১. আপনার শক্তি

তীব্র বেদনা, হতাশা, বিষণ্নতা আমাদের ভেতর থেকে চুরমার করে দেয়। সেই সঙ্গে নিজেকে নতুন করে চিনতেও শেখায়। বেঁচে থাকার সংগ্রাম আপনার নিজেরই এমন এক সংস্করণের মুখোমুখি দাঁড় করায়, যাকে আপনি চিনতেন না।

আপনার ভেতরে যে সেই সত্তা সুপ্ত ছিল, আপনি কখনো জানতেন না। নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে থাকার লড়াইয়ে আপনি কখনো জানতেন না—এই তুমুল স্রোতের বিপরীতে আপনি এভাবেও প্রতিরোধ গড়ে টিকে থাকতে পারতেন।

এটাই খারাপ সময়ের সৌন্দর্য, নিজের ভেতরের শক্তি বের করে আনে। আপনার সঙ্গে যখন আপনার পদ, পদবি, সম্পদ, সম্পর্ক, স্বস্তি—কিছুই থাকে না, তখন আপনি সত্যিকারের ‘আমার আমি’র মুখোমুখি হন।

নিজের সঙ্গে আপনার নিজের বোঝাপড়া দৃঢ় হয়। এ জন্যই বলা হয়—‘লুজ এভ্রিথিং টু ফাইন্ড ইয়োরসেলফ’। আপনি কি সব হারিয়ে নিজেকে পাওয়ার জন্য প্রস্তুত?

২.

কেউ কাউকে উদ্ধার করতে আসে না

আপনি যখন চূড়ান্ত বিপদে পড়েন, তখন আপনার সঙ্গে একমাত্র যে থাকে, সে আপনি নিজে। আপনি মনের গহিনে, মাথার ভেতরে যে অন্ধকার সুড়ঙ্গ পার করেন, সেখানে কেউ আপনার সঙ্গী হয় না।

সেই যাত্রার একমাত্র যাত্রী আপনি নিজে। আর আপনি নিজেই নিজেকে উদ্ধার করেন। আপনজন বা বন্ধুবান্ধব আপনাকে ওই সুড়ঙ্গ থেকে বের হতে সাহায্য করেন; তবে নিজেকে বের করে নিয়ে আসেন আপনি নিজেই।

আরও পড়ুনকলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির গবেষণা: পরিবারের সঙ্গে বসে খাবার খেলে শিশু–কিশোরদের পরীক্ষার ফল ভালো হয়৮ ঘণ্টা আগে৩. সম্পদের চেয়ে স্থিতি, শান্তিই আপনার কাছে মুখ্য হয়ে ওঠে

একবার সবকিছু হারিয়ে ফেলার পর আপনার কাছে বস্তুবাচক জিনিস আর মুখ্য থাকে না। তখন আপনার মানসিক শান্তি, নিরাপত্তা আর স্থিতিশীলতাই জরুরি হয়ে ওঠে। আপনি ‘আরও চাই’ থেকে ‘যা আছে তা-ই যথেষ্ট’–তে বিশ্বাসী হয়ে ওঠেন।

৪. দুঃসময়ে আপনি নিজেকে চেনেন, চেনেন অন্যকেও

আপনি যখন জীবনের খারাপ সময়ের ভেতর দিয়ে যান, আপনার ফোন খুব কমই বেজে ওঠে। সে সময়েও যেসব মানুষ আপনার খোঁজখবর নেন, পাশে থাকেন, ভালো অনুভব করান, কেবল তাঁদেরই জীবনে রাখুন।

একবার যখন আপনি জীবনে সব হারিয়ে ফেলেন, তখনই আপনি বোঝেন, মানুষের ভালোভাবে বেঁচে থাকার জন্য আদতে খুব বেশি কিছুর প্রয়োজন নেই

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র ভ তর ন আপন আপন র

এছাড়াও পড়ুন:

অনলাইনে এনবিআরের ভ্যাট রিফান্ড মডিউল চালু

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) করদাতাদের জন্য অনলাইনে ভ্যাট রিফান্ড মডিউল চালু করেছে। যার মাধ্যমে ভ্যাট রিফান্ড আবেদন, যাচাই-বাছাই ও অর্থ প্রদান সম্পূর্ণভাবে অনলাইনে সম্পন্ন করা যাবে।

সোমবার (১০ নভেম্বর) এনবিআর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

আরো পড়ুন:

এনবিআর নিয়ে বিএনপির ভিন্ন পরিকল্পনা আছে: আমীর খসরু

প্রবাসীদের আয়কর রিটার্ন আরো সহজ করল এনবিআর

এনবিআর জানায়, নতুন এই মডিউলের মাধ্যমে ভ্যাট রিফান্ডের অর্থ BEFTN (Bangladesh Electronic Fund Transfer Network) ব্যবস্থার আওতায় সরাসরি করদাতার ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করা হবে। এর ফলে করদাতাদের আর ভ্যাট অফিসে গিয়ে রিফান্ড আবেদন দাখিল বা চেক গ্রহণ করতে হবে না।

এনবিআর জানায়, এই সিস্টেমের মাধ্যমে iVAS (Integrated VAT Administration System) ও অর্থ বিভাগের iBAS++ এর মধ্যে সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে। করদাতারা অনলাইনে মূসক রিটার্নের মাধ্যমে প্রাপ্য ভ্যাট রিফান্ডের আবেদন দাখিল করতে পারবেন। সংশ্লিষ্ট কমিশনারেট আবেদন যাচাই-বাছাই করে অনুমোদন দিলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অর্থ স্থানান্তর হবে।

এর ফলে করদাতাদের সময় ও অর্থ সাশ্রয়ের পাশাপাশি রিফান্ড প্রদানের প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে বলে এনবিআর আশা করছে। এছাড়া, পূর্বে অনলাইনে বা ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে দাখিলকৃত অনিষ্পন্ন রিফান্ড আবেদনগুলো পুনরায় অনলাইনে মূসক-৯.১ ফরমের মাধ্যমে দাখিল করতে হবে।

নতুন এই মডিউলটি সঠিকভাবে ব্যবহার নিশ্চিত করতে এনবিআর সকল ভ্যাট কমিশনারেটের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে। করদাতারা সংশ্লিষ্ট মূসক কমিশনারেটে যোগাযোগ করে অনলাইন রিফান্ড প্রাপ্তির বিষয়ে প্রয়োজনীয় সহায়তা নিতে পারবেন।

এনবিআর জানিয়েছে, এই উদ্যোগের মাধ্যমে রাজস্ব ব্যবস্থার ডিজিটালাইজেশনে আরো এক ধাপ অগ্রগতি হলো এবং ভবিষ্যতে সংস্থার সব কার্যক্রম সম্পূর্ণ অটোমেশন ব্যবস্থার আওতায় আনা হবে।

ঢাকা/নাজমুল/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ