মায়ের কল পেয়ে খুঁজতে গিয়ে কক্ষে মিলল রুয়েট ছাত্রের মরদেহ
Published: 11th, January 2025 GMT
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে রাজশাহী নগরের ফুদকিপাড়া এলাকার ‘এবেলা ছাত্রাবাসের’ একটি কক্ষ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
ওই শিক্ষার্থীর নাম মেহেদী হাসান (২৪)। তিনি রুয়েটের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা (ইউআরপি) বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। রাতেই মরদেহ উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়। মেহেদীর গ্রামের বাড়ি রংপুরের আলমনগরে। তাঁর বাবার নাম নূর ইসলাম।
মেহেদী ওই কক্ষে একাই থাকতেন জানিয়ে রুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক মো.
মেহেদী আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। এ বিষয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী মাসুদ বলেন, রাতে খবর পেয়ে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হবে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
শ্বশুর বাড়ি থেকে ফেরার পথে স্ত্রীকে হত্যা, পুকুরে মিলল লাশ
সকালে বোন সাবিনা বেগমকে গাড়িতে তুলে দেন ভাই দুলাল আহমদ। বোনের জামাই আনু মিয়া তার স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ির পথেও যাত্রা করেন। কিন্তু স্বামীর ঘরে আর ফেরা হয়নি সাবিনার। তারা লাশ পাওয়া গেল পুকুরে। ধারণা করা হচ্ছে, স্বামী তাকে হত্যা করে পুকুরে লাশ ফেলে দেয়। ঘটনার পর বুধবার রাতে স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ।
সাবিনা বেগম (৩০) সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাদেপাশা ইউনিয়নের নোয়াই গ্রামের বাদশা মিয়ার মেয়ে। আটক স্বামী আনু মিয়া একই উপজেলার ঢাকা দক্ষিণ ইউনিয়নের সুনামপুর গ্রামের বলাই মিয়ার ছেলে। দাম্পত্য কলহের যার ধরে হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, বুধবার সকালে সাবিনা বেগমকে তার বাবার বাড়ি থেকে স্বামীকে নিয়ে রওনা দেন। সাবিনার ভাই দুলাল তাদেরকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে দেন। কুনু মিয়া নিয়মিত রাস্তায় না গিয়ে বিকল্প পথে রাস্তায় যান। বিকেলে বাগলা এলাকার শওকত মাস্টারের বাড়ির পরিত্যক্ত একটি পুকুরে লাশ পাওয়া যায় সাবিনার। স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে সন্ধ্যায় মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। কিন্তু সাবিনার স্বামী কিভাবে তাকে হত্যা করে পুকুরে ফেলে যায় সে বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।
রাতে আনু মিয়াকে আটক করা হয়েছে উল্লেখ করে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান মোল্যা জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। কীভাবে, কেন তাকে হত্যা করা হয়েছে সে বিষয়ে আটক আনু মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।