অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠককে ইতিবাচকভাবে দেখলেও সেখানে অভ্যুত্থান পরবর্তী বিচার ও সংস্কার সেভাবে প্রাধান্য পায়নি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।

শুক্রবার রাত ১০টার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

ফেসবুকে তিনি লেখেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান প্রফেসর ড.

মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠককে আমরা ইতিবাচকভাবে দেখি। জাতীয় ঐক্যমত্যের প্রশ্নে, দেশের স্বার্থে সরকারের সঙ্গে সব রাজনৈতিক দলের এমন সুসম্পর্কই কাম্য।

পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, হতাশার বিষয়- বৈঠকে নির্বাচনের মাস ও তারিখ যেভাবে গুরুত্ব পেয়েছে অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আকাঙ্ক্ষা বিচার ও সংস্কার সেভাবে প্রাধান্য পায়নি। এই সরকার শুধু নির্বাচন দেওয়ার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনো রূপ নয় বরং একটি অভ্যুত্থানের উপর দাঁড়িয়ে, দেশের মানুষের অসংখ্য ত্যাগের উপর দাঁড়িয়ে জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষার কাছে দায়বদ্ধ একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
জুলাই মাসের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র ও জুলাই সনদ, মৌলিক সংস্কার, দৃশ্যমান বিচার এবং নির্বাচনকেন্দ্রিক প্রয়োজনীয় সংস্কার সাধন নির্বাচনের পূর্বশর্ত।

জুলাই সনদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জুলাই সনদের পূর্বে নির্বাচনের মাস আর তারিখ নিয়ে কথা বলা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান দায়বদ্ধতা ভুলে যাওয়ার নামান্তর। সনদ রচনার পরেই নির্বাচন বিষয়ক আলোচনা চূড়ান্ত হওয়া উচিত।

হাসনাত আবদুল্লাহ আরও লেখেন, দেশের স্থানীয় পর্যায়ে ইতোমধ্যে চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব, প্রশাসনকে প্রভাবিত করা, পেশিশক্তির প্রদর্শনসহ ক্ষমতার অপব্যবহারের নানা দৃষ্টান্ত প্রতিনিয়ত দৃশ্যমান হচ্ছে। এই অবস্থায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা। যেটা নির্বাচনের অন্যতম আরেকটি পূর্বশর্ত।

এনসিপির এই নেতা পোস্টে আরও বলেন, নির্বাচনের মাস এপ্রিল কিংবা ফেব্রুয়ারি যেটাই হোক না কেন, তার চেয়ে মুখ্য বিষয় হচ্ছে নির্বাচনের পূর্বে জুলাই সনদ দৃশ্যমান বিচার এবং মৌলিক সংস্কার গুলো হচ্ছে কিনা।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এনস প জ ত য় ন গর ক প র ট ত র ক রহম ন জ ল ই সনদ সরক র র

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলের হামলা: নিজেদের আকাশসীমা বন্ধ করল ইরান

ইরানে ইসরায়েলের হামলার পর নিজেদের আকাশসীমা বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে তেহরান। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়, ‘ইরানের বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার জনসংযোগ বিভাগ বলেছে, পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত দেশের আকাশসীমা বন্ধ থাকবে।’

আজ শুক্রবার ভোররাতে ইরানের রাজধানী তেহরানসহ একাধিক স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায় ইসরায়েল। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়, হামলায় ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডের (ইসলামি বিপ্লবী গার্ড) প্রধান ও দুজন পরমাণুবিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন।

আরও পড়ুনতেহরানে হামলা চালাল ইসরায়েল৩ ঘণ্টা আগে

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইরানের পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচির মূল কেন্দ্রে আঘাত হেনেছে তাঁর দেশ।

নেতানিয়াহু বলেন, তেহরান থেকে প্রায় ২২৫ কিলোমিটার দক্ষিণে নাতাঞ্জ শহরে অবস্থিত দেশটির প্রধান পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ইরানের যেসব বিজ্ঞানী দেশটির জন্য (পারমাণবিক) বোমা তৈরির কাজে যুক্ত ছিলেন, তাঁদের লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়। তিনি আরও বলেন, ‘যত দিন প্রয়োজন, তত দিন এমন হামলা চলবে।’

আরও পড়ুনইসরায়েলের হামলায় ইরানের বিপ্লবী গার্ডের প্রধান হোসেইন সালামি নিহত ১ ঘণ্টা আগে

এর আগে ২০২১ সালের এপ্রিলে একই স্থাপনায় সাইবার হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছিল ইরান।

আরও পড়ুনইরানের পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচির মূলকেন্দ্রে আঘাত হেনেছে ইসরায়েল: নেতানিয়াহু১ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনইসরায়েলি হামলায় ইরানের দুই পরমাণুবিজ্ঞানী নিহত৫৩ মিনিট আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মধ্যপ্রাচ্যকে ‘অতল গহ্বরে’ পতিত হওয়া রোধে ট্রাম্পের পরবর্তী
  • কী হতে পারে ইরানে ইসরায়েলি হামলার পরিণাম
  • আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
  • পঞ্চগড় সীমান্ত দিয়ে ৭ জনকে ঠেলে দিয়েছে বিএসএফ 
  • ইসরায়েলের হামলা: নিজেদের আকাশসীমা বন্ধ করল ইরান
  • ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলে অপশক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে
  • ২৫ জেলায় মৃদু তাপপ্রবাহ, কমবে তাপমাত্রা
  • বাংলাদেশ যখন লন্ডনের দিকে তাকিয়ে
  • পরবর্তী সরকারের অংশ হওয়ার ইচ্ছা নেই: প্রধান উপদেষ্টা