2025-08-02@06:32:13 GMT
إجمالي نتائج البحث: 18
«ব ঠকক»:
গোলাম মুরশিদের কোন বইয়ের পুনঃসংস্করণ না হলে ধরে নিতে পারি, এই আত্মকথা ইতিকথা তাঁর সর্বশেষ রচনা। মুরশিদ দেশে ও দেশের বাইরে অত্যন্ত একনিষ্ঠ একজন গবেষক হিসেবে সুপরিচিত। মাইকেল মধুসূদন দত্ত ও কাজী নজরুল ইসলামের জীবনী রচনা করে মুরশিদ সর্বাধিক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন।আলোচ্য বইটিপ্রকাশিত হয়েছে মুরশিদের মৃত্যুর পর। তাঁর স্নেহভাজন ছাত্র স্বরোচিষ সরকার অন্য দুজনের সহায়তায় এ গ্রন্থ প্রকাশ করেছেন। যদিও ঠিক প্রচলিত অর্থে এ গ্রন্থকে মুরশিদের আত্মকথন বলা যাবে না। জীবনসায়াহ্নে মুরশিদ আত্মকথা রচনার উদ্যোগ নিয়েছিলেন, কিন্তু আরও সব তথ্য সাজিয়ে পূর্ণাঙ্গ একটা গ্রন্থের অবয়ব দেওয়ার অবকাশ তাঁর আর জোটেনি।এ গ্রন্থে ছোটবেলায় তাঁর মফস্সল থেকে ঢাকায় এসে পড়াশোনা এবং বিশেষত প্রবাসকালে বিবিসিতে চাকরি করার সুবাদে বহুবিচিত্র সব অভিজ্ঞতার বিবরণী পাঠককে বেশ চমৎকৃত করবে। গ্রন্থে মোট ৯টি অধ্যায় আছে। অবশ্য পূর্ব-প্রকাশিত...
নন্দনতত্ত্বের সুন্দরের অনুষঙ্গে কাম, কোমল, বীর, করুণ ইত্যাদি রসকে বিভাজনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে আবিষ্ট ভাবের বাহক ও উদ্দীপক হিসেবে চিহ্নিত করে এ শতাব্দীর দ্বিতীয় দশকের সংকট, সম্ভবনা, স্বার্থপরতা, স্বপরিভ্রমণ, বিকৃত মানসিকতা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—সবকিছুকেই সুমন সাজ্জাদ তাঁর গোলাকধাঁধার গল্প গ্রন্থে ঠাঁই দিয়েছেন। গত শতাব্দীর ধর্মীয় বিভাজনের রেখা এ গোলকধাঁধায় গল্পের পরিধিকে ব্যাপ্ত করেছে। ফলত পাঠক সত্যি সত্যি পাজলের মীমাংসায় নিমগ্ন হতে বাধ্য হয়, যা এ বইয়ের সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় দিক। সুমন সাজ্জাদের প্রধান পরিচয় তিনি কবি। তাই গল্পের শরীরে কবিতার পঙ্ক্তি পাঠককে করে নিবিড়ভাবে জীবন ও সময়ঘনিষ্ঠ। যেমন ‘যার হাতের ভেতর কালো বিন্দুর মতো তিল ছিল, তার হাতের ভেতর নাক ডুবিয়ে তুলে নিলেন সমস্ত পৃথিবীর মিষ্টি গন্ধ।’‘খড়ের পুতুল’ এ বইয়ের প্রথম গল্প। এতে লেখক পাঠককে অনুরোধ করছেন বইটি না–পড়তে। লেখকের অভিমত, আপনি নিজেই...
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের চার দিনের লন্ডন সফর এখন রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রে। এই সফর কি কেবল একটি সম্মাননা গ্রহণ, নাকি এর মাঝেই লুকিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতির নতুন রূপরেখা? এই নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। ৫ আগস্ট শুধু রাজনীতি নয়, রাষ্ট্র ও সমাজের বহুক্ষেত্রে পরিবর্তনের সম্ভাবনা তৈরি করেছিল। কিন্তু বাস্তবতার খেরোখাতা বলছে ভিন্ন কথা। শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরেও বাংলাদেশ এক হতে পারেনি। এক হতে পারেনি রাজনীতি। বরং গণঅভ্যুত্থানের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে একদল মানুষ তৈরি করে মব। ধর্মীয় অনুভূতির সুবিধা নিয়ে রাজনীতির মাঠে তৈরি করেছে বিভাজন। যে গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা এবং মুক্ত সংবাদমাধ্যমের স্বপ্ন বাংলাদেশ দেখেছিল, দিন দিন তা যেন দূর থেকে বহু দূরের বস্তু হয়ে পড়ছে। এমন সময়ে বিএনপি ডিসেম্বরের মধ্যে অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি তোলে। তবে বাদ সাধে...
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠককে ইতিবাচকভাবে দেখলেও সেখানে অভ্যুত্থান পরবর্তী বিচার ও সংস্কার সেভাবে প্রাধান্য পায়নি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এমন মন্তব্য করেন। ফেসবুকে তিনি লেখেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠককে আমরা ইতিবাচকভাবে দেখি। জাতীয় ঐক্যমত্যের প্রশ্নে, দেশের স্বার্থে সরকারের সঙ্গে সব রাজনৈতিক দলের এমন সুসম্পর্কই কাম্য। পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, হতাশার বিষয়- বৈঠকে নির্বাচনের মাস ও তারিখ যেভাবে গুরুত্ব পেয়েছে অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আকাঙ্ক্ষা বিচার ও সংস্কার সেভাবে প্রাধান্য পায়নি। এই সরকার শুধু নির্বাচন দেওয়ার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনো রূপ...
লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের আলোচনা ও ঐকমত্যের সূচনাকে স্বাগত জানিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)। দলটি বলেছে, আমরা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, জনগণ শুধু কথায় নয়, বাস্তবে সংস্কার ও বিচারের দৃশ্যমান অগ্রগতির পদক্ষেপ দেখতে চায়। শুক্রবার জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন। তারা বলেন, এই উচ্চপর্যায়ের সংলাপ দেশে রাজনৈতিক সমঝোতা ও জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের কাঙ্ক্ষিত অভিপ্রায় অনুযায়ী রাষ্ট্র সংস্কার, শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর এবং গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠার পথে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। বিবৃতিতে নেতারা বলেন, অধ্যাপক ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক ও বিবৃতিতে আগামী বছরের পবিত্র রমজানের আগেই একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ এবং তার পূর্বশর্ত হিসেবে কাঙ্ক্ষিত...
যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক শেষ হয়েছে। লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলে শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় (বাংলাদেশ সময় বেলা ২টা) এ বৈঠক শুরু হয়। শেষ হয় বাংলাদেশ সময় বিকেল পৌনে ৪টার দিকে। বৈঠকে তারেক রহমানের সঙ্গে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও চেয়ারপার্সনের ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজারি কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির। আগামী জাতীয় নির্বাচনের সময় নিয়ে বিতর্কের মধ্যে এ বৈঠক হলো। গত বছরের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর এটি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও দেশের বৃহত্তর রাজনৈতিক দল বিএনপির দ্বিতীয় শীর্ষ নেতার প্রথম সাক্ষাৎ। গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার ও নির্বাচনের সময়সহ বহু অমীমাংসিত বিষয় সামনে রেখে...
আগামী জাতীয় নির্বাচনের সময়-বিতর্কের মধ্যেই আজ লন্ডনে মিলিত হচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। গত বছরের ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এটি হবে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপির দ্বিতীয় শীর্ষ নেতার প্রথম সাক্ষাৎ বা বৈঠক। গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার ও নির্বাচনের সময়সহ বহু অমীমাংসিত বিষয় সামনে রেখে এ বৈঠককে খুবই গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হচ্ছে।যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলে আজ শুক্রবার সেখানকার সময় সকাল নয়টায় যখন অধ্যাপক ইউনূস ও তারেক রহমানের সঙ্গে এ সাক্ষাৎ হবে, তখন বাংলাদেশের সময় হবে বেলা দুইটা। তবে কত সময় ধরে আলোচনা চলবে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।আরও পড়ুনইউনূস-তারেক বৈঠক খুবই গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশের জন্য: প্রেস সচিব১১ ঘণ্টা আগেসরকারি ও বিএনপির সূত্রগুলো জানিয়েছে, এই বৈঠকে দুই পক্ষের...
আগামীকাল শুক্রবার লন্ডনে অনুষ্ঠেয় অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠককে ইতিবাচকভাবে দেখছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটি মনে করে, নির্বাচন কবে হবে, সেটার চেয়ে মৌলিক সংস্কার ও জুলাই আন্দোলনে নির্বিচার মানুষ হত্যার বিচারের মতো বিষয়গুলো বৈঠকে বেশি গুরুত্ব পাবে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস চার দিনের সফরে গত মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে পৌঁছান। ভোটের সময়সীমা নির্ধারণ নিয়ে চলমান বিতর্কের মধ্যে এই বৈঠককে রাজনৈতিক অঙ্গনে গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। এই বৈঠক ফলপ্রসূ হলে নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়, গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার, জুলাই সনদসহ বিভিন্ন বিষয়ে সরকার ও বিএনপির দূরত্ব বা মতবিরোধ কমে আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।আরও পড়ুনদেশের নিরাপত্তায় আ.লীগের কার্যক্রম স্থগিত থাকবে৭ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান
বাংলা একাডেমির সভাপতি আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেছেন, যখন রেডিও–টেলিভিশন আবিষ্কার হয়েছিল, তখন অনেকে বলেছিলেন, বইয়ের গুরুত্ব শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু সে রকম হয়নি। বরং অনলাইনের মাধ্যমে বই আমাদের কাছে আরও সহজলভ্য হয়েছে।আজ শুক্রবার বিকেলে বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক।বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের উদ্যোগে ঢাকা মহানগরের স্কুল পর্যায়ের ছাত্রছাত্রীদের বইপড়া কর্মসূচির পুরস্কার বিতরণ উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কর্মসূচির সহযোগিতায় রয়েছে গ্রামীণফোন। অনুষ্ঠানের আয়োজক বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র।বই একজন মানুষকে নতুন করে গঠন করে—এ কথা উল্লেখ করে আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, বই তার পাঠককে কখনো অভিভূত করে, কখনো হতাশ আবার কখনো উজ্জীবিত করে। এর মধ্য দিয়ে পাঠক ব্যতিক্রম সব অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। কিন্তু নিজেকে গড়তে অবশ্যই বই পড়তে হবে।সব লেখক...
বাংলাদেশে সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল সফর করেছে। যার নেতৃত্বে ছিলেন দেশটির সহনশীলতা ও সহাবস্থান বিষয়ক মন্ত্রী শেখ নাহায়ান বিন মোবারক আল নাহায়ান। বুধবার (৭ মে) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠককালে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস তাদের স্বাগত জানান এবং বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা পুনরায় চালুর অগ্রগতির জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এর আগে, প্রতিনিধিদলের সদস্যরা দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী তাদের স্বাগত জানান। প্রতিনিধিদলে আরো ছিলেন আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী আহমেদ বিন আলি আল সায়েঘ এবং বিনিয়োগ মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি মোহাম্মদ আব্দুর রহমান আল হাওয়ি। বৈঠককালে শেখ নাহায়ান বলেন, ‘‘বাংলাদেশের প্রতি সংহতি জানানো এবং আমাদের বন্ধুত্ব পুনরায় তুলে ধরার নির্দেশ...
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে নিরাপদ প্রত্যাবাসনে চীনকে আরও সক্রিয় ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দেশের বামপন্থি দলগুলো। রোববার ঢাকা সফররত চীনা কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে পৃথক বৈঠকে বাম নেতারা এ আহ্বান জানান। এদিন রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে প্রতিনিধিদলটি বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) এবং বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। চীনা কমিউনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক বিভাগের দক্ষিণ-পূর্ব ও দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ব্যুরোর ডাইরেক্টর জেনারেল পেং জিউ বিনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধিদল আরও ছিলেন চেন ইয়াংপেই, ঝাং গুইউ। সিপিবির পক্ষ থেকে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- দলের সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম, সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ এবং সম্পাদক ও আন্তর্জাতিক বিভাগের প্রধান অ্যাডভোকেট হাসান তারিক চৌধুরী। অন্যদিকে, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির পক্ষে দলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য ও আন্তর্জাতিক বিভাগের প্রধান বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান এবং...
‘পৃথিবীটা অপরূপ। তবু তার মুগ্ধ তরুতলে। দোতারা বাজায় বসে কেউ কেউ—উদাসী বাউল। রাখে সে চরণচিহ্ন দীপ্তিময় তারকার ফুল দিতে এসে কান্নাভেজা শরতের নিশি শেষ হলে— ক্লান্ত হাতে উষাকালে রাধিকার ছড়ানো আঁচলে, স্মৃতির অরণ্যে কিছু রেখে যায় শেফালি বকুল, ভাদরের ভরানদী ভাঙে যার হৃদয়ের কূল; অশ্রু তার টলমল তৃণে তৃণে শিশিরের জলে।’ [একটি জিজ্ঞাসা] ‘বিবাগী বসন্ত বাউল যৌবন’ সনেটগ্রন্থের উপর্যুক্ত সনেটটি যখন লেখা হয়, সে সময়টি ছিল ৩ অক্টোবর ১৯৬৮। বিংশ শতাব্দীর ষাটের দশকের শেষাংশে আত্মপ্রকাশ করা কবি আতাউল হক সিদ্দিকী। গ্রন্থভুক্ত হওয়ার আগে সনেটটির শিরোনাম ছিল, ‘একটি জিজ্ঞাসা : তোমার সমীপে’। সনেটটি রচিত হয়েছিল নওগাঁ ডিগ্রি কলেজ বার্ষিকী শাহাদৎ হোসায়েন স্মৃতি সংখ্যায়, মরহুম শাহাদাৎ হোসায়েন স্মরণে। সনেটের দুটি অংশ, অষ্টক এবং ষষ্ঠক। অষ্টক অংশে যেমন কবি পৃথিবীর রূপ-রস-সৌন্দর্যের বর্ণনার মধ্য...
আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসের বিগত দিনগুলোর বিভিন্ন পর্বের ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ এখন জরুরি হয়ে পড়েছে। যুগ-সন্ধিক্ষণের প্রহরে দাঁড়িয়ে আমাদের জাতিকে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে হলে পিছু ফিরে দেখতে হবে ইতিহাসের বাঁক-পরিবর্তনের সময় কে কী করেছি, কী ভুল ছিল, সাফল্য কোথায়, ব্যর্থতা কোথায়, সীমাবদ্ধতা কী ছিল, ইত্যাদি। এ রকম ইতিহাস চর্চার ব্যাপক অনুশীলনের প্রথম লগ্ন যখন শুরু হয়েছে, উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস উদ্ঘাটন তখন অতি আবশ্যকীয় হয়ে উঠেছে। এই কালপর্ব নিয়ে ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি বইও প্রকাশিত হয়েছে, যেমন– মোহাম্মদ ফরহাদের উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, মাহফুজ উল্লাহর অভ্যুত্থানের উনসত্তর, গোলাম কুদ্দুছের গণঅভ্যুত্থানের সুবর্ণজয়ন্তী ফিরে দেখা, লেনিন আজাদের উনসত্তরের গণআন্দোলন, মোরশেদ শফিউল হাসানের স্বাধীনতার পটভূমি ১৯৬০ দশক, ইত্যাদি। এ পর্যায়ে প্রখ্যাত প্রাবন্ধিক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর ‘উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ও জনমুক্তির প্রশ্ন’ একটি অবধারিত প্রাপ্তির মতো আমাদের হাতে এসে...
অমর একুশে বইমেলায় এসেছে লেখক ও বিশ্লেষক সরোজ মেহেদীর প্রথম গল্পগ্রন্থ ‘মায়াজাল’। জীবনের নানা ঘটনা, দুঃখ-হাসি-কান্না, সমাজে চলা অনিয়ম-অনাচার কখনো মানবিক বোধে, কখনো ব্যাঙ্গাত্মক উপায়ে গল্পে গল্পে তুলে ধরেছেন লেখক। গল্পে গল্পে প্রচলিত শৃঙ্খল ভেঙে দেওয়ার বিদ্রোহের ডাক যেমন দিয়েছেন, আবার শুনিয়েছেন নতুন দিনের আশার কথা। সৃজন থেকে প্রকাশিত বইটি বইমেলায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশের ২৮৫ নম্বর স্টলে পাওয়া যাচ্ছে। দাম ১৮০ টাকা। এ ছাড়া রকমারি-সহ বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বইটি পাওয়া যাবে। গত বছরের বইমেলায় সরোজ মেহেদীর করোনায় ভারত ভ্রমণ, বসবাস ও বন্দী জীবনের ভাবনা-দর্শনমূলক বই ‘চেনা নগরে অচিন সময়ে’ সময়ে প্রকাশ হলে তা পাঠক মহলে ব্যাপক সাড়া জাগায়। সরোজ মেহেদী বলেন, যে জীবন যাপন করছি; যে স্নেহ, প্রীতি, প্রেম নিয়ে আমাদের রোজকার বন্ধন; যে অনাচার আর অবিচারকে সঙ্গী করে এই...
অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে ইমতিয়াজ আহমেদের তৃতীয় গল্পগ্রন্থ ‘অসমাপ্ত রাতের ছায়া’। বইটি প্রকাশ করেছে ‘কিংবদন্তী’ প্রকাশন। বইটি সম্পর্কে লেখক ইমতিয়াজ আহমেদ রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “গল্পগুলো দুই ভাগে বিভক্ত। অতিপ্রাকৃত এবং জীবনের গল্প। প্রতিটি গল্পই সুক্ষ্মবার্তা দেবে পাঠককে। চিন্তার জগতে খানিকটা নাড়া দেবে।” বইয়ের ফ্ল্যাপে লেখা রয়েছে, ‘অসমাপ্ত রাতের ছায়া। যে রাত শেষ হয় না। আমাদের মগজে-মননে ঝুলে থাকে। যে রাত বয়ে বেড়াতে হয় জীবনেও। এমনই কিছু গল্প নিয়ে সাজানো হয়েছে অসমাপ্ত রাতের ছায়া গল্পগ্রন্থটি। বইয়ের গল্পগুলোকে দুই ভাগে সাজানো হয়েছে। এখানে রয়েছে জীবনের গল্প, রয়েছে অতিপ্রাকৃত গল্প। তবে গল্পগুলো মানুষের কল্পনার জগতকে নাড়া দেয়। আশা-হতাশার মধ্যে ডুবে যেতে যেতে আশাকে আঁকড়ে ধরার প্রয়াস খুঁজে পায়। গল্পগুলো পাঠককে আনন্দ দেবে-এই প্রত্যাশা।' আরো পড়ুন: বৃত্তের বাইরের...
সুহান রিজওয়ানের ‘নয়পৌরে’ তাঁর প্রথম গল্পগ্রন্থ। মনে হয়েছে গল্পগুলো এক বসায় পড়ে ওঠার মতো। অবশ্য এক বসায় আমার পড়া হয়নি। মেট্রোরেলে যেতে-আসতে বেশ ক’দিন সময় নিয়ে পড়েছি। আমার ধারণা যাদেরই রিডার্স ব্লক চলছে, এ বই তাদের ব্লক কাটাতে সহায়ক হতে পারে। প্রথম গল্প, ‘ডেড সোলস’ পড়তে গিয়ে সাই-ফাই সিরিজ ‘ব্ল্যাক মিরর’–এর কথা মনে পড়তে পারে। সোশ্যাল মিডিয়ার ভার্চুয়াল জীবন থেকে আয়-উন্নতির প্রলোভন কতটা বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে তার টানটান কাহিনি। শুরু থেকেই গল্পের মধ্যে ঢুকে যেতে হয়। সমাপ্তির টুইস্টটা পরিচিত। অনুমেয়ও লাগতে পারে। দ্বিতীয় গল্পটা, ‘জট’ আমার ব্যক্তিগত পছন্দের। অদ্ভুতুড়ে, অতিপ্রাকৃতিক গল্পের মধ্যে যদি একটা লুক্কায়িত বার্তা থাকে, একটা দ্বিতীয় গল্প থাকে, চমৎকার ব্যাপার হয়। এই শহরের ভয়াল, স্থবির জ্যাম গল্পের নায়িকাকে যে পরিণতির মুখে ঠেলে দিয়েছে, আদতে আমরা সবাই...
অলাত এহ্সান মূলত গল্পকার। সাহিত্য সমালোচনা ও প্রবন্ধও লেখেন তিনি। অবসরে চর্চা করেন জাপানি ভাষা। ২০২৫ বইমেলায় প্রকাশ হবে অলাত এহসানের ‘বৃদ্ধাশ্রম হয়ে ওঠা কফি হাউসটি’ গল্পগ্রন্থ। তার প্রথম গল্পগন্থ ‘অনভ্যাসের দিনে’ পাঠকনন্দিত হয়েছে। তরুণ প্রজন্মের এই গল্পকারের কাছে রাইজিংবিডি জানতে চেয়েছিলো বই প্রচারণায় একজন তরুণ লেখক কীভাবে কাজ করতে পারেন? অলাত বলেন, ‘‘বিশ্বের বহু প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান আছে, যেখান থেকে (পরিচিত-অপরিচিত) যেকারও বই বের হলে আপনি চোখ বুঝে কিনতে পারেন, লেখার মান নিয়ে ঠকবেন না। এটা ওইসব প্রকাশনীর সম্পাদনা পরিষদ নিশ্চিত করে। আমাদের মনে হয় অমন ব্রান্ড হয়ে ওঠা প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান তেমন নেই। আবার লেখকও তার লেখার মানে তেমন ব্যাপারে যত্নশীল নন, সেই যে এক লেখক বলেছিলেন না— অনেক লেখক আছেন যাদের অনেক পড়ার দরকার ছিল, কিন্তু তারা...
‘আধুনিক’কালে মধ্যবিত্ত শিক্ষিত বাঙালি কবিতাপ্রেমী জীবনানন্দে বেশ আটকে গেছেন অনেকখানি। তারপর বিনয় মজুমদার, উৎপল কুমার বসু, শামসুর রাহমানরা নতুন শাখা-উপশাখায় এগিয়েছেন। পাশাপাশি হাঁটছেন আরও আরও অনেকে। বাংলা কবিতার নিয়মিত পাঠক এসব জানেন। তারপরও পাঠের ক্ষুধা তাঁদের অন্বেষণে রাখে। ‘প্রকৃত কবিতা’ মেলেও কেবল কালেভদ্রে।ঋষিণ দস্তিদার পাঠ করতে পেরে সে রকমই মনে হলো। জন্ম চট্টগ্রাম বলে তাঁকে কি ‘চট্টগ্রামের কবি’ বলব? তাহলে ‘ঢাকার পাঠকে’র জন্য সেটা বেশ লজ্জারই হয়। বোঝা যায়, আমাদের খোঁজখবরের দৌড় বড় বেশি মিডিয়া প্রভাবিত।কবিতার কোনো রাজধানী নেই; কিন্তু বাংলা কাব্যজগৎ আগলে রেখেছে দুই রাজধানী—‘ঢাকা-কলকাতা’। ঋষিণ মজুমদারের কবিতা সেই দুই ‘রাজধানী’র বাইরের ভিন্ন এক প্রান্তর।শতপুষ্প স্যানাটোরিয়াম কাব্যগ্রন্থের ব্যাক কাভারের ভেতরের ফ্ল্যাপে ঋষিণ দস্তিদারের পরিচয় হিসেবে ২৯টি শব্দ আছে। এর শেষ ছয়টি শব্দ এ রকম, ‘প্রকৃতিমনস্ক, অন্তর্মুখী, সমাজপ্রগতির ভাঙা–গড়ার যাত্রায়...