জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনের প্যানেল ঘোষণার সময় নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে।

নির্বাচন আচরণবিধি উপধারা ১৪ অনুযায়ী, কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে অন্য কেউ নির্বাচনি প্রচারণায় লাউডস্পীকার বা অন্য কোনো সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করতে পারবে না। তবে নির্বাচন কমিশনের অনুমতি সাপেক্ষে বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত হ্যান্ডমাইক ব্যবহার করা যায়।

আরো পড়ুন:

জকসু নির্বাচন: নবীনদের ‘তরুণ শিক্ষার্থী ঐক্য’ প্যানেল ঘোষণা

জকসু: ছাত্রদলের বিদ্রোহীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার

তবে মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) ছাত্রশিবিরের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা এবং জাতীয় ছাত্রশক্তি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নির্বাচনি প্যানেল ঘোষণার সময় দেখা যায়, তারা হ্যান্ডমাইক ব্যবহার করে উচ্চ শব্দে প্রচারণা চালানো হয়েছে, যা স্পটভাবে আচরণবিধি লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশক্তির সদস্য সচিব শাহিন মিয়া বলেন, “শব্দ সীমার ভেতর রেখে আমরা প্রাথমিকভাবে হ্যান্ডমাইক ব্যবহারের প্রস্তুতি নেই। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটি ও লোক সমাগমের কারণে মাইক ব্যবহার করা হয়। তবে শব্দ সীমার মধ্যে ছিল। আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।”

শাখা ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম আরিফ বলেন, “আমাদের জানা ছিল না, মাইক ব্যবহার করা যাবে না। ভুল স্বীকার করছি, এটি আমাদের অসচেতনতায় হয়েছে।”

প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড.

মোস্তফা হাসান বলেন, “আমরা বিষয়টি নজরে পেয়েছি। যদি তারা এ ধরনের কাজ করে থাকে, তবে স্পষ্টভাবে আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছে, যা কখনোই কাম্য নয়। দিনের শেষভাগে বিষয়টি জেনে আজ কোনো পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে আগামীকাল তাদের শীর্ষ নেতাদের ডেকে জবাবদিহি করানো হবে।”

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জকস জকস আচরণব ধ

এছাড়াও পড়ুন:

প্রার্থীদের লাগবে ডোপ টেস্ট, অনলাইনে ব্যক্তি আক্রমণ ও গুজব ছড়ালে ব্যবস্থা

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (শাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী হতে ডোপ টেস্ট করাতে হবে। একই সঙ্গে ভোটার ও প্রার্থীদের নিয়ে ব্যক্তিগত আক্রমণাত্মক ও গুজব ছড়ালে ব্যবস্থা নেবে নির্বাচন কমিশনের মনিটরিং সেল।

গতকাল রোববার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত শাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

আচরণবিধির ‘মনোনয়নপত্র সংগ্রহ, দাখিল ও প্রত্যাহার’ শীর্ষক অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, প্রার্থী নিজ উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগে ডোপ টেস্টের স্যাম্পল দেওয়ার পর প্রাপ্ত রসিদটি মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেবেন। নির্বাচন কমিশন কার্যালয় সব প্রার্থীর ডোপ টেস্টের প্রতিবেদন সংগ্রহ করবে। ডোপ টেস্টের ফলাফল ‘পজিটিভ’ হলে প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল বলে গণ্য হবে। প্রয়োজনে ডোপ টেস্ট রিপোর্ট সম্পর্কে নির্বাচন কমিশন গঠিত রিভিউ কমিটির চূড়ান্ত মতামত নেওয়া হবে।

অনলাইনে প্রচার-প্রচারণার নিয়ম ও তা লঙ্ঘনের বিষয়ে আচরণবিধির অনুচ্ছেদ-৫-এ বলা হয়েছে, অনলাইন বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা চালানো যাবে, তবে তা অবশ্যই আইনসিদ্ধ ইতিবাচক পদ্ধতিতে হতে হবে। দেশের প্রচলিত আইনে নিষিদ্ধ এমন কোনো কাজ অনলাইন বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে করা যাবে না।

এতে আরও বলা হয়, নির্বাচনী প্রচারণা ও প্রচারপত্রে কিংবা প্রিন্ট মিডিয়া, ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যক্তিগত আক্রমণ, চরিত্র হনন, গুজব, মানহানিকর আচরণ, অশালীন উক্তি, উসকানিমূলক কোনো কথা কিংবা কারও বিরুদ্ধে কোনো অসত্য তথ্য ছড়ানো, কোনো ধর্ম, বর্ণ, রাজনৈতিক দল বা সংশ্লিষ্ট কারও অনুভূতিতে আঘাত হানে এমন কোনো কিছু করা যাবে না। নির্বাচন কমিশন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় এমন কোনো প্রচারণা করা যাবে না।

এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নির্বাচনের জন্য ক্ষতিকর যেকোনো অনলাইন সাইট বা গ্রুপ বন্ধ, কনটেন্ট ডিলিট এবং দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কমিশনের মনিটরিং সেল প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবে। আচরণবিধিতে এমনটাই উল্লেখ করা আছে।

আচরণবিধি লঙ্ঘনে শাস্তি কী, সে বিষয়ে উল্লেখ আছে অনুচ্ছেদ-১৮ তে। এতে বলা হয়েছে, ‘কোনো প্রার্থী বা তাঁর পক্ষে কেউ বা কোনো ভোটার নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করলে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, প্রার্থিতা বাতিল অথবা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা অথবা রাষ্ট্রীয়/বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী অন্য যেকোনো দণ্ডে দণ্ডিত হবে। নির্বাচনসংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আচরণবিধি ভাঙায় জরিমানা বাবরের
  • চ্যালেঞ্জের মধ্যেও কমিশন অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে প্রস্তুত: সিইসি
  • প্রার্থীদের লাগবে ডোপ টেস্ট, অনলাইনে ব্যক্তি আক্রমণ ও গুজব ছড়ালে ব্যবস্থা
  • দলগুলোর সহযোগিতা ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: সংলাপে সিইসি
  • আমরা কারও পক্ষে কাজ করতে পারব না: সিইসি
  • ইসির সংলাপে ইসলামী ঐক্যজোটের দুপক্ষে তর্ক, একাংশকে বের হয়ে যেতে বলা হলো