়ুনইলিশ রক্ষার অভিযানে জেলেদের হামলা, ফিরে গেল আভিযানিক দল০৮ অক্টোবর ২০২৫প্রতারণা ঠেকাতে এই নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক। তিনি বলেন, ৪৪ জন আবেদন জানিয়েছিলেন। যাচাই-বাছাই করে প্রাথমিকভাবে সাতজন ব্যবসায়ীকে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের নিবন্ধন প্রতিবছর দেওয়া হবে। নিবন্ধনের জন্য আপাতত কোনো টাকা নেওয়া হয়নি। পরে এক থেকে দুই বছরের জন্য নবায়নপদ্ধতি চালু করা হতে পারে। আবার নতুন করে নিবন্ধন দিলে তখনো টাকা নেওয়া হবে না। এগুলোর মধ্যে কেউ যদি ব্যবসা বন্ধ রাখেন, তাঁর নিবন্ধন বাতিল করা হবে। মূলত, ইলিশ নিয়ে চাঁদপুরের যে ঐতিহ্য, সেটি সমুন্নত রাখা দরকার।
আরও পড়ুনচাঁদপুর ঘাট ভরা ছোট ইলিশে, বড় ইলিশের কেজি ২ হাজার টাকা৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, নিবন্ধিত ব্যবসায়ীদের তালিকা জেলা প্রশাসকের ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে। এতে করে বাকি যাঁরা আছেন, তাঁরাও নিবন্ধিত হওয়ার জন্য আগ্রহী হবেন। আর যাঁরা বাইরে থেকে প্রতারণা করছেন, তাঁরা এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকবেন। এ বিষয়ে প্রচার চালানো হবে।
জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এরশাদ উদ্দিন। আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার (এসপি) মুহম্মদ আবদুর রকিব, সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জামিউল হিকমাসহ সরকারি অন্যান্য দপ্তরের কর্মকর্তারা।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকায় বিএনপির প্রার্থী সানজিদা ইসলামের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার মামলা
চার বিয়ে নিয়ে একটি মন্তব্যের জন্য ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে ঢাকা-১৪ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী সানজিদা ইসলামের (তুলি) বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। হোসাইন মোহাম্মদ আনোয়ার নামের এক ব্যবসায়ী আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুর রহমানের আদালতে এই মামলা করেন।
বাদীর আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ‘ধর্ম অবমাননার ঘটনায় আমরা আদালতে মামলা করেছি। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।’
অভিযোগে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৪১ অনুযায়ী ধর্মচর্চার অধিকার হলো মানুষের মৌলিক অধিকার। ‘বিবাহ’ হলো ইসলাম ধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ রীতিনীতি ও বিধান। পবিত্র কোরআনে সুরা নিসার ৩ নম্বর আয়াত অনুযায়ী একজন মুসলিম পুরুষ ৪টি পর্যন্ত বিবাহ করতে পারবেন। অন্যদিকে বাংলাদেশের প্রচলিত আইন ‘মুসলিম পার্সোনাল ল’ (শরিয়ত) অ্যাপ্লিকেশন অ্যাক্ট, ১৯৩৭’ ধারা (২) অনুযায়ী বিবাহ, ভরণপোষণ, তালাক ইত্যাদি ক্ষেত্রে বিদ্যমান পক্ষগণ যদি মুসলিম হন, সে ক্ষেত্রে ইসলামি শরিয়াহ আইন প্রযোজ্য হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো নাগরিক ধর্ম প্রতিপালন না–ও করতে পারে, কিন্তু ধর্মকে অপমান করা এবং ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত করার অধিকার কারও নেই।
অভিযোগে আরও বলা হয়, বিবাদী সানজিদা ইসলাম তুলি ইসলামে বিবাহ ইস্যুতে অবমাননাকর বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি ইসলাম ধর্মকে অপমান করেছেন এবং মুসলমানদের ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত করেছেন, যা দণ্ডবিধির ২৯৫(ক) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এ বিষয়ে সানজিদা ইসলামের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি ১৫ নভেম্বর ফেসবুকে দেওয়া একটি পোস্টের কথা উল্লেখ করেন। ওই পোস্টে তিনি বলেছিলেন, ‘আজ নারীর অধিকার নিয়ে বলতে গিয়ে আমি চার বিয়ের ব্যাপারে ইসলামের বিধানের বিরুদ্ধে কিছু বলিনি। কোরআন ও সুন্নাহতে একাধিক বিয়ের অনুমতি আছে, তবে শর্ত হলো ন্যায়বিচার (সুরা নিসা ৪:৩)। ইসলামে একজন পুরুষ সর্বোচ্চ চারটি বিয়ে করতে পারে, তবে কঠোর শর্ত হলো—প্রতিটি স্ত্রীকে সময়, অর্থ, অধিকার ও মর্যাদায় পূর্ণ সমান ন্যায়বিচার করতে হবে। কোরআন স্পষ্ট নির্দেশ দেয়: যদি ন্যায়বিচার করা সম্ভব না হয়, তবে ‘একটিতেই সীমাবদ্ধ থাকো’ (সুরা আন-নিসা ৪:৩)।’
সানজিদা ইসলাম আরও বলেন, ‘আমাদের বুঝতে হবে—ইসলাম নারীর সম্মান, অধিকার ও নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে। তাই শুধু আইনের একটি অংশ ধরে নয়, পুরো নির্দেশনা অনুসারে চলা জরুরি। সমাজের দায়িত্ব হলো নারীর সকল অধিকার নিশ্চিত করা এবং তাদের প্রতি সম্মান বজায় রাখা। তাই আমার বক্তব্য ছিল শুধু এই—আমাদের বোনদের ধোঁকা দিয়ে লুকিয়ে বিয়ে করা, তাদের হক থেকে বঞ্চিত করা এবং প্রতারণা করা ইসলামের শিক্ষা নয়। ইসলাম ন্যায়, স্বচ্ছতা ও আমানতের ওপর জোর দেয়, প্রতারণার ওপর নয়।’