একটি বিভাগ হওয়ার জন্য সব যোগ্যতা থাকার পরও কুমিল্লাকে যুগের পর যুগ ধরে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে। কুমিল্লার মানুষ বিভাগের জন্য আন্দোলন করেছে, বিভাগ হয়েছে রংপুরে, কুমিল্লার মানুষ আন্দোলন করেছে, বিভাগ হয়েছে ময়মনসিংহে। প্রতিবারই দেখা গেছে, যখনই কুমিল্লা বিভাগ ঘোষণার সময় হয় বা দ্বারপ্রান্তে থাকে, তখনই শুরু হয় ষড়যন্ত্র।

কুমিল্লা বিভাগ বাস্তবায়ন ও দ্রুত ঘোষণার দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। আজ শুক্রবার বিকেলে নগরের কান্দিরপাড় এলাকার পূবালী চত্বরে ‘বৃহত্তর কুমিল্লা কনটেন্ট ক্রিয়েটর অ্যাসোসিয়েশন ও বৃহত্তর কুমিল্লার জনসাধারণের উদ্যোগে’ এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা থেকে সর্বস্তরের লোকজন অংশ নেন। সমাবেশ শেষে কুমিল্লা বিভাগ বাস্তবায়নের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি নগরের কান্দিরপাড় থেকে শুরু হয়ে প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

কর্মসূচিতে কয়েক হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। এতে কান্দিরপাড়সহ আশপাশের সড়কগুলোতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় ‘কুমিল্লা, কুমিল্লা’, ‘তুমি কে আমি কে, কুমিল্লা কুমিল্লা’, ‘কুমিল্লা বিভাগ, কুমিল্লা বিভাগ’সহ বিভিন্ন¯স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা কান্দিরপাড় এলাকা। সমাবেশে অন্তর্বর্তী সরকারকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়, সাত দিনের মধ্যে কুমিল্লা বিভাগ বাস্তবায়নের ঘোষণা দেওয়া না হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অচল করে দেওয়া হবে। এ ছাড়া কুমিল্লাকে নিয়ে নোয়াখালীর লোকজন বিষোদ্গারমূলক বক্তব্য দেওয়ায় সেটির ক্ষোভ প্রকাশ করেন বক্তারা।

কুমিল্লা বিভাগ বাস্তবায়নের দাবিতে সমাবেশ। শুক্রবার বিকেলে নগরের কান্দিরপাড় এলাকার পূবালী চত্বরে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

৮ দাবিতে গাংনীতে নার্সদের কর্মবিরতি পালন

আট দাবিতে অবস্থান ধর্মঘট ও দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স ও মিডওয়াইফারি কর্মকর্তারা।

বুধবার (২৬ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। বাংলাদেশ নার্সেস এসোসিয়েশন (বিএনএ) গাংনী উপজেলা শাখার উদ্যোগে কর্মসূচি পালিত হয়।

আরো পড়ুন:

কুষ্টিয়ায় বিএনপির প্রার্থী বদলের দাবিতে কাফনের কাপড় পরে বিক্ষোভ

বাকৃবি শিক্ষার্থীদের রেলপথ অবরোধ

নার্স-মিডওয়াইফদের দাবির মধ্যে রয়েছে- স্বতন্ত্র নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরকে ভিন্ন অধিদপ্তরের সঙ্গে একীভূত করার অপচেষ্টা বন্ধ এবং জাতীয় নার্সিং কমিশন গঠন। নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর কর্তৃক প্রস্তাবিত নিয়োগবিধি, অর্গানোগ্রাম, স্ট্যান্ডার্ড সেট-আপ এবং ক্যারিয়ার প্যাথ অনুমোদন ও বাস্তবায়ন। নার্সদের পরবর্তী উচ্চতর পদগুলোতে (৯ম হতে ৪র্থ গ্রেড) পদোন্নতি। দ্রুত সময়ের মধ্যে নার্সিং সুপারভাইজার এবং নার্সিং ইন্সট্রাক্টর পদগুলো ৯ম গ্রেডে উন্নীত করা। ডিপ্লোমা নার্স-মিডওয়াইফদের সনদকে স্নাতক (পাশ) সমমান দেওয়ার পাশাপাশি সব গ্রাজুয়েট নার্স-মিডওয়াইফদের জন্য প্রফেশনাল বিসিএস চালু করা।

বেসরকারি স্বাস্থ্য সেবা এবং নার্সিং ও মিডওয়াইফারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নার্স নিয়োগের ক্ষেত্রে একটি সুনির্দিষ্ট নিয়োগ-বিধি ও মানসম্মত বেতন কাঠামো এবং অপ্রশিক্ষিত ও নিবন্ধনবিহীন ভুয়া নার্স-মিডওয়াইফদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ ও নার্স-মিডওয়াইফদের ঝুঁকিভাতা প্রদানসহ নার্সিং ইউনিফরম পরিবর্তন করতে হবে। শয্যা, রোগী ও চিকিৎসক অনুপাতে নার্স-মিডওয়াইফদের পদ সৃজন ও নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানান।

নার্সিং সুপারভাইজার নুরুন্নাহার খাতুন ও নার্সিং সুপারভাইজার আমেনা খাতুনের নেতৃত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সিনিয়র স্টাফ নার্স মোছা. রোকেয়া খানম, মোছা. রাফিজা খাতুন, শাহিনা খাতুন, সাহারা খাতুন, আসমা আক্তার,মিম্মা খাতুন, রেখসোনা খাতুন, মিডওয়াইফ মোছা. জান্নাতুল ফেরদাউস ও নার্গিস পারভিন।

ঢাতা/ফারুক/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ