ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ দেশকে অস্থিতিশীল করতে পুরনো কায়দায় আগুন সন্ত্রাসে মেতে উঠেছে- এমন অভিযোগ করে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ-সিদ্ধিরগঞ্জ)  

আসন থেকে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. আজহারুল ইসলাম মান্নান বলেছেন, “জনগণের জানমাল রক্ষায় বিএনপির নেতাকর্মীরা মাঠে রয়েছে। আওয়ামী লীগের নাশকতা ও দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে আমরা জনগণের পাশে থাকব।”

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঘোষিত লকডাউনের প্রতিবাদে সোনারগাঁয়ে বিএনপি অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে।

মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীরা অবস্থান কর্মসূচি শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে টিপুদী চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মান্নান বলেন, “আওয়ামী লীগ এখন জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তারা গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে এখন ভয়-ভীতি আর সন্ত্রাসের মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। কিন্তু বিএনপি দেশের মানুষের অধিকার রক্ষার আন্দোলন থেকে এক ইঞ্চি পিছিয়ে যাবে না।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা জনগণের দলের কর্মী। ফ্যাসিস্ট সরকারের দমননীতির বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি এবং চালিয়ে যাব। বিএনপি জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য রাজপথে আছে, থাকবে।”

কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী নজরুল ইসলাম টিটু, পৌর বিএনপির সভাপতি হাজী শাহজাহান মেম্বার,  সাধারন সম্পাদক মোঃ মোতালেব কমিশনার  সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন সম্পাদক হাজী সেলিম হক সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি,  মনিরুজ্জামান,রফিকুল ইসলাম বিডিআর,  যুগ্ম সম্পাদক আতাউর রহমান,  নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মজিবুর রহমান সোনারগাঁও পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সাদেকুল ইসলাম সেন্টু নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক খাইরুল ইসলাম সজিব, সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির ৩ নং সাংগঠনিক সম্পাদক নিজামুদ্দিন নারায়ণগঞ্জ জেলা সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক রোবেল হোসাইন   যুবদল নেতা হারুন-অর-রশিদ মিঠু,  রাকিব হাসান,নোবেল মীর,করিম রহমান,আরিফ হোসেন বাবু,সোহেল রানাসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।

পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে ছিল। তবে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে জানা গেছে।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: সন ত র স ব এনপ ন র য়ণগঞ জ আওয় ম ল গ ন র য়ণগঞ জ ব এনপ র স অবস থ ন ল ইসল ম জনগণ র স ন রগ আওয় ম উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই সনদ নিয়ে মতপার্থক্য, সরকার প্রস্তুত সিদ্ধান্তে

বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফের উত্তাপ। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান এখন পরস্পরবিরোধী। বিএনপি বলছে, জনগণের ভোট ও মতামত ছাড়া কোনো সনদ কার্যকর হলে সেটি টেকসই হবে না। জামায়াতে ইসলামী মনে করে, সনদের মূল কাঠামো পরিবর্তনের চেষ্টা জুলাই আন্দোলনের চেতনা ও ঐক্যকে ক্ষুণ্ন করবে।

এমন পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ভাবছে, সনদের বাস্তবায়ন নিয়ে গণভোট আয়োজনের জন্য একটি অধ্যাদেশ জারি করবে। সূত্র বলছে, গণভোটে চার থেকে পাঁচটি প্রশ্ন রাখা হতে পারে, যাতে জনগণ পৃথকভাবে মতামত জানাতে পারেন।

আরো পড়ুন:

বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকার নতুন পে-স্কেলের কাঠামো নির্ধারণ করবে: অর্থ উপদেষ্টা

জুলাই সনদ
২০২৪ সালের ২৬ জুলাই ছাত্র–জনতার আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে যে ঐকমত্য দলিল তৈরি হয়, সেটিই এখন পরিচিত ‘জুলাই সনদ’ নামে। এতে তিনটি মৌলিক অঙ্গীকার ছিল—
১. দায়মুক্ত রাজনীতি ও জবাবদিহিমূলক প্রশাসন।
২. নির্বাচন কমিশনের পূর্ণ স্বাধীনতা।
৩. মানবাধিকার ও নাগরিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ।

ছাত্রনেতা, নাগরিক সমাজ, প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে তৈরি এই দলিলকে তখন বলা হয়েছিল ‘জনতার শপথনামা’। পরবর্তীতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এটি রাষ্ট্রীয় নীতির অংশ হিসেবে গ্রহণ করে। কিন্তু এক বছরের মাথায় সেই ঐকমত্যের ভেতরেই দেখা দিয়েছে ফাটল।

জনগণের রায় ছাড়া সনদ নয়: বিএনপি 
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “জুলাই সনদ জনগণের রক্তে লেখা। এর বাস্তবায়ন জনগণের গণরায় ছাড়া হতে পারে না। সরকার এখন কিছু ধারাকে দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করছে। বিশেষ করে প্রশাসনিক পুনর্গঠন, জেলা পর্যায়ে নির্বাচিত গভর্নর নিয়োগ এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের কাঠামো পুনর্বিবেচনা—এসব বিষয়ে সরকার এককভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।”

বিএনপির একজন নীতি-নির্ধারক বলেন, “আমরা সংস্কারের পক্ষে, কিন্তু সেটি হতে হবে জনগণের ভোটে অনুমোদিতভাবে। এখন সনদের ব্যাখ্যা ও প্রয়োগ সরকারের হাতে, যা ভবিষ্যতে ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ ঘটাতে পারে।”

বিএনপি চায়, সনদ বাস্তবায়নের আগে গণভোট বা জাতীয় নির্বাচনের দিনেই জনমত যাচাই করা হোক।

সনদ পরিবর্তনের চেষ্টা জুলাই বিপ্লব অস্বীকার: জামায়াত 
জামায়াতে ইসলামী মনে করে, সনদের মূল কাঠামো পরিবর্তন বা সংশোধন মানে আন্দোলনের আত্মাকে অস্বীকার করা।

দলটির আমির শফিকুর রহমান বলেন, “যারা জুলাই বিপ্লব মানবেন না, তাদের জন্য ২৬ সালে কোনো নির্বাচন নাই। জুলাই বিপ্লবের স্বীকৃতি দিতে হলে সনদের আইনি ভিত্তি দিতেই হবে। সংখ্যাগরিষ্ঠদের সিদ্ধান্তই গণতন্ত্র। জুলাই সনদ সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের মতামতে প্রণীত। কেউ সেটি মানতে না চাইলে তারা গণতন্ত্রকেই অস্বীকার করছে।”

জামায়াতের দাবি-সনদ বাস্তবায়ন এখনই শুরু করতে হবে, বিলম্ব নয়। তাদের মতে, বিএনপি গণভোটের কথা তুলে নির্বাচনের আগে সংগঠনিক সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছে।

দলটির একজন নীতি-নির্ধারক বলেন, “গণভোটে জনগণ যদি সনদের পরিবর্তনের পক্ষে যায়, তাহলে আন্দোলনের ভিত্তি দুর্বল হয়ে পড়বে। আমরা চাই বর্তমান কাঠামো অপরিবর্তিত রেখে দ্রুত বাস্তবায়ন।”

‘গণভোটে জনঅংশগ্রহণ নিশ্চিতের উদ্যোগ’
অন্তর্বর্তী সরকার সূত্রে জানা গেছে, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস এবং তার উপদেষ্টা পরিষদের কয়েকজন সদস্য ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ১৩ নভেম্বর  উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সবকিছু চূড়ান্ত হবে। ১৫ নভেম্বরের মধ্যে সরকার জুলাই সনদ বাস্তবায়নে আদেশ এবং গণভোট করার জন্য অধ্যাদেশ জারি করবে। এর মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকারের অনানুষ্ঠানিক আলোচনা চলছে। কয়েকজন উপদেষ্টা দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তারা সরকারের মনোভাব এবং বাস্তব পরিস্থিতি বোঝানোর চেষ্টা করছেন রাজনৈতিক দলগুলোকে।

খসড়া প্রস্তাব অনুযায়ী-নাগরিকরা অনলাইনে ও সরাসরি ভোট দিয়ে মতামত জানাতে পারবেন। গণভোটের ফলাফল আইনি মর্যাদা পাবে। ২০২৬ সালের জানুয়ারির মধ্যে বাস্তবায়নযোগ্য ধারাগুলোর তালিকা প্রকাশ করা হবে। স্বরাষ্ট্র ও আইন উপদেষ্টার কার্যালয় ইতিমধ্যে খসড়া প্রণয়ন শুরু করেছে।

সরকারের একজন জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে একই দিনে গণভোট আয়োজনের চিন্তাভাবনা করছে সরকার। মূল উদ্দেশ্য ছিল- ভোটকেন্দ্র ও কর্মকর্তাদের একসঙ্গে কাজে লাগানো গেলে বিপুল পরিমাণ অর্থ ও সময় বাঁচানো সম্ভব।”

তিনি বলেন, “জুলাই সনদ যদি সত্যিই জনতার দলিল হয়, তবে জনগণের ভোটেই সেটি অনুমোদিত হোক এই চেতনায় আমরা কাজ করছি। দুটি বিষয় মাথায় রেখে কাজ চলছে। দ্রুত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।”

গণভোটে যে প্রশ্ন রাখার চিন্তা
সরকারি সূত্র জানিয়েছে, গণভোটে চার থেকে পাঁচটি প্রশ্ন রাখার বিষয়ে চিন্তা চলছে। যেসব বিষয়ে বিএনপি, জামায়াতসহ অধিকাংশ দল একমত, সেগুলো নিয়ে একটি সাধারণ প্রশ্ন থাকবে। আর যেসব বিষয়ে ভিন্নমত যেমন উচ্চকক্ষ গঠন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বা নিয়োগ কমিশনের স্বাধীনতা এসব নিয়ে পৃথক প্রশ্ন থাকবে।

ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ ও বিরোধ
‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ’–এর খসড়া তৈরি করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে ৪৮টি সংবিধান-সংক্রান্ত প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

কমিশনের প্রাথমিক প্রস্তাবে একটিমাত্র প্রশ্নে গণভোটের সুপারিশ ছিল। কিন্তু বিএনপি ও জামায়াত ভিন্নমত দেয়—তারা চায় ভিন্ন মতামতগুলোকেও আলাদা প্রশ্নে তোলা হোক। বিএনপি বলছে, কমিশন তাদের ‘ভিন্নমত নোট’ উপেক্ষা করেছে। অন্যদিকে জামায়াত বলছে, কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতেই আগে গণভোট হতে হবে, তারপর নির্বাচন।

সরকার এখন কমিশনের প্রস্তাবে কিছু পরিবর্তন আনতে চায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ১৮টি ভিন্নমত থাকা প্রস্তাবের সবগুলোকে তিন-চারটি প্রশ্নের মধ্যে আনার চেষ্টা হচ্ছে।

‘তিন-চার দিনের মধ্যেই পরিষ্কার হবে’ 
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল  বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলো আমাদের একক নির্দেশনা দেবে—এই প্রত্যাশা করেছিলাম। কিন্তু আমরা বসে থাকিনি। নিজেদের মতো কাজ করেছি। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা তিন-চার দিনের মধ্যে পরিষ্কারভাবে জানতে পারবেন।”

তিনি আরো বলেন, “সব দলের প্রত্যাশা বিবেচনা করে দেশের ও জনগণের স্বার্থেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

গণভোটের রাজনীতি ও সম্ভাবনা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক আল মাসুদ হাসানুজ্জামান বলেন, “পরিস্থিতি আরো জটিল হয়েছে, সংকট আরো গভীর হয়েছে। আমরা দেখেছি, রাজনৈতিক দলগুলো জুলাই সনদকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করার চেষ্টা করেছে। এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে তারা চাপ তৈরির রাজনীতি করছে এবং রাজনৈতিক কৌশলে সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে।” 

জনমতের প্রতিক্রিয়া: আশা ও সংশয়
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের বড় অংশ গণভোটকে স্বাগত জানিয়েছে। তাদের মতে, এতে নাগরিকরা সরাসরি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে অংশ নিতে পারবেন। তবে আরেক অংশের আশঙ্কা—রাজনৈতিক দলগুলো যদি গণভোটের ফল না মানে, তবে সেটি নতুন অচলাবস্থা ডেকে আনবে। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র আবিদুল হাসান বলেন, “এখন সরকারের দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়ার সময় এসেছে। জুলাই সনদ একতার প্রতীক ছিল। এখন সেটি দলীয় অবস্থান নির্ধারণের যন্ত্রে পরিণত হলে জনগণ আবারও হতাশ হবে।”

গণভোটের ইতিহাস: অভিজ্ঞতা মিশ্র
বাংলাদেশে এর আগে মাত্র দুটি গণভোট হয়েছে—১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমানের সময়ে এবং ১৯৯১ সালে সংসদীয় সরকারব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন প্রশ্নে।

প্রথমটির ফল নিয়ে বিতর্ক ছিল; প্রশাসনিক প্রভাব ও ভোট কারচুপির অভিযোগ ওঠে। দ্বিতীয় গণভোট তুলনামূলক গ্রহণযোগ্য হলেও রাজনৈতিক বিভাজন তখনও রয়ে যায়।

এই প্রেক্ষাপটে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এবার গণভোট হলে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণ, প্রযুক্তিগত স্বচ্ছতা এবং রাজনৈতিক ঐক্য নিশ্চিত করা জরুরি।

বিরোধ ও ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক বাস্তবতা
ঢাকা-৮ আসনের ভোটার মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, “জুলাই সনদ নিয়ে বিরোধ এখন কেবল রাজনৈতিক অবস্থান নয় এটি ভবিষ্যৎ রাষ্ট্র কাঠামোর দিক-নির্দেশনাও নির্ধারণ করছে।”

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোট নিয়ে দ্রুতই সরকারের সিদ্ধান্ত জানা যাবে। আলোচনা করে যেটা ভালো মনে হয় সরকার সেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।”

ঢাকা/এএএম/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে রাষ্ট্রপতির সই
  • নিষিদ্ধ সংগঠনের কাউকে পেলে পুলিশে দিবেন : সাখাওয়াত 
  • যেখানেই আওয়ামী লীগ দেখবেন, ধরে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেবেন: হাসনাত আবদুল্লাহ
  • ইউনূস সরকার জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে একা চলা শুরু করেছে: নাসীরুদ্দ
  • ‘আগুন–সন্ত্রাস’ দেখে ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির সতর্ক হওয়া উচিত: তারেক রহমান
  • আওয়ামীলীগের নাশকতা প্রতিহত করতে সোনারগাঁয়ে মান্নানের নির্দেশে প্রস্তুত নেতৃবৃন্দ
  • জুলাই সনদ নিয়ে মতপার্থক্য, সরকার প্রস্তুত সিদ্ধান্তে
  • আনিসুল ইসলাম সানির পক্ষে  ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ
  • না’গঞ্জে অস্ত্র উদ্ধারে তথ্যদাতাকে সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা পুরস্কার