‎ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মৎস্যজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৮ অক্টোবর) সকালে ঝালকাঠি শহরের  কলাবাগান এলাকায় সুগন্ধা নদীর পাড়ে জেলা প্রশাসন ও জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে এ সভা হয়।

ইলিশের প্রজনন বৃদ্ধি ও মা ইলিশ সংরক্ষণে দেশের নদী-সমুদ্রে গত ৪ অক্টোবর থেকে ২২ দিনের জন্য মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা চলছে। এ সময় ইলিশ ধরা, বেচাকেনা, পরিবহন নিষিদ্ধ থাকবে।

আরো পড়ুন:

৫০৮৫ অভিযানে ১৩০১ মামলা, ১০৪৭ জনকে কারাদণ্ড 

মেঘনায় নৌ পুলিশের অভিযানে ২৮ জেলে গ্রেপ্তার

‎সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমান জেলেদের উদ্দেশে বলেন, ‘‘দেশের স্বার্থে আগামী ৭ দিন কেউ মাছ ধরতে যাবেন না। আপনার পরিবার ও সন্তান নিশ্চয়ই চায় না, আপনি জেলে যান। দেশের স্বার্থে ইলিশ রক্ষায় আমরা এবার বেশ সিরিয়াস।’’ 

তিনি আরো বলেন, ‘‘পৃথিবীর ৮০ শতাংশ ইলিশ আমাদের দেশে উৎপাদন হয়। এর সম্পদ আমাদের গর্ব, তাই আমাদের দায়িত্ব এটা সংরক্ষণ ও উৎপাদন বাড়ান।’’  

তিনি আরো বলেন, ‘‘একটি মা ইলিশ থেকে ১০-১১ লাখ বা তারও বেশি পোনা উৎপন্ন হয়। এই পোনা বাঁচলে আপনারাই বেশি মাছ ধরতে পারবেন, আয়ও বাড়বে। তাই আমরা সবাই মিলে প্রতিজ্ঞা করি; দেশের ক্ষতি করব না, মা ইলিশ ধরব না।’’

‎সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝালকাঠির পুলিশ সুপার উজ্জ্বল কুমার রায়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো.

আবদুল জলিল, ঝালকাঠি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা ইয়াসমিন, মৎস্য অধিদপ্তর বরিশালের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. আনিসুজ্জামান এবং ঝালকাটি প্রেস ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. আল-আমিন তালুকদার।

সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব পাল। মতবিনিময় সভায় ওই এলাকার শতাধিক মৎস্যজীবী উপস্থিত ছিলেন। 

ঢাকা/অলোক/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ঝ লক ঠ মৎস য

এছাড়াও পড়ুন:

৫০৮৫ অভিযানে ১৩০১ মামলা, ১০৪৭ জনকে কারাদণ্ড 

ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ সংরক্ষণ ও টেকসই আহরণ নিশ্চিত করতে মৎস্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে দেশব্যাপী "মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৫’ চলছে।

দেশের উপকূলীয় নদ-নদী, মোহনা ও সাগরসহ ৩৮ জেলার ১৭৮টি উপজেলায় পরিচালিত এ বিশেষ অভিযান ৪ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে। চলবে ২৫ অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত।

আরো পড়ুন:

মেঘনায় নৌ পুলিশের অভিযানে ২৮ জেলে গ্রেপ্তার

ঝালকাঠিতে ইলিশ ধরায় ৩ জেলের কারাদণ্ড

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় জানায়, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৫০৮৫টি অভিযান চালিয়ে ১১৭৫টি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১৩০১টি মামলা করা হয়েছে।

আইন ভঙ্গের অপরাধে ১০৪৭ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান এবং ৪২.৪৩ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

এছাড়া ৪২৮.৪৭ লাখ মিটার জাল ও ৫৭.১ মেট্রিক টন ইলিশ জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত ইলিশ এতিম খানায় বিতরণ করা হয়েছে। নিষিদ্ধ জালগুলো পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে এবং নৌকা ও অন্যান্য সরঞ্জাম নিলামে বিক্রয়ের মাধ্যমে ৩১.১২৮ লাখ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে।

ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ সংরক্ষণ এর এ সময়কালে বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য অধিদপ্তর এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, নিষিদ্ধ জাল ও ইলিশ জব্দ, জরিমানা এবং আইনি পদক্ষেপ গ্রহণসহ ব্যাপক তৎপরতা চালানো হচ্ছে।

অভিযানে মেহেন্দিগঞ্জ, হিজলা, ভেদরগঞ্জ উপজেলায় একজন সহকারী কমিশনারসহ (ভূমি) মৎস্য অধিদপ্তরের দুই জন কর্মকর্তা, নৌ পুলিশের একজন সাব-ইন্সপেক্টর, তিন জন কনস্টেবলসহ মোট নয় জন সদস্য আহত হন। "ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’-এর আওতায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনী ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৫’ পরিচালনা করছে। 

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৫০৮৫ অভিযানে ১৩০১ মামলা, ১০৪৭ জনকে কারাদণ্ড 
  • যে দেশে বিড়ালের সংখ্যা মানুষের চেয়ে বেশি
  • আড়াইহাজারে মেঘনা নদী থেকে ২ লাখ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ