Prothomalo:
2025-11-19@08:09:43 GMT

দুই রঙের সুদর্শন ঝিন্টি

Published: 19th, November 2025 GMT

দুই রঙের ঝিন্টি ফুলের দেখা পেয়েছিলাম রাজশাহী অঞ্চলে। প্রায় ১৫ বছর আগে সাদা ঝিন্টি দেখেছিলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। তখন বরেন্দ্র এলাকার রুক্ষ মাটিতে প্রাকৃতিকভাবে জন্মানো স্বর্ণঝিন্টি দেখেছি। পরে অবশ্য অন্যান্য স্থানেও এ ফুল দেখেছি। রকমফের অনুযায়ী এরা জান্তি, ঝুঁটি, কুরুবক বা বন-পাথালি নামেও পরিচিত। একসময় ঢাকায়ও অঢেল ছিল। প্রাকৃতিকভাবেই জন্মাত। দেশের কোনো কোনো অঞ্চলে হলুদ রঙের ফুল দেখা গেলেও সাদা রঙের ফুল অনেকটাই দুষ্প্রাপ্য। বলধা গার্ডেনের সিবিলিতে নীলচে-বেগুনি এবং ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানে হলুদ রঙের ফুল দেখা যায়। সাদা রঙের ফুল আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ উদ্যানে। ঝিন্টির লাল রঙের ফুলের নাম কুরুবক। রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন, ‘কর্ণমূলে কুন্দকলি কুরুবক মাথে।’ অন্যত্র রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন, ‘কুরুবকের পরত চূড়া/ কালো কেশের মাঝে।’ কুরুবক দেশের কোথাও চোখে পড়েনি।

শুভ্রতায় অনন্য সাদা ঝিন্টি

নভেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত সাদা ঝিন্টির (Barleria cristata) প্রধান প্রস্ফুটন মৌসুম। ভারত-পাকিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ঝিন্টির বিস্তৃতি লক্ষ করা যায়। গাছের পাতার নির্যাস কাশি ও শরীরের ফোলা কমাতে ব্যবহার্য। ভারতের আদিবাসী জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ এ গাছের মূল ও পাতার নির্যাস রক্তস্বল্পতা, কাশি ও প্রদাহ রোগে কাজে লাগায়। উদ্যানসজ্জায় এদের বর্ণবৈচিত্র্য কাজে লাগানো যায়। ইংরেজি নাম Philippine Violet, Crested Philippine Violet.

সাদা ঝিন্টি খাড়া, কাঁটাহীন, প্রায় ১ মিটার উঁচু উপগুল্ম। শাখা রোমশ। গাছ ঝোপালো, অনেকগুলো ডালপালা, কাণ্ড কৌণিক, রোমশ ও সবুজ। পাতা ডিম্ব-লম্বাকৃতি, অখণ্ড, ৪ থেকে ৭ সেন্টিমিটার লম্বা, ওপরে সবুজ, নিচে হালকা রোমশ, বিন্যাস বিপ্রতীপ। পাতা সরল, প্রতিমুখ, সবৃন্তক, পত্রবৃন্ত ১ থেকে আড়াই সেন্টিমিটার লম্বা, পত্রফলক উপবৃত্তাকার-দীর্ঘায়ত থেকে বল্লমাকৃতির ও অখণ্ড। ফুল একক বা গুচ্ছবদ্ধ। দলনল ফ্যানেল আকৃতির, দলমণ্ডল প্রায় ৫ সেন্টিমিটার লম্বা। পুংকেশর ৪টি, অসমান, অবিকশিত পুংকেশরগুলো ৫ মিলিমিটার লম্বা হতে পারে। পরাগধানী দীর্ঘায়ত ও ২ কোষবিশিষ্ট। এদের রেশমি-বাদামি রঙের বীজগুলো গোলাকার।

সাদা ঝিন্টি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তোলা

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: রঙ র ফ ল ক র বক

এছাড়াও পড়ুন:

দুই রঙের সুদর্শন ঝিন্টি

দুই রঙের ঝিন্টি ফুলের দেখা পেয়েছিলাম রাজশাহী অঞ্চলে। প্রায় ১৫ বছর আগে সাদা ঝিন্টি দেখেছিলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। তখন বরেন্দ্র এলাকার রুক্ষ মাটিতে প্রাকৃতিকভাবে জন্মানো স্বর্ণঝিন্টি দেখেছি। পরে অবশ্য অন্যান্য স্থানেও এ ফুল দেখেছি। রকমফের অনুযায়ী এরা জান্তি, ঝুঁটি, কুরুবক বা বন-পাথালি নামেও পরিচিত। একসময় ঢাকায়ও অঢেল ছিল। প্রাকৃতিকভাবেই জন্মাত। দেশের কোনো কোনো অঞ্চলে হলুদ রঙের ফুল দেখা গেলেও সাদা রঙের ফুল অনেকটাই দুষ্প্রাপ্য। বলধা গার্ডেনের সিবিলিতে নীলচে-বেগুনি এবং ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানে হলুদ রঙের ফুল দেখা যায়। সাদা রঙের ফুল আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ উদ্যানে। ঝিন্টির লাল রঙের ফুলের নাম কুরুবক। রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন, ‘কর্ণমূলে কুন্দকলি কুরুবক মাথে।’ অন্যত্র রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন, ‘কুরুবকের পরত চূড়া/ কালো কেশের মাঝে।’ কুরুবক দেশের কোথাও চোখে পড়েনি।

শুভ্রতায় অনন্য সাদা ঝিন্টি

নভেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত সাদা ঝিন্টির (Barleria cristata) প্রধান প্রস্ফুটন মৌসুম। ভারত-পাকিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ঝিন্টির বিস্তৃতি লক্ষ করা যায়। গাছের পাতার নির্যাস কাশি ও শরীরের ফোলা কমাতে ব্যবহার্য। ভারতের আদিবাসী জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ এ গাছের মূল ও পাতার নির্যাস রক্তস্বল্পতা, কাশি ও প্রদাহ রোগে কাজে লাগায়। উদ্যানসজ্জায় এদের বর্ণবৈচিত্র্য কাজে লাগানো যায়। ইংরেজি নাম Philippine Violet, Crested Philippine Violet.

সাদা ঝিন্টি খাড়া, কাঁটাহীন, প্রায় ১ মিটার উঁচু উপগুল্ম। শাখা রোমশ। গাছ ঝোপালো, অনেকগুলো ডালপালা, কাণ্ড কৌণিক, রোমশ ও সবুজ। পাতা ডিম্ব-লম্বাকৃতি, অখণ্ড, ৪ থেকে ৭ সেন্টিমিটার লম্বা, ওপরে সবুজ, নিচে হালকা রোমশ, বিন্যাস বিপ্রতীপ। পাতা সরল, প্রতিমুখ, সবৃন্তক, পত্রবৃন্ত ১ থেকে আড়াই সেন্টিমিটার লম্বা, পত্রফলক উপবৃত্তাকার-দীর্ঘায়ত থেকে বল্লমাকৃতির ও অখণ্ড। ফুল একক বা গুচ্ছবদ্ধ। দলনল ফ্যানেল আকৃতির, দলমণ্ডল প্রায় ৫ সেন্টিমিটার লম্বা। পুংকেশর ৪টি, অসমান, অবিকশিত পুংকেশরগুলো ৫ মিলিমিটার লম্বা হতে পারে। পরাগধানী দীর্ঘায়ত ও ২ কোষবিশিষ্ট। এদের রেশমি-বাদামি রঙের বীজগুলো গোলাকার।

সাদা ঝিন্টি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তোলা

সম্পর্কিত নিবন্ধ