রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম’ প্যানেল থেকে ক্রীড়া সম্পাদক পদপ্রার্থী জাতীয় ফুটবল খেলোয়াড় মোসা. নার্গিস আক্তার সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টায় কাজী নজরুল ইসলাম অডিটোরিয়ামে রাকসু নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড.

এফ নজরুল ইসলাম।

আরো পড়ুন:

রাকসুতে শিবিরের প্যানেলে সনাতন ধর্মালম্বী সুজন জয়ী 

রাকসু: ছাত্রীদের আস্থা অর্জনে ব্যর্থ ছাত্রদল

কেন্দ্রীয় সংসদে ২৩টি পদে ২০টি পদে জয়ী হয়েছেন ছাত্রশিবির মনোনীত প্যানেল সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থীরা। অন্য তিনটি পদের একটিতে জিএস হিসেবে বিজয়ী হয়েছেন সালাউদ্দিন আম্মার, ছাত্রদল মনোনীত ক্রীড়া সম্পাদক নার্গিস, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক তোফায়েল আহমেদ তোফা নির্বাচিত হয়েছেন।

ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান (জাহিদ) জয়ী হয়েছেন। তিনি ভোট পেয়েছেন ১২ হাজার ৬৮৭টি। একই পদে নিকটতম ছাত্রদল সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম’ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী শেখ নূর উদ্দীন (আবীর) ভোট পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৯৭টি।

ঢাকা/ফাহিম/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল হয় ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

 ‘মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে…’ 

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিলো দুইটি ফর্মে। একটি হরো সম্মুখ যুদ্ধ আরেকটি হলো সাংস্কৃতিক যুদ্ধ। আপেল মাহমুদ শুরুতে সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন একাত্তরের জুনে সাংস্কৃতিক যুদ্ধে অংশ নেন। স্বাধীন বাংলাদেশে তাকে যখন ডাকা হয় ‍যুদ্ধক্ষেত্র ছেড়ে আসার সময় আপেল মাহমুদ ভাবছিলেন, ‘আমি আসলে কতটুকু কী করতে পারবো!’ কিন্তু তিনি ধীরে ধীরে বুঝতে পারেন- এটার প্রভাবও কম নয়। 

আপেল মাহমুদ একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের প্রচণ্ডভাবে লড়াকু করে তোলার জন্য স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অসাধারণ ভূমিকা ছিলো। বিশেষ করে তার সুরকরা ও গাওয়া ‘‘মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি/ মোরা একটি মুখের হাসির জন্য অস্ত্র ধরি’’—গানটি মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবলভাবে অনুপ্রাণিত করেছিলো।  

আরো পড়ুন:

আজ খোকসা মুক্ত দিবস

আজ ঠাকুরগাঁও মুক্ত দিবস

গানের স্রষ্টা হিসেবে আপেল মাহমুদ যতখানি কৃতিত্বের দাবিদার ঠিক ততখানিই গোবিন্দ হালদারও। পশ্চিমবঙ্গের গীতিকার গোবিন্দ হালদার এই গানের কথাগুলো লিখেছিলেন একাত্তরের এপ্রিলে। জুন মাস নাগাদ গানের খাতাটি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে পৌঁছায়। গোবিন্দ হালদার এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘আপেল মাহমুদ তো অতি অল্প সময়ের মধ্যে ‘মোরা একটি ফুলকে বাঁচাব বলে যুদ্ধ করি’ গানটির সুর করে ফেললেন। সুর করে তিনি লোহানী সাহেব ও অন্যদের শোনালেন। একদিন কামাল ভাইকে ডেকে নিয়ে গিয়েও গানটি তাঁকে শোনানো হলো। সবাই মোটামুটি তার সুর পছন্দ করলেন’’। 

এরপর আপেল মাহমুদ গানটি রেকর্ড করেন এবং স্বাধীন বাংলা বেতার থেকে তার কণ্ঠেই গানটির প্রচার শুরু হয়। ১৯৭১-এর জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রথম ‘স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র’ থেকে প্রচার করা হয়। 
স্বাধীন বাংলা বেতারের দেশাত্মবোধক সংগীতের অনুষ্ঠানে নিয়মিত গানটি প্রচারিত হতো। গানটি প্রচারিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশে বিরাট সাড়া পড়ে গেল। বাংলাদেশের মাঠ-ঘাট-প্রান্তর, প্রতিটি ঘর, মুক্তিযোদ্ধাদের শিবিরে পৌঁছে গিয়েছিলো এর সুর ও আহ্বান। আপেল মাহমুদ রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে গেলেন। 

আপেল মাহমুদ এক সাক্ষাৎকারে উল্লেখ করেন, ‘‘১৯৭১ সালের জুন মাসে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রই ছিল তাদের ঠিকানা। সেখানে থাকা-খাওয়া, গান বাঁধা ও গাওয়াই ছিল রুটিন’’। 

এই গানটি ২০০৬ সালে বিবিসি কর্তৃক সর্বশ্রেষ্ঠ গানের একটি হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। 

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ