আরব আমিরাতের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের বাংলাদেশ সফর
Published: 7th, May 2025 GMT
বাংলাদেশে সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল সফর করেছে। যার নেতৃত্বে ছিলেন দেশটির সহনশীলতা ও সহাবস্থান বিষয়ক মন্ত্রী শেখ নাহায়ান বিন মোবারক আল নাহায়ান।
বুধবার (৭ মে) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠককালে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস তাদের স্বাগত জানান এবং বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা পুনরায় চালুর অগ্রগতির জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এর আগে, প্রতিনিধিদলের সদস্যরা দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী তাদের স্বাগত জানান।
প্রতিনিধিদলে আরো ছিলেন আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী আহমেদ বিন আলি আল সায়েঘ এবং বিনিয়োগ মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি মোহাম্মদ আব্দুর রহমান আল হাওয়ি।
বৈঠককালে শেখ নাহায়ান বলেন, ‘‘বাংলাদেশের প্রতি সংহতি জানানো এবং আমাদের বন্ধুত্ব পুনরায় তুলে ধরার নির্দেশ দিয়েছেন আমাদের প্রেসিডেন্ট। সাম্প্রতিক সময়ে দুই দেশের মধ্যে যে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়েছে, তা ভবিষ্যতে আরো প্রসারিত হবে।”
তিনি জানান, ভিসা, বিনিয়োগ ও দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতাসহ নানা খাতে সংলাপ অব্যাহত রাখার আগ্রহ রয়েছে তাদের।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘‘আমরা আপনাদের এই বন্ধুত্বপূর্ণ অঙ্গীকারকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই। শিল্প, বাণিজ্যসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগে আমরা উৎসাহিত।’’
ভিসা ইস্যুতে অগ্রগতির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘‘আপনাদের ধন্যবাদ জানাই এই দরজা খোলার জন্য। এখনো কিছু পদক্ষেপ বাকি রয়েছে। আশা করি আমরা একসঙ্গে কাজ করে সেগুলো দ্রুত সমাধান করতে পারব।’’
বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রতিদিন ৩০ থেকে ৫০টি ভিজিট ভিসা ইস্যু করছে। ব্যবসায়িক প্রতিনিধি দলের জন্য দলগত ভিসা দ্রুত ইস্যু করা হচ্ছে। দক্ষ কর্মীদের জন্য অনলাইন ভিসা আবেদন ব্যবস্থা পুনরায় চালু করেছে দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়।
এরই মধ্যে বিপণন ব্যবস্থাপক, হোটেল কর্মীসহ বিভিন্ন পেশার কর্মীদের জন্য ভিসা ইস্যু করা হয়েছে। নিরাপত্তা রক্ষীদের জন্য ৫০০টি ভিসা দেওয়া হয়েছে এবং আরো এক হাজার ভিসা অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
বৈঠকে ঢাকায় নিযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলি আল হামোদি এবং আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে প্রতিনিধিদলটি ঢাকা ত্যাগ করেছে।
ঢাকা/হাসান/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দ র জন য মন ত র
এছাড়াও পড়ুন:
এক্সপ্রেসওয়েতে অ্যাম্বুলেন্সকে বাসের ধাক্কা, একই পরিবারের চারজন নিহত
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখানে ঢাকা মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের নিমতলায় দাঁড়িয়ে থাকা অ্যাম্বুলেন্সকে পেছন থেকে ধাক্কা দিয়েছে যাত্রীবাহী একটি বাস। এতে একই পরিবারের চারজন নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে একজন নারী নিহত হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের সিরাজদীখান উপজেলার নিমতলা তালুকদার পাম্পের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার তথ্য নিশ্চিত করেছেন হাসারা হাইওয়ে থানার ওসি আব্দুল কাদের জিলানী।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনজনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালটির পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. ফারুক। তিনি জানান, নিহতদের মধ্যে একজন নারী রয়েছেন। তার নাম আফসানা (২০)। অপর নিহতরা হলেন তার বাবা সামাদ ফকির (৬০) ও ভাই হাফেজ বিল্লাল (৪০)।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ঢাকাগামী একটি অ্যাম্বুলেন্সের চাকা পাংচার হয়ে যায়। নিমতলা তালুকদার পাম্পের সামনে চাকা সচল করার জন্য অ্যাম্বুলেন্সটি থামানো ছিল। পেছন থেকে ঢাকাগামী গোল্ডেন পরিবহন যাত্রীবাহী বাসটি অ্যাম্বুলেন্সের পেছনে ধাক্কা দেয়।
এতে অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে ৩৫ বছর বয়সী এক নারী ঘটনাস্থলে মারা যান। এ সময় আহত হন দুই নারী ও তিন পুরুষ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানে মারা যান আরও তিনজন। তারা হলেন সামাদ ফকির (৬০) ও তাঁর ছেলে হাফেজ বিল্লাল (৪০) ও মেয়ে আফসানা (২০)।
হাসরা হাইওয়ে থানার ওসি আব্দুল কাদের জিলানী জানান, নিহত নারীর লাশ উদ্ধার করে হাসারা হাইওয়ে থানায় রাখা হয়েছে। আহত পাঁচজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অ্যাম্বুলেন্সটির তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ধারণা করছি, অ্যাম্বুলেন্সটির যাত্রীরা পেছনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। বাসটি ওই সময় অ্যাম্বুলেন্সের পেছনে ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বাসটি থানায় জব্দ করা হয়েছে।