রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেল থেকে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচনে অংশ নিয়ে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন সনাতন ধর্মালম্বী শিক্ষার্থী সুজন চন্দ্র।

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টায় কাজী নজরুল ইসলাম অডিটোরিয়ামে আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড.

এফ নজরুল ইসলাম।

আরো পড়ুন:

রাকসু: ছাত্রীদের আস্থা অর্জনে ব্যর্থ ছাত্রদল

এইচএসসির ফলের আড়ালে চোখের জল, শিক্ষায় কীসের সংকেত

সুজন চন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের  ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলায়।

সনাতন ধর্মালম্বী হয়ে শিবিরের সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট থেকে নির্বাচিত হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে সুজন চন্দ্র বলেন, ‘‘শিবিরের প্যানেলে আসার অন্যতম প্রধান কারণ ছিল তাদের আদর্শ ও নীতিবোধ আমাকে সবসময় আকর্ষণ করে। ছাত্রশিবির সবসময় মানবিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে শিক্ষাবান্ধব কার্যক্রমের মাধ্যমে এগিয়ে আছে। সেখান থেকে দাঁড়িয়ে আমি নির্বাচিত হয়েছি। তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।’’ 

ঢাকা/ফাহিম/বকুল 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

নারীরা পিছিয়ে থাকলে সমাজের উন্নয়ন সম্ভব নয় : শিল্পপতি বাবুল

নারায়ণগঞ্জ-৫ (শহর-বন্দর) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী এবং প্রাইম গ্রুপের চেয়ারম্যান আবু জাফর আহমেদ বাবুল বলেছেন, ‘নারীরা পিছিয়ে থাকলে সমাজের উন্নয়ন সম্ভব নয়।’ তার ভাষায়, রাষ্ট্র ও সমাজকে এগিয়ে নিতে হলে নারীদের প্রতিটি ক্ষেত্রেই সক্রিয় ভূমিকা নিশ্চিত করতে হবে।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে শহরের আমলাপাড়াস্থ নারায়ণগঞ্জ গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে আয়োজিত এক সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। 

অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক, সহকারী প্রধান শিক্ষিকা নিলুফা ইয়াসমিনসহ শিক্ষকরা ফুল দিয়ে আবু জাফর বাবুলকে বরণ করেন।

বাবুল তার বক্তব্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ২৪তম দফা ‘নারীর মর্যাদা, সুরক্ষা ও ক্ষমতায়নে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ’ এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘নারী শিক্ষার অগ্রগতি ছাড়া কোনো সমাজ এগোতে পারে না। শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও নিরাপত্তায় নারীরা সমান সুযোগ না পেলে টেকসই উন্নয়ন অসম্ভব।

আলোচনার এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা স্কুলের নানা সমস্যা তুলে ধরেন। জরাজীর্ণ ভবন ও পর্যাপ্ত বৈদ্যুতিক পাখার (ফ্যান) অভাবে শিক্ষার পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছে বলে জানালে আবু জাফর বাবুল ফ্যান সরবরাহের ব্যবস্থা করেন।

স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক মতিউর রহমান বলেন, ‘অত্র প্রতিষ্ঠানের যেকোনো উন্নয়নমূলক কাজে বাবুল ভাই সবসময় পাশে থেকেছেন। শিক্ষকদের বসার চেয়ার-টেবিলের সংকটের কথা জানানোর পরপরই তিনি ব্যবস্থা করেছিলেন।

তিনি আরো জানান, ‘বাবুলের অর্থায়নে স্কুলে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন স্থাপনের কাজ চলছে।’

অনুষ্ঠানের শেষ অংশে আবু জাফর আহমেদ বাবুল স্কুল কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষার্থীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের উন্নয়ন মানে আমার নিজের ঘরের উন্নয়ন। আমি সবসময় এই শহরের মানুষের পাশে থাকতে চাই।’

তিনি উপস্থিত সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন এবং নারায়ণগঞ্জের নারী শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিকাশে অব্যাহতভাবে কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নারীরা পিছিয়ে থাকলে সমাজের উন্নয়ন সম্ভব নয় : শিল্পপতি বাবুল