রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ(রাকসু), হল সংসদ ও সিনেট-এ ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। এ নির্বাচনের বেশকিছু অসঙ্গতি তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বামধারার ‘গণতান্ত্রিক শিক্ষার্থী পর্ষদ’ প্যানেলের প্রার্থীরা। 

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অসঙ্গতি তুলে ধরেন প্যানেলটির ভিপি প্রার্থী ফুয়াদ রাতুল। 

আরো পড়ুন:

রাকসু নির্বাচন: ভোট গণনা শুরু, দেখানো হচ্ছে এলইডি স্ক্রিনে

রাকসু নির্বাচন: ভোট পড়েছে ৬৯.

৮৩ শতাংশ

ফুয়াদ রাতুল বলেন, “রাকসু নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হলেও শুরু থেকেই আমরা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের ঘাটতি দেখতে পেয়েছি। কিছু প্যানেল সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিতের শর্তকে বিঘ্ন করে মাত্রাতিরিক্ত অর্থ খরচ করেছে। উপহার বিলি, ভুরিভোজ আয়োজন, শিক্ষার্থীদের প্রাইভেসি লঙ্ঘনের মতো ঘটনার বিরুদ্ধে প্রশানের উদ্যোগ আমরা দেখতে পাইনি।” 

তিনি বলেন, “সর্বশেষ ভোটের দিন একটি প্যানেলকে অবাধে চোথা বিলি করতে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু গণতান্ত্রিক শিক্ষার্থী পর্ষদ অচরণবিধি মেনে ভোট কেন্দ্র থেকে ৫০ গজ দূরে প্রচারণা চালাতে গেলে বাঁধা প্রদান করা হয়। শহীদুল্লাহ হলের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীরা ভোটকেন্দ্রের ভেতর শিবিরের প্যানেলের প্রচার চালাতে দিয়েছে বলে আমরা অভিযোগ পেয়েছি।”

তিনি আরো বলেন, “কিছু হলের প্রার্থীরা একের অধিক ব্যালট প্রাপ্তির কথাও জানিয়েছে। বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে ইচ্ছাকৃত লাইন জ্যামিংয়ের ঘটনা আমরা দেখেছি। এছাড়া রাকসুতে অংশগ্রহণ করা দুটি প্যালেনের দলীয় নেতাকর্মীরা কাজলা ও বিনোদপুর গেটে স্থানীয় নেতাকর্মীদের জমায়েত ঘটিয়েছে, যা ক্যাম্পাসে এক ধরনের ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।”

এর আগে, সকাল ৯টায় শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে এ ভোটগ্রহণ। রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে ভোট গণনা শুরু হয়েছে। গণনা শেষ হলেই প্রকাশ করা হবে ফলাফল।
 

ঢাকা/কেয়া/ফাহিম/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পরীক্ষায় ভালো করার ৫ টিপস

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষার্থী মেধা যাচাই পরীক্ষার মাধ্যমেই তোমাদের প্রাথমিক বৃত্তি নির্ধারণ করা হবে। পরীক্ষা শুরু হবে ২১ ডিসেম্বর। সে হিসেবে পরীক্ষার সময় কম। এ সময়ের মধ্যে চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিতে হবে।

১.

সারা বছর তোমরা নিয়মিত পড়াশোনা করেছ। এখন যে বিষয়গুলো পড়েছ, তা ধারাবাহিকভাবে রিভিশন দিয়ে চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিতে হবে।

২.

বাংলা বিষয়ের প্রশ্নের সিলেবাস বেশ বড়। মোট ১৫ ধরনের বিভিন্ন  প্রশ্নের ওপর পরীক্ষা হবে। নির্ধারিত সময়ে সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া কঠিন হবে। তাই সময়ের দিকে অবশ্যই খেয়াল রাখবে।

৩.

ইংরেজি বিষয়ে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় বানান ভুল যেন না হয়, সেদিকে নজর রাখবে। বানান ভুল হলে পরীক্ষকেরা বিরক্ত হবেন। কথাটা মনে রেখো।

আরও পড়ুনজুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা—বিজ্ঞান : টিকটিকি সরীসৃপ কেন২ ঘণ্টা আগে

৪.

গণিত বিষয়ে তোমরা নিয়মিত অনুশীলন করেছ। বাকি যে কয়েক দিন সময় পাবে, প্রতিদিন গণিত অনুশীলন করবে। এ বিষয়ে ভালো করার একমাত্র উপায় হলো অনুশীলন, অনুশীলন আর অনুশীলন।

৫.

বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় মিলিয়ে ১০০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে। তারিখ, সাল, ঘটনা, কে, কীভাবে বিভিন্ন প্রশ্নের সমন্বয়ে হবে এই দুই বিষয়ের প্রশ্নগুলো। তাই মনোযোগ দিয়ে এ বিষয়টি পড়বে।

*কাজী সুলতানা ইয়াসমীন, প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত), অংকুর সোসাইটি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, চট্টগ্রাম

আরও পড়ুনসরকারি মাধ্যমিকের শিক্ষকেরা কর্মবিরতিতে, হচ্ছে না বার্ষিক পরীক্ষা৭ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ