সিদ্ধিরগঞ্জে জুলাই ফাউন্ডেশনে জিজ্ঞাসাবাদের নামে আহতদের উপর নির্যাতন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বিকালে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড়ে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আহত জুলাই যোদ্ধাদের উদ্যোগে এ মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় বক্তব্য রাখেন, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আহত জুলাই যোদ্ধা এবং জুলাই ফাউন্ডেশনে নির্যাতনের শিকার জাহাঙ্গীর হোসেন এবং আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে দায়েরকৃত হত্যা মামলার প্রধান স্বাক্ষী জুলাই যোদ্ধা রাহাত হোসেন।

আহত জুলাই যোদ্ধা জাহাঙ্গীর হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, আমি আর্থিক সহযোগিতার জন্য জুলাই ফাউন্ডেশনে আবেদন করি। তিন মাস পর আমাকে ডেকে নেয়। ডেকে নেওয়ার পর আমাকে বসিয়ে আমার সাথে অনেক খারাপ আচরণ করে।

এরপর আমাকে ভিতরে একটি নিয়ে যায় সেখানে অফিসের কোন কাজ চলে না পরিত্যক্ত। তিনটি রুম আছে টর্চার সেলের মত। এর ভিতরে ঢালাই বিছানা রয়েছে এবং জিআই পাইপ থাকে। এসময় জিআই পাইপ দিয়ে আমাকে বেধরক পিটায়।

তখন সইতে না পেরে আমার দুই ভাইকে ফোন দেই এবং তারা তাদেরকে বলে আপনারা তাকে মাইরেন না সে আসলেই জুলাই যোদ্ধা। আমাদের কাছে প্রমাণ আছে, মেডিকেলের কাগজপত্র রয়েছে। এরপরও আমার কাছ থেকে স্বীকারোক্তি নেওয়ার জন্য ইচ্ছামত পিটায়। এরপর আমি সেখান থেকে চলে এসে হাসপাতালে ভর্তি হই। সে কাগজপত্রও আমার কাছে আছে।

আমার মনে একটাই কষ্ট স্বৈরাচার হাসিনা দেশ ছেড়ে পালাইছে কিন্তু জুলাই ফাউন্ডেশন যে একটা স্বৈরাচারের ফাউন্ডেশন আমার আগে জানা ছিল না। ওইটার ভিতরে যাওয়ার পরই আমি বুঝছি যে এটা একটা টর্চার সেল। আমাকে এমন ভাবে মারধর করছে সেটা বলার মত না, একটা পশুকেও মানুষ এভাবে মারধর করে না।

ড.

ইউনুছের কাছে আমি এটার বিচার চাই। আমাকে যে ছেলেটা মারধর করছে তার নাম সাহেদ। ওর সাথে আরো ৫/৬ জন ছিল। ওকে ধরে আইনের আওতায় আনলেই সে সব স্বীকার করবে।

আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে দায়েরকৃত হত্যা মামলার প্রধান স্বাক্ষী জুলাই যোদ্ধা রাহাত হোসেন বলেন, ৫ই আগষ্টের পরে নতুন পরবর্তী যে সাম্য, সামাজিক ন্যায় বিচারের বাংলাদেশের জন্য, এমনকি জুলাই আহত এবং শহীদ পরিবারের পূনর্বাসন এবং তাদেরকে আর্থিক সহযোগিতার জন্য যে জুলাই শহীদ ও স্মৃতি ফাউন্ডেশন নামক ড. ইউনুছের একটা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছিল মানব কল্যাণের জন্য বা আহত কিংবা শহীদ পরিবারকে সহযোগিতা করার জন্য।

সেই প্রতিষ্ঠানের কিছু কিছু কর্মরত ব্যক্তিরা জিজ্ঞাসাবেদর নামে জুলাই যোদ্ধাদের ডেকে নিয়ে তাদেরকে যে অত্যাচার নির্যাতন করা হয়েছে এই এখতিয়ার কিন্তু জুলাই ফাউন্ডেশনের নাই। আমরা চাই এর দৃষ্টান্ত মূলক বিচার হউক। ড. ইউনুছের কাছে আবেদন এই বিষয়টি উদঘাটন করে যেন সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।  

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জুলাই যোদ্ধা সাবিনা ইয়াছমিন, সুমন খান, আল আমিন, সিরাজুল, বুলবুল সিকদার, যুবায়ের, মেদেহী, বাবু, রুবেল, মাসুম, রাকিবুল হোসেন, আলমগীর, নাদিম, ইয়াসিন, মুন্না, সাব্বির হোসেন, সৌরভ, রতন ও শ্রাবণসহ প্রমূখ।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

নাসিক ৬নং ওয়ার্ডে ডেঙ্গু প্রতিরোধে বিএনপির মশক নিধন কর্মসূচি

ডেঙ্গু প্রতিরোধে সিদ্ধিরগঞ্জে নাসিক ৬নং ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে মশক নিধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

শুক্রবার (৯ অক্টোবর) বিকালে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের (নাসিক) সিদ্ধিরগঞ্জের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সুমিলপাড়া আইলপাড়া এলাকায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদের নির্দেশনায় এ কর্মসূচি পালন করা হয়। 

এসময় ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় ফগার মেশিন দিয়ে মশার ঔষধ স্প্রে করা হয় এবং পাশাপাশি জনসাধারণের মাঝে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক ঘোষিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করা হয়। এছাড়াও আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তারা ধানের শীষের পক্ষে প্রচরণা চালায়।

ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো: মনির হোসেন বলেন, বর্তমানে বৃষ্টির মৌসম হওয়ায় ঘন ঘন বৃষ্টি হওয়ার কারণে চারপাশে জমে থাকা পানি থেকে এডিস মশার জন্ম হয়। সেজন্য এলাকায় অনেকেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। আমরা সাধ্যমত এলাকায় মশা নিধনের জন্য ঔষধ ছিটাইতেছি।

আল্লাহর কাছে দোয়া করি যেন আমাদেরকে এই মহামারী থেকে রক্ষা করে। আমাদের দলের নির্দেশনা জনগণের পাশে থাকা, সেই নির্দেশনা মোতাবেক ৬নং ওয়ার্ড বিএনপি ও সকল অঙ্গ সংগঠন তিন ধরে বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় ঔষধ ছিটাচ্ছি।

পাশাপাশি জনসাধারণকে সচেতন করার জন্য কাজ করছি। আমাদের নেতা অধ্যাপক মামুন মাহমুদ আমাদেরকে সার্বিক সহযোগিতা করছে। আগামী দিনগুলোতেও আমরা জনসাধারণের পাশে থাকব।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ও নাসিক ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি অকিল উদ্দিন ভুইঁয়া, নাসিক ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো: মনির হোসেন, সহ-সভাপতি ওয়াসিম আসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুবেল হোসেন মিন্টু, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, বিএনপি নেতা মামুন খন্দকার, সোনামিয়া বাজার বণিক সমিতির সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা হুমায়ুন, ৬নং ওয়ার্ড যুবদলের সহ-সভাপতি হানিফ ব্যাপারী, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন মিন্টু, বিএনপি নেতা রুহুল আমিন, যুবদল নেতা আলী হোসেন, আরমান, আসলাম, ওমর শরীফ,নাদিম, সেলিম, সাজ্জাদ, শ্রমিকদল নেতা মিলন, আলম,  সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিরা। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পাকিস্তানের হামলার বদলা নিয়েছে আফগানিস্তান, সীমান্তের বড় এলাকাজুড়ে গোলাগুলি
  • নাগরিক সুবিধা নেই, অর্থবিত্ত হলেই ঢাকা চলে যায় : দিপু
  • সিদ্ধিরগঞ্জে ইয়াবা ও চোলাই মদসহ ২ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার
  • মা ইলিশ রক্ষার অভিযান: ৫০ হাজার মিটার অবৈধ জাল ধ্বংস
  • শিবচরে এক্সপ্রেসওয়েতে বাস-কাভার্ডভ্যান সংঘর্ষ, নিহত ১, আহত ১০
  • নাসিক ৬নং ওয়ার্ডে ডেঙ্গু প্রতিরোধে বিএনপির মশক নিধন কর্মসূচি
  • তারাব পৌরসভায় নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্র পরিদর্শনে এডিবির প্রতিনিধি দল
  • বিদেশে গিয়ে জরুরি কাগজপত্র হারিয়ে গেলে যা করবেন
  • যশোরে প্রতিবেশীর হামলায় নারী-শিশুসহ আহত ৪