নীল সমুদ্রে চুম্বনে মগ্ন কেটি পেরি-জাস্টিন ট্রুডো
Published: 12th, October 2025 GMT
নীল সমুদ্রে ভাসছে বিলাসবহুল ইয়ট। হলিউডের ৪০ বছর বয়সি আলোচিত গায়িকা কেটি পেরির নিজস্ব ইয়ট এটি। ইয়ট কারাভেলের ডেকে কালো সুইম স্যুট পরে দাঁড়িয়ে আছেন কেটি পেরি। তাকে জড়িয়ে ধরে চুম্বনরত ৫৩ বছর বয়েসি কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। শার্টবিহীন ট্রুডোর পরনে শুধু জিনস। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একাধিক স্থিরচিত্রে এমন দৃশ্য দেখা যায়।
জাস্টিন ট্রুডো আর গায়িকা কেটি পেরি প্রেম করছেন, এ খবর সবারই জানা। গত কয়েক মাসে তাদের নানা জায়গায় রোমান্টিক মুডে দেখা গেছে। এবার তাদের পাওয়া গেল একটি ইয়টে। এসব ছবি প্রথমে ফাঁস করে যুক্তরাজ্যভিত্তিক গণমাধ্যম ডেইলি মেইল। তারপর সোশ্যল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে এসব ছবি।
আরো পড়ুন:
সংসার ভাঙার কারণে স্বামীকে ১১ মিলিয়ন ডলার দিতে হবে অভিনেত্রীর?
ভেঙে গেল নিকোল কিডম্যানের ১৯ বছরের সংসার
ডেইলি মেইল জানিয়েছে, ছবিগুলো যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা বারবারা উপকূলে সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে এক পর্যটকের ক্যামেরায় ধরা পড়েন কেটি পেরি-ট্রুডো।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী সংবাদমাধ্যমটিকে বলেন, “তারা একটি পর্যটক নৌকার কাছে এসে থামেন। এরপর হঠাৎই একে অপরকে চুম্বন করতে শুরু করেন। প্রথমে বুঝতে পারিনি, পরে ট্রুডোর হাতে থাকা ট্যাটুটি দেখে চিনে ফেলি।”
গত জুলাইয়ে কেটি পেরি আর ট্রুডোর প্রেমের গুঞ্জন প্রথম চাউর হয়। তাদেরকে মন্ট্রিয়লের একটি রেস্তোরাঁয় রাতের খাবার খেতে দেখা যায়। এর কিছুদিন পরই তারা একসঙ্গে মাউন্ট রয়্যাল পার্কে হাঁটতে বের হন। ট্রুডোকে পরবর্তীতে কেটি পেরির কানাডায় অনুষ্ঠিত ‘লাইফটাইমস’ ট্যুর-এর দর্শক সারিতেও দেখা গেছে। যদিও এ সম্পর্ক নিয়ে এখনো টুঁ-শব্দ করেননি জাস্টিন ট্রুডো কিংবা কেটি পেরি।
অভিনেতা অরল্যান্ডো ব্লুমের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন কেটি পেরি। গত জুন মাসে দীর্ঘ নয় বছরের সম্পর্কের ইতি টানেন তারা। এ সম্পর্কে তাদের ডেইজি ডাভ (৫) নামে একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।
অন্যদিকে, দুই বছরে আগে স্ত্রী সোফির সঙ্গে ট্রুডোর বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। এ সংসারে তাদের জেভিয়ার (১৭), এলা-গ্রেস (১৬) ও হ্যাড্রিয়েন (১১) নামে তিনটি সন্তান রয়েছে।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
সম্পদ ও সন্তান লাভের জন্য প্রার্থনা
জীবনের এমন অনেক মুহূর্ত আসে যখন মনে হয়, সবকিছু যেন থমকে দাঁড়িয়েছে। আয়ের উৎস শুকিয়ে যাওয়া, পরিবারের উদ্বেগ বাড়তে থাকা বা জীবনে বরকতের অভাব—এসব চাপে মানুষের মন ভারী হয়ে ওঠে। ইসলামে এমন সময়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
এমন একটি দোয়া মহানবী মুহাম্মদ (সা.) তাঁর সেবক আনাস ইবনে মালিক (রা.)-এর জন্য করেছিলেন। এই দোয়া শুধু ধন-সম্পদ ও সন্তানের বৃদ্ধি চায় না, বরং সবকিছুতে আল্লাহর বরকত কামনা করে।
দোয়ার উৎস ও প্রেক্ষাপটহাদিসে বর্ণিত, আনাস (রা.)-এর মা উম্মে সুলাইম নবীজিকে বলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! আপনার এই সেবক আনাসের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করুন।’ তখন নবীজি (সা.) দোয়া করেন: ‘আল্লাহুম্মা আকসির মালাহু ওয়া ওয়ালাদাহু, ওয়া বারিক লাহু ফীমা আ'তাইতাহু।’
এই দোয়ার ফলাফল অবিশ্বাস্য: আনাস (রা.) ১০৩ বছর বেঁচে ছিলেন এবং পৌত্রাদি মিলিয়ে তিনি ১২০-এরও বেশি সন্তান লাভ করেন। তাঁর জীবন ছিল বরকতের জীবন্ত উদাহরণ।আরও পড়ুনতাকওয়া মুমিনের সবচেয়ে বড় সম্পদ৩০ জুন ২০২৫অর্থাৎ, হে আল্লাহ! তার ধন-সম্পদ ও সন্তান বাড়িয়ে দাও এবং তুমি যা দান করেছ, তাতে তার জন্য বরকত দান করো। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬,৩৪৪)
আনাস (রা.) তখন মাত্র দশ বছরের একটি ছেলে, যিনি নবী (সা.)-এর সেবায় নিয়োজিত ছিলেন। এই দোয়ার ফলাফল অবিশ্বাস্য: আনাস (রা.) ১০৩ বছর বেঁচে ছিলেন এবং তাঁর তিনি পৌত্রাদি মিলিয়ে ১২০-এরও বেশি সন্তান লাভ করেন (সহিহ মুসলিম থেকে বর্ণিত)। তাঁর জীবন ছিল বরকতের জীবন্ত উদাহরণ।
দোয়ার উদ্দেশ্য শুধু ধন নয়, বরকতএই দোয়ার সৌন্দর্য এতে যে এটি ধন-সম্পদের পাশাপাশি বরকতের জন্য প্রার্থনা করে। ইসলামে ধনকে শুধু সঞ্চয় নয়, বরং আল্লাহর নেয়ামত হিসেবে দেখা হয়। নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘ধন বেড়ে গেলেও যদি বরকত না থাকে, তাহলে তা ধুলোর মতো উড়ে যায়।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬,৪৩৯)
আরও পড়ুনসন্তান প্রতিপালনে ধর্মের দাবি১৯ মে ২০২৫ধন বেড়ে গেলেও যদি বরকত না থাকে, তাহলে তা ধুলোর মতো উড়ে যায়।’সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬,৪৩৯আধুনিক জীবনে এর প্রাসঙ্গিকতা আরও বেশি। অর্থনৈতিক সংকট, চাকরির অনিশ্চয়তা বা পরিবারের চাপে অনেকে কষ্ট পান। কিন্তু এই দোয়া স্মরণ করিয়ে দেয় যে, সত্যিকারের সমৃদ্ধি আল্লাহর রহমতে। সন্তানের ক্ষেত্রেও তাই—সন্তান লাভের সঙ্গে তাদের সুস্থতা, শান্তি ও ইমানের বরকত চাওয়া জরুরি।
আজকের দিনে, যখন পরিবারের আকার ছোট হচ্ছে এবং অর্থের চাপ বাড়ছে। গবেষণায় দেখা গেছে, ধর্মীয় অনুশীলন (যেমন দোয়া) মানসিক চাপ কমায় এবং জীবনে ইতিবাচকতা বাড়ায়। ইসলামি ঐতিহ্যে এই দোয়া শুধু ব্যক্তিগত নয়, পরিবারের জন্যও ব্যবহার করা যায়।
দোয়ার সঙ্গে সদকা দেওয়া, কোরআন তিলাওয়াত এবং হালাল উপার্জনের চেষ্টা করুন—এগুলো বরকতের দরজা খোলে।
আরও পড়ুনসন্তান প্রতিপালনে মহানবী (সা.)-এর ১০টি নির্দেশনা২০ আগস্ট ২০২৫