অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির প্রতিবাদে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ
Published: 13th, November 2025 GMT
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রায়কে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি ও ফ্যাসিবাদের দোসরদের অপতৎপরতার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিক্ষোভ মিছিলের আহ্বান জানায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু)।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকসু ভবনের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। পরে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ হয়ে কাটা পাহাড়ের রাস্তা ধরে গোলচত্বরে গিয়ে মিছিল শেষ হয়। এ সময় বিক্ষোভকারীরা ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাইরে’, ‘খুনি হাসিনার বিচার চাই, গণহত্যার বিচার চাই’ বলে স্লোগান দেন।
কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন চাকসুর সহসভাপতি (ভিপি) মো.
চাকসুর সহসভাপতি মো. ইব্রাহীম বলেন, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ যেসব সংগঠন নিষিদ্ধ হয়েছে, তাদের অপতৎপরতা এখনো অব্যাহত আছে। শেখ হাসিনার রায়কে কেন্দ্র করে যে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে, তা সুশীল সমাজের জন্য লজ্জাজনক।
মো. ইব্রাহীম আরও বলেন, ‘আমরা চাই, আইনিপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাঁদের বিচার করা হোক। ১৭ নভেম্বর হাসিনার রায়ে জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হোক, আমরা তাঁর সর্বোচ্চ শাস্তি প্রত্যাশা করি।’
বিক্ষোভ মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন সাহিত্য, সংস্কৃতি ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক হারেজুল ইসলাম, সহ–সাহিত্য সম্পাদক জিহাদ হোসাইন, দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান, ছাত্রীকল্যাণ সম্পাদক নাহিমা আক্তার, সহ–ছাত্রীকল্যাণ সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক মো. মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।
আগামী সোমবার জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করা হবে। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–১ আজ এ তারিখ নির্ধারণ করেন। অপর দুই সদস্য বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
মামলার অন্য দুই আসামি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুন। এর মধ্যে মামুন রাজসাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এটি প্রথম মামলা। অভিযোগে বলা হয়েছে, তিনি আন্দোলনকারীদের দমন ও হত্যার নির্দেশ দেন, যার ফলে বিভিন্ন স্থানে হত্যার ঘটনা ঘটে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব শ বব দ য
এছাড়াও পড়ুন:
নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার, প্রতিবাদে মানববন্ধন
আগামী বৃহস্পতিবার ঢাকায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে লোক সমাগমের প্রস্তুতি নেওয়ার অভিযোগে নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে জেলার সুবর্ণচর উপজেলার চরবাটা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার নেতার নাম আনিসুল হক (৫৩)। আনিসুল সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। এ ছাড়া তিনি সুবর্ণচরের খাসেরহাট বাজারের একজন ব্যবসায়ী ও বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সহসভাপতি।
গ্রেপ্তারের এ খবর জানাজানি হওয়ার পর বিক্ষোভ করেন উপজেলার খাসেরহাট বাজারের ব্যবসায়ীরা। আজ মঙ্গলবার সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দোকান বন্ধ রাখেন তাঁরা। এরপর দুপুর ১২টার দিকে মানববন্ধন করে তাঁরা প্রতিবাদ জানান।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার চরজব্বার থানা–পুলিশ আনিসুল হককে গ্রেপ্তার করে। এ খবর জানাজানির পর গতকাল রাতেই মাইকিং করেন ব্যবসায়ীরা।
জানতে চাইলে চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ১৩ নভেম্বর ঢাকায় লোক সমাগমের প্রস্তুতির সঙ্গে যুক্ত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকায় আওয়ামী লীগ নেতা ব্যবসায়ী আনিসুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।