লাতিন আমেরিকায় নতুন সামরিক অভিযানের ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
Published: 15th, November 2025 GMT
লাতিন আমেরিকায় নতুন করে সামরিক অভিযান চালাবে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার এই ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ। তাঁর দাবি, লাতিন আমেরিকা থেকে তৎপরতা চালানো ‘মাদক-সন্ত্রাসীদের’ নির্মূল করতে ওয়াশিংটন নতুন অভিযানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সম্প্রতি লাতিন আমেরিকার জলসীমায় সামরিক উপস্থিতি বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কিছু সামরিক অভিযানও চালিয়েছে। এতে যুক্তরাষ্ট্র অঞ্চলটিতে স্থলপথে হামলা চালাতে পারে ও এটা হলে সংঘাতের বিস্তৃতি বাড়বে এ আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এর মধ্যেই নতুন অভিযানের ঘোষণা দিল ওয়াশিংটন।
পিট হেগসেথ এক্সে দেওয়া পোস্টে লিখেছেন, ‘আজ আমি অপারেশন সাউদার্ন স্পিয়ারের ঘোষণা দিচ্ছি। এ অভিযান আমাদের মাতৃভূমিকে রক্ষা করবে, আমাদের সীমানা থেকে মাদক-সন্ত্রাসীদের নির্মূল করবে। যেসব মাদক আমাদের মানুষকে মেরে ফেলছে, সেসবের প্রবেশও রোধ করবে।’
অভিযানের ঘোষণা দিলেও কবে থেকে শুরু হবে, সে বিষয়ে কিছুই জানাননি মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। এ ছাড়া এই অভিযানের পরিসর কেমন হবে এবং সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্র লাতিন আমেরিকার জলসীমায় যেসব অভিযান চালিয়েছে, সেসব থেকে এর পার্থক্য কী হবে, তা-ও জানানো হয়নি।
নতুন যে অভিযানের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, সে সম্পর্কে জানতে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল এএফপি। অবশ্য পেন্টাগনের মুখপাত্র মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দেওয়া তথ্য ছাড়া আর কিছু জানাতে রাজি হননি। তবে একাধিক সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিবিএস এ নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তাতে বলা হয়, ভেনেজুয়েলায় নতুন করে অভিযানের বিস্তারিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে তুলে ধরেছেন মার্কিন সামরিক বাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা। এর মধ্যে স্থলপথে হামলা চালানোর বিষয়টি আছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়।
এদিকে সূত্রের বরাতে রয়টার্স গতকাল শুক্রবার জানায়, ভেনেজুয়েলায় সম্ভাব্য সামরিক অভিযান কীভাবে চালানো হবে, এ নিয়ে আলোচনা করতে এই সপ্তাহে ট্রাম্প প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা তিন দফায় বৈঠক করেন। হোয়াইট হাউসে হওয়া এসব বৈঠকের সিদ্ধান্তের বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
উল্লেখ্য, লাতিন আমেরিকায় অভিযান চালাতে যুক্তরাষ্ট্র এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান, যুদ্ধজাহাজ, পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন মোতায়েন করেছে। পাশাপাশি গত সপ্তাহে ওই অঞ্চলে পাঠিয়েছে মার্কিন বিমানবাহী রণতরি জেরাল্ড ফোর্ড। এই রণতরিতে ৫ হাজার সেনা ও ৭৫টি যুদ্ধবিমান রয়েছে।
মাদক চোরাচালান চক্রের বিরুদ্ধে ক্যারিবীয় সাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্ব দিক থেকে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। গত সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে আন্তর্জাতিক জলসীমায় ২০টি নৌযানে মার্কিন নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর হামলায় ৭৬ জন নিহত হয়েছেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র ল ত ন আম র ক
এছাড়াও পড়ুন:
লাতিন আমেরিকায় নতুন সামরিক অভিযানের ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
লাতিন আমেরিকায় নতুন করে সামরিক অভিযান চালাবে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার এই ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ। তাঁর দাবি, লাতিন আমেরিকা থেকে তৎপরতা চালানো ‘মাদক-সন্ত্রাসীদের’ নির্মূল করতে ওয়াশিংটন নতুন অভিযানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সম্প্রতি লাতিন আমেরিকার জলসীমায় সামরিক উপস্থিতি বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কিছু সামরিক অভিযানও চালিয়েছে। এতে যুক্তরাষ্ট্র অঞ্চলটিতে স্থলপথে হামলা চালাতে পারে ও এটা হলে সংঘাতের বিস্তৃতি বাড়বে এ আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এর মধ্যেই নতুন অভিযানের ঘোষণা দিল ওয়াশিংটন।
পিট হেগসেথ এক্সে দেওয়া পোস্টে লিখেছেন, ‘আজ আমি অপারেশন সাউদার্ন স্পিয়ারের ঘোষণা দিচ্ছি। এ অভিযান আমাদের মাতৃভূমিকে রক্ষা করবে, আমাদের সীমানা থেকে মাদক-সন্ত্রাসীদের নির্মূল করবে। যেসব মাদক আমাদের মানুষকে মেরে ফেলছে, সেসবের প্রবেশও রোধ করবে।’
অভিযানের ঘোষণা দিলেও কবে থেকে শুরু হবে, সে বিষয়ে কিছুই জানাননি মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। এ ছাড়া এই অভিযানের পরিসর কেমন হবে এবং সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্র লাতিন আমেরিকার জলসীমায় যেসব অভিযান চালিয়েছে, সেসব থেকে এর পার্থক্য কী হবে, তা-ও জানানো হয়নি।
নতুন যে অভিযানের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, সে সম্পর্কে জানতে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল এএফপি। অবশ্য পেন্টাগনের মুখপাত্র মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দেওয়া তথ্য ছাড়া আর কিছু জানাতে রাজি হননি। তবে একাধিক সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিবিএস এ নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তাতে বলা হয়, ভেনেজুয়েলায় নতুন করে অভিযানের বিস্তারিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে তুলে ধরেছেন মার্কিন সামরিক বাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা। এর মধ্যে স্থলপথে হামলা চালানোর বিষয়টি আছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়।
এদিকে সূত্রের বরাতে রয়টার্স গতকাল শুক্রবার জানায়, ভেনেজুয়েলায় সম্ভাব্য সামরিক অভিযান কীভাবে চালানো হবে, এ নিয়ে আলোচনা করতে এই সপ্তাহে ট্রাম্প প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা তিন দফায় বৈঠক করেন। হোয়াইট হাউসে হওয়া এসব বৈঠকের সিদ্ধান্তের বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
উল্লেখ্য, লাতিন আমেরিকায় অভিযান চালাতে যুক্তরাষ্ট্র এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান, যুদ্ধজাহাজ, পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন মোতায়েন করেছে। পাশাপাশি গত সপ্তাহে ওই অঞ্চলে পাঠিয়েছে মার্কিন বিমানবাহী রণতরি জেরাল্ড ফোর্ড। এই রণতরিতে ৫ হাজার সেনা ও ৭৫টি যুদ্ধবিমান রয়েছে।
মাদক চোরাচালান চক্রের বিরুদ্ধে ক্যারিবীয় সাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্ব দিক থেকে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। গত সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে আন্তর্জাতিক জলসীমায় ২০টি নৌযানে মার্কিন নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর হামলায় ৭৬ জন নিহত হয়েছেন।