অনলাইনের মাধ্যমে বই আরও সহজলভ্য হয়েছে: আবুল কাসেম ফজলুল হক
Published: 9th, May 2025 GMT
বাংলা একাডেমির সভাপতি আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেছেন, যখন রেডিও–টেলিভিশন আবিষ্কার হয়েছিল, তখন অনেকে বলেছিলেন, বইয়ের গুরুত্ব শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু সে রকম হয়নি। বরং অনলাইনের মাধ্যমে বই আমাদের কাছে আরও সহজলভ্য হয়েছে।
আজ শুক্রবার বিকেলে বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক।
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের উদ্যোগে ঢাকা মহানগরের স্কুল পর্যায়ের ছাত্রছাত্রীদের বইপড়া কর্মসূচির পুরস্কার বিতরণ উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কর্মসূচির সহযোগিতায় রয়েছে গ্রামীণফোন। অনুষ্ঠানের আয়োজক বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র।
বই একজন মানুষকে নতুন করে গঠন করে—এ কথা উল্লেখ করে আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, বই তার পাঠককে কখনো অভিভূত করে, কখনো হতাশ আবার কখনো উজ্জীবিত করে। এর মধ্য দিয়ে পাঠক ব্যতিক্রম সব অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। কিন্তু নিজেকে গড়তে অবশ্যই বই পড়তে হবে।
সব লেখক মহৎ উদ্দেশ্যে বই লেখেন না, উল্লেখ করে আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, শিক্ষার্থীদের সতর্কতার সঙ্গে ভালো ও মন্দ লেখার পার্থক্য বুঝতে হবে। ভালো বই বারবার পড়া যায়। ভালো বই একেক সময় একেক দৃশ্য তার পাঠকের সামনে তুলে ধরে। কিন্তু খারাপ বই বারবার পড়ার সুযোগ থাকে না। পাঠককে বুঝতে হবে, লেখক যেটা বলেছেন সেটাই শেষ কথা নয়।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, ‘তোমরা বই পড়ে নিজের জীবনের অভিজ্ঞতার সঙ্গে অন্যের অভিজ্ঞতা মেলাবে। যেখান থেকে নিজেকে একজন পরিশুদ্ধ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা যায়। আমি চাই, আজকে যারা উপস্থিত হয়েছে, তারা সবাই নিজের জীবনে উন্নতি করুক।’
অনুষ্ঠানে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘দেশে প্রচলিত একটা বক্তব্য আছে যে ছেলেমেয়েরা পড়তে চায় না। আমি এই বক্তব্যকে সঠিক মনে করি না। বরং ছোটদের পড়ার জন্য সঠিক ব্যবস্থাপনা দেওয়া হয় না। দেশের স্কুল ও কলেজে লাইব্রেরি স্থাপন করা জরুরি। যেই লাইব্রেরি শ্রেণিকক্ষের অংশ হিসেবে থাকবে।’
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের উদ্যোগে ঢাকা মহানগরের স্কুল পর্যায়ের ছাত্রছাত্রীদের বইপড়া কর্মসূচির পুরস্কার বিতরণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের অতিথিরা.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন
এছাড়াও পড়ুন:
বুমরা-সিরাজের পর কে হবেন ভারতের পেস আক্রমণের নেতা
একজন যশপ্রীত বুমরা ও একজন মোহাম্মদ সিরাজ আছেন। এরপর কে?
বললে তো অনেকগুলো নামই বলা যায়। মুকেশ কুমার, আকাশ দীপ, প্রসিধ কৃষ্ণা। কিন্তু তাঁদের কেউই কি বুমরা–সিরাজের মতো দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পারবেন? হয়তো কোনো এক সময়ে পারবেন, তবে নিকট ভবিষ্যতে নয়।
ইংল্যান্ড সিরিজে বুমরা যে তিনটি টেস্ট খেলেছেন, সেগুলোর একটিতেও জেতেনি ভারত। তবু ভারতীয় দলের পেস আক্রমণের নেতা বুমরাই। সিরাজ তাঁর প্রধান সহযোগী, বুমরার অবর্তমানে কখনো নেতাও বনে যান। ২০২৩ সালে পিঠের অস্ত্রোপচারের পর বুমরা ১৮ টেস্টে বল করেছেন ৫১৩.২ ওভার। একই সময়ে মোহাম্মদ সিরাজ খেলেছেন আরও বেশি টেস্ট, বল করেছেন ৫৮১.৪ ওভার।
৩১ বছর বয়সী বুমরাকে এখন আর নিয়মিত পাওয়া যাবে না। চোটজর্জর হওয়ায় তাঁকে খেলানো হবে বেছে বেছে। ইংল্যান্ড সফরে সিরাজ সব ম্যাচ খেললেও ওয়ার্কলোডের বিষয়টি তিনিও উড়িয়ে দিতে পারবেন না। ভারতের সর্বশেষ ২৭ টেস্টের মধ্যে ২৪টিতেই খেলা এই পেসারকেও কিছুটা বেছে বেছে খেলতে হবে।
২০১৮ সালে বুমরার টেস্ট অভিষেকের পর এখন পর্যন্ত ২০ বা এর বেশি ম্যাচ খেলেছেন ভারতের আর পাঁচ পেসার—সিরাজ, মোহাম্মদ শামি, ইশান্ত শর্মা, উমেশ যাদব ও ভুবনেশ্বর কুমার। সিরাজ ছাড়া বাকি চারজন এখন দলের বাইরে। গৌরব যাদব, মোহিত আওয়াসথির মতো রঞ্জির সেরা পারফর্মাররাও নির্বাচকদের আলোচনায় নেই।
এখন টেস্ট দলের আশপাশে আছেন অর্শদীপ সিং ও হর্ষিত রানা। আকাশ দীপও টুকটাক সুযোগ পাচ্ছেন। তাঁদের সামর্থ্য আছে। তবে তা ভারতের পেস আক্রমণকে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো নয়? তাই বলে এখনই বুমরা-সিরাজহীন বোলিং আক্রমণ ভাবতে হচ্ছে না ভারতকে। তবে সংকট আসন্ন। বুমরা-সিরাজ দুজনের বয়সই যেহেতু ৩০ পেরিয়ে গেছে, বড় প্রশ্নটা তাই থেকেই যাচ্ছে—পরের নেতা কে?
মুকেশ কুমারমুকেশ কুমার