কক্সবাজারের টেকনাফে পাহাড়-সংলগ্ন রঙ্গিখালী এলাকায় দুই অস্ত্রধারী গ্রুপের মধ্যে রাতভর গোলাগুলি হয়েছে। এতে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে স্থানীয়দের মধ্যে।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে শুরু হয়ে টানা তিন ঘণ্টা ধরে থেমে থেমে গোলাগুলি চলে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গিখালী উলুচামারি এলাকায়।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে টেকনাফের হ্নীলা পাহাড়ি অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সশস্ত্র গ্রুপগুলোর মধ্যে বিরোধ চলছে। এসব গ্রুপের মধ্যে আছে মাদক কারবারি, ডাকাত ও অপহরণকারী। ফলে, এলাকাবাসী সব সময় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।

স্থানীয়রা আরো জানান, এসব সশস্ত্র গ্রুপ মাদক, অপহরণ ও ডাকাতিসহ নানা অপকর্মে লিপ্ত। তারা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে আসছে। কেউ তাদের বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস পায় না।

উলুচামারির বাসিন্দা জিসান উদ্দিন মিজবাহ বলেছেন, “গভীর রাতে হঠাৎ গুলির শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। মনে করেছিলাম, সীমান্ত এলাকায় গুলি চলছে। পরে জানতে পারি, আমাদের গ্রামের দুই বন্দুকধারী বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ হচ্ছে। দীর্ঘক্ষণ গুলির শব্দ শুনতে পাই।”

স্থানীয় বাসিন্দা শামসুন্নাহার বলেন, “রাতভর গুলির আওয়াজে ঘুমাতে পারিনি। ছেলে-মেয়েরা ভয়ে কেঁপে উঠেছে।”

স্থানীয়দের অভিযোগ, পাহাড়ি এলাকায় ডাকাত ও মাদক কারবারিরা অপরাধ সংঘটনের পর সহজেই পাহাড়ে লুকিয়ে পড়ে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যাপ্ত নজরদারি না থাকায় তাদের দৌরাত্ম্য দিন দিন বেড়েই চলেছে।

উখিয়া-টেকনাফ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাকিবুল হাসান বলেছেন, “গোলাগুলির খবর আমরা পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

ঢাকা/তারেকুর/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এল ক য়

এছাড়াও পড়ুন:

রূপনগরে কেমিক্যাল গোডাউন থেকে এখনো ধোঁয়া বের হচ্ছে

রাজধানীর মিরপুরের রূপনগরে মঙ্গলবার কেমিক্যাল গোডাউনে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বুধবার। তবে আগুন লাগার প্রায় ৪৮ ঘণ্টা পার হলেও এখনো সম্পূর্ণ নির্বাপণ করা যায়নি।

ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, এখনো গোডাউন থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠছে। বর্তমানে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট কাজ করছে।

আরো পড়ুন:

হাসান হাফিজের জন্মদিনে ওয়ালটনের শুভেচ্ছা

খবরের কাগজের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ওয়ালটনের শুভেচ্ছা

এদিকে, সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ভয়াবহ এই আগুনে এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। আগুনে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে বিষয়টি জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার লিমা খানম।

তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, “এখনো ঘটনাস্থল থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠছে। ৪টি ইউনিট কাজ করছে আগুন সম্পূর্ণ নির্বাপণ করার জন্য। পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। নতুন করে আগুন সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা নেই।”

ঢাকা/এমআর/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ