রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে রাজশাহী নগরের ফুদকিপাড়া এলাকার ‘এবেলা ছাত্রাবাসের’ একটি কক্ষ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

ওই শিক্ষার্থীর নাম মেহেদী হাসান (২৪)। তিনি রুয়েটের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা (ইউআরপি) বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। রাতেই মরদেহ উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়। মেহেদীর গ্রামের বাড়ি রংপুরের আলমনগরে। তাঁর বাবার নাম নূর ইসলাম।

মেহেদী ওই কক্ষে একাই থাকতেন জানিয়ে রুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক মো.

রবিউল ইসলাম সরকার বলেন, রাত ১০টার দিকে ওই শিক্ষার্থীর মা আরেক শিক্ষার্থীকে জানান যে মেহেদীকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না। পরে ছাত্রাবাসে গিয়ে ডাকাডাকি করেও তাঁর কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। একপর্যায়ে সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন উপস্থিত হয়। পরে পুলিশের সহযোগিতায় ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নামিয়ে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মেহেদী আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। এ বিষয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী মাসুদ বলেন, রাতে খবর পেয়ে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হবে।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বাবা পটুয়া কামরুল হাসান স্মরণে মেয়ে শুমোনা হাসানের গান

ভালোবাসা, স্মৃতি ও উত্তরাধিকারকে কেন্দ্র করে এক আবেগঘন পরিবেশে পটুয়া কামরুল হাসানের কন্যা শুমোনা হাসান তার বাবাকে উৎসর্গ করে একটি হৃদয়স্পর্শী গান প্রকাশ করেছেন।

বাবা দিবস উপলক্ষে আজ দ্য ডেইলি স্টার সেন্টারে একটি অনুষ্ঠানে ‘কত দূর বাবা তোমার বাড়ি’ শিরোনামে গানটি প্রকাশ করা হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শুমোনার পরিবার, ঘনিষ্ঠজন, এবং সম্মানিত গণমাধ্যমকর্মীরা।

গানটি শুমোনার নিজস্ব রচনা, সুর এবং কণ্ঠে পরিবেশিত। এতে ফুটে উঠেছে একজন কন্যার তার বাবার সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলো, তাদের ভালবাসা, সংগ্রাম এবং অনন্য সম্পর্কের গল্প। গানের প্রতিটি কথা ও সুর যেন এক আবেগের যাত্রাপথ।

অনুষ্ঠানে শুমোনা বলেন, ‘এই মুহূর্তটি আমার এবং আমার পরিবারের জন্য এক বিজয়ী এবং আবেগময় সময়। বাবার আত্মা সবসময় আমাকে পথ দেখিয়েছে। এই গানটি তার প্রতি আমার ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতার ছোট্ট বহিঃপ্রকাশ।’

শুমোনা জানান, ভবিষ্যতেও তিনি এই ধারা অব্যাহত রেখে তাঁর বাবার স্মৃতিকে সম্মান জানাতে চান সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ