2025-06-06@01:57:13 GMT
إجمالي نتائج البحث: 27
«ম জ বনগর সরক র র»:
মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল গঠিত মুজিবনগর সরকারের সদস্যরা ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে বিবেচিত হবেন। অন্যদিকে মুজিবনগর সরকার গঠনে যাঁরা সহযোগিতা করেছেন, তাঁরা হবেন ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’। বিস্তারিত পড়ুন...২রাখাইনে মানবিক করিডরের বিষয়ে জাতিসংঘ জড়িত নয়: গোয়েন লুইসডিপ্লোমেটিক করেসপন্ডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত ‘ডিক্যাব টকে’ জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস। আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে
অন্তর্বর্তী সরকারের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বলেছেন, মুজিবনগর সরকারে যারা ছিলেন, তারা সবাই মুক্তিযোদ্ধা। তবে মুজিবনগর সরকারের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে বিবেচিত হবেন। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বলেন, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন-২০২২ সংশোধনের জন্য করা অধ্যাদেশে সুস্পষ্টভাবে লেখা আছে, মুজিবনগর সরকার ও এই সরকার কর্তৃক স্বীকৃত অন্য যেসব বাহিনী রয়েছে, তারা সবাই মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচিত হবেন। তারা মানে মুজিবনগর সরকার নিজে এবং তার দ্বারা স্বীকৃত অন্য সব বাহিনীর যারা সশস্ত্রভাবে যুদ্ধ করেছেন, তারা সবাই মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচিত হবেন। মুজিবনগর সরকারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী, কামারুজ্জামান এবং খন্দকার মোশতাক ছিলেন। এনারা সবাই মুক্তিযোদ্ধা। উপদেষ্টা বলেন, মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছে মুজিবনগর সরকার। এই সরকারের লেজিটিমেসির (বৈধকরণ) কাউকে...
অন্তর্বর্তী সরকারের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ মুজিবনগর সরকারের নেতৃবৃন্দের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বাতিল করা হয়নি, বরং তাদের ভূমিকা ইতিহাসে স্বীকৃত। বুধবার (৪ জুন) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা বলেছেন, বঙ্গবন্ধুসহ মুজিবনগর সরকারের কেউ মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি হারাননি। বরং অধ্যাদেশে স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে, এই সরকার এবং এর দ্বারা স্বীকৃত বাহিনীই মুক্তিযোদ্ধা। তিনি বলেছেন, অধ্যাদেশে মুক্তিযোদ্ধাদের সংজ্ঞা ইতিহাসভিত্তিক ও সুস্পষ্ট। যারা সশস্ত্র যুদ্ধ করেছেন এবং যুদ্ধ পরিচালনায় যুক্ত ছিলেন, তারাই মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃত। আর যারা অস্ত্র হাতে না নিয়ে যুদ্ধে সহায়তা করেছেন, তারা মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন। এতে তাদের মর্যাদা খাটো হয়নি, বরং তাদের ভূমিকাও যথাযোগ্যভাবে স্বীকৃত। ফারুক-ই-আজম বলেন, মুজিবনগর সরকারই ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় বৈধ সরকার ছিল। এই সরকারই...

নতুন অধ্যাদেশে মুজিবনগর সরকারের সব সদস্যকে মুক্তিযোদ্ধার স্পষ্ট স্বীকৃতি দেওয়া আছে: সংস্কৃতি উপদেষ্টা
সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেছেন, ‘প্রিয় ভাই-বোনেরা, শেখ মুজিবুর রহমান, তাজউদ্দিন আহমেদসহ মুক্তিযুদ্ধের নেতাদের মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট বাতিল- একটা ফেইক নিউজ। নতুন অধ্যাদেশে মুজিবনগর সরকারের সব সদস্যকে মুক্তিযোদ্ধার স্পষ্ট স্বীকৃতি দেওয়া আছে।’ বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে এ কথা বলেন তিনি। মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, ‘প্রিয় ভাই-বোনেরা, শেখ মুজিবুর রহমান, তাজউদ্দিন আহমেদসহ মুক্তিযুদ্ধের নেতাদের মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট বাতিল- একটা ফেইক নিউজ। নতুন অধ্যাদেশে মুজিবনগর সরকারের সব সদস্যকে মুক্তিযোদ্ধার স্পষ্ট স্বীকৃতি দেওয়া আছে। মুজিবনগর সরকারের কোনো সদস্যের মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট বাতিল হয়ে গেছে এটা যে ফেইক নিউজ তার প্রমাণ হিসাবে কমেন্টে অধ্যাদেশের স্ক্রীনশট দেওয়া হলো।’
সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেছেন, ‘প্রিয় ভাই-বোনেরা, শেখ মুজিবুর রহমান, তাজউদ্দিন আহমেদসহ মুক্তিযুদ্ধের নেতাদের মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট বাতিল- একটা ফেইক নিউজ।’ বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে এ কথা বলেন তিনি। মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, ‘প্রিয় ভাই-বোনেরা, শেখ মুজিবুর রহমান, তাজউদ্দিন আহমেদসহ মুক্তিযুদ্ধের নেতাদের মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট বাতিল- একটা ফেইক নিউজ। নতুন অধ্যাদেশে মুজিবনগর সরকারের সব সদস্যকে মুক্তিযোদ্ধার স্পষ্ট স্বীকৃতি দেওয়া আছে। মুজিবনগর সরকারের কোনো সদস্যের মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট বাতিল হয়ে গেছে এটা যে ফেইক নিউজ তার প্রমাণ হিসাবে কমেন্টে অধ্যাদেশের স্ক্রীনশট দেওয়া হলো।’
অন্তর্বর্তী সরকারের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেন, মুজিবনগর সরকারের যারা ছিলেন, তারা সবাই মুক্তিযোদ্ধা। তবে মুজিবনগর সরকারের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে বিবেচিত হবেন। বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। ফারুক ই আজম আরও বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা যাচাই–বাছাই করতে গিয়ে দেখা যায়, মুজিবনগর সরকারের কিছু কর্মচারী ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে গণ্য হচ্ছেন। এখন থেকে তারা হবেন ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বলেন, এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে কাউকে বাতিল করা হয়নি। শুধু সংজ্ঞায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। যিনি যে সুবিধা পাচ্ছেন, তিনি সেই সুবিধা পাবেন। শুধু যারা সরাসরি রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছেন, তারা ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ হবেন। অন্যরা হবেন ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’। উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেন, অধ্যাদেশে সুস্পষ্টভাবে লেখা আছে মুজিবনগর সরকার ও এই সরকার কর্তৃক স্বীকৃত অন্যান্য যেসব বাহিনী রয়েছে, তারা সবাই...
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাজউদ্দীন আহমদ, মো. মনসুর আলী ও এএইচএম কামারুজ্জামানসহ শতাধিক নেতার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল নিয়ে প্রকাশিত সংবাদকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর বলে উল্লেখ করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। বুধবার দুপুরে 'সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্টস'এর এক বিবৃতিতে বলা হয়, 'মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান, অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ এবং দুই মন্ত্রী মো. মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামরুজ্জামানসহ শতাধিক নেতার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল বলে সমকাল, যুগান্তর, ইত্তেফাক ও কালেরকন্ঠসহ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর।' এতে আরও বলা হয়, 'মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম জানিয়েছেন, মুজিবনগর সরকারে যারা ছিলেন, তারাও মুক্তিযোদ্ধা। যারা সশস্ত্রভাবে মুক্তিযুদ্ধ করেছে, যারা পরিচালনা করেছে, তারা মুক্তিযোদ্ধা। তবে ওই সরকারের...
অন্তর্বর্তী সরকারের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেন, মুজিবনগর সরকারের যারা ছিলেন, তারা সবাই মুক্তিযোদ্ধা। তবে মুজিবনগর সরকারের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে বিবেচিত হবেন। বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। ফারুক ই আজম আরও বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা যাচাই–বাছাই করতে গিয়ে দেখা যায়, মুজিবনগর সরকারের কিছু কর্মচারী ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে গণ্য হচ্ছেন। এখন থেকে তাঁরা হবেন ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বলেন, এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে কাউকে বাতিল করা হয়নি। শুধু সংজ্ঞায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। যিনি যে সুবিধা পাচ্ছেন, তিনি সেই সুবিধা পাবেন। শুধু যাঁরা সরাসরি রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছেন, তাঁরা ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ হবেন। অন্যরা হবেন ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’। বিস্তারিত আসছে...
মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান, অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদসহ শীর্ষ নেতাদের মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিলের যে খবর কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, তা ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর’ বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। বুধবার (৪ জুন) মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম এ বিষয়ে বলেছেন, “মুজিবনগর সরকারে যারা ছিলেন, তারাও মুক্তিযোদ্ধা। যারা সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, যারা তা পরিচালনা করেছেন, সবাই মুক্তিযোদ্ধা। তবে, সরকারের অধীন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে চিহ্নিত হন।” তিনি জানান, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) অধ্যাদেশ অনুযায়ী, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কর্মীসহ বিদেশে কর্মরত কূটনীতিকরাও ‘সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে স্বীকৃতি পান। আরো পড়ুন: চাঁদপুরে মুক্তিযোদ্ধাকে মৃত দেখিয়ে ভাতা নিচ্ছেন তার স্ত্রী কুমিল্লার সেই মুক্তিযোদ্ধা কানুর বাড়িতে গভীর রাতে হামলা ফারুক-ই-আজম...
মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল গঠিত মুজিবনগর সরকারের সদস্যরা ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে বিবেচিত হবেন। অন্যদিকে মুজিবনগর সরকার গঠনে যাঁরা সহযোগিতা করেছেন, তাঁরা হবেন ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’।জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) অধ্যাদেশে বীর মুক্তিযোদ্ধার এই সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় অধ্যাদেশটি জারি করে।১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার (মুজিবনগর সরকার) শপথ গ্রহণ করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করা হয়। উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম। শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী থাকায় সৈয়দ নজরুল ইসলাম ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ। অর্থমন্ত্রী এম মনসুর আলী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ এম কামরুজ্জামান ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী খন্দকার মোশতাক আহমদ।আরও পড়ুনবীর মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞায় পরিবর্তন এনে অধ্যাদেশ জারি১১ ঘণ্টা আগেনতুন অধ্যাদেশে শেখ মুজিবুর রহমানসহ জাতীয় চার...
নতুন অধ্যাদেশে মুজিবনগর সরকারের সব সদস্যকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেওয়া আছে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। বুধবার (৪ জুন) সকালে ফেসবুকে তিনি এ তথ্য জানান। সেখানে তিনি লেখেন, “প্রিয় ভাই-বোনেরা, শেখ মুজিবুর রহমান, তাজউদ্দিন আহমেদসহ মুক্তিযুদ্ধের নেতাদের মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট বাতিল- একটা ফেইক নিউজ। নতুন অধ্যাদেশে মুজিবনগর সরকারের সব সদস্যকে মুক্তিযোদ্ধার স্পষ্ট স্বীকৃতি দেওয়া আছে।” এর আগে গত ৩ জুন রাত ১১টার দিকে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) এ সংক্রান্ত একটি অধ্যাদেশ গেজেট আকারে প্রকাশ করে। সেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী, এএইচএম কামারুজ্জামানের মতো নেতাদের ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে বলে একটি জাতীয় দৈনিকে খবর প্রকাশিত হয়। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয় তীব্র সমালোচনা। ঢাকা/ইভা
বীর মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞায় পরিবর্তন এনে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন সংশোধন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ–সংক্রান্ত অধ্যাদেশ মঙ্গলবার রাতে জারি করেছে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়।সংশোধিত অধ্যাদেশ অনুযায়ী, মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের (মুজিবনগর সরকার) সঙ্গে সম্পৃক্ত সব এমএনএ (জাতীয় পরিষদের সদস্য) ও এমপিএ (প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য), যাঁরা গণপরিষদের সদস্য হিসেবে গণ্য হয়েছিলেন, এখন থেকে তাঁরা ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে বিবেচিত হবেন। এত দিন তাঁরা ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে বিবেচিত হতেন।অধ্যাদেশে মুক্তিযুদ্ধের সহযোগীদের জন্য মোট পাঁচটি শ্রেণি নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রথমত, যেসব বাংলাদেশি পেশাজীবী মুক্তিযুদ্ধের সময় বিদেশে অবস্থানকালে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশেষ অবদান রেখেছিলেন এবং বাংলাদেশের যেসব নাগরিক বিশ্বজনমত গঠনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন। দ্বিতীয়ত, যেসব ব্যক্তি মুক্তিযুদ্ধের সময় গঠিত বাংলাদেশ সরকারের (মুজিবনগর সরকার) অধীন কর্মকর্তা বা কর্মচারী বা দূত, মুজিবনগর সরকারের নিয়োগপ্রাপ্ত চিকিৎসক, নার্স ও...
‘মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিকেন্দ্র স্থাপন’ প্রকল্প বাস্তবায়ন থেকে সরে এসেছে সরকার। এ সংক্রান্ত প্রকল্প প্রস্তাব বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) কার্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। আগামী অর্থবছরের প্রাক-বাজেট বরাদ্দের কার্যতালিকাতেও প্রকল্পটি অন্তর্ভুক্ত হয়নি। মেহেরপুরের মুজিবনগর কমপ্লেক্সটি আরও বিস্তৃত করে আন্তর্জাতিক মানে গড়ে তুলতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রকল্প গ্রহণ করেছিল মুক্তিযুদ্ধ-বিষয়ক মন্ত্রণালয়। ব্যয় ধরা হয়েছিল ৫৭০ কোটি ২ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পটি সম্প্রতি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উত্থাপিত হয়েছিল। তখন চলতি অর্থবছরে প্রকল্পের কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়। পাশাপাশি প্রকল্পের কিছু বিষয় পুনঃপর্যালোচনার জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু এ পর্যায়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রকল্পের আওতায় প্রকল্প এলাকায় আরও ৫১ একর জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব করা হয়েছিল। এতে ৩০টি ইতিহাস পরিক্রমা, ৬টি শপথ চত্বর,...
মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী মুজিবনগর সরকারের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে প্রস্তাবিত জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) আইন সংশোধনের খসড়ায় ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ সংজ্ঞা পরিবর্তন করা হয়েছে। ফলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদসহ সত্তরের নির্বাচনে বিজয়ী চার শতাধিক রাজনীতিবিদের (এমএনএ বা এমপিএ) বীর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বহাল থাকছে। সংশোধিত খসড়াটি অধ্যাদেশ হিসেবে অনুমোদনের জন্য আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। গত ফেব্রুয়ারিতে জামুকার ৯৪তম সভায় মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞাসহ বিদ্যমান জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন সংশোধনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে ১০ মার্চ এ-সংক্রান্ত কার্যপত্র অনুমোদন করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম। আইন সংশোধনের খসড়া অনুযায়ী, শুধু মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকারই নন, আরও চার শ্রেণির স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিচয় ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। এই...
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বলেছেন বলেছেন, ‘‘মুজিবনগর সরকার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এবং সাংবিধানিক সরকার। এটা আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে সুসংগঠিত করেছে এবং আন্তর্জাতিক বিশ্বের সঙ্গেও সংযোগ স্থাপন করেছে। তখনকার নির্বাচিত যে নেতৃবৃন্দ ছিলেন, তারাই এই সরকার গঠন করেছেন। ১৭ এপ্রিল জাতির জন্য একটি গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়।’’ বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসে মুজিবনগর স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। উপদেষ্টা বলেন, ‘‘মুজিবনগর সরকারের নাম পরিবর্তনের কোনো ইচ্ছা এ সরকারের নেই। কারণ ইতিহাস কখন মোছা যায় না। ইতিহাসকে ইতিহাসের জায়গায় রাখতে হয়। পরবর্তী নির্বাচিত সরকার এসে কী করবে এটি তাদের ব্যাপার। আমাদের অনেক গৌরবের বিষয় আছে, যেগুলো আমরা ইচ্ছে করে বিতর্কিত করতে চাই না। ইতিহাস অমোচনীয় থাকা উচিত।’’ ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘যারা সত্যিকার...
ঐতিহাসিক মুজিবনগর সরকারের নাম পরিবর্তনের কোনো ইচ্ছা অন্তর্বর্তী সরকারের নেই বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক–ই–আজম। তিনি বলেন, ইতিহাস কখন মোছা যায় না। ইতিহাসকে ইতিহাসের জায়গায় রাখতে হয়। পরবর্তী নির্বাচিত সরকার এসে কী করবে, সেটি তাদের ব্যাপার। মেহেরপুরের মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।আজ ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস সরকারিভাবে পালন করা হচ্ছে। এ উপলক্ষে আজ ভোরে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে আসেন উপদেষ্টা ফারুক–ই–আজম।পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা ফারুক–ই–আজম বলেন, মুজিবনগর সরকার প্রবাসী কিংবা অস্থায়ী সরকার নয়। মুজিবনগর সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। সে কারণে ওই সরকারই সাংবিধানিক সরকার। ইতিহাসের ওপর কোনো কিছু আরোপ করা যায় না। ইতিহাস, ইতিহাসই। এ সরকারের শপথ গ্রহণ একটি গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। এটি চিরকাল শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার মধ্য দিয়ে সবাইকে স্মরণ রাখা দরকার।ভুয়া...
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীর প্রতীক বলেছেন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধারা বিব্রত অবস্থায় পড়েছে। যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ না করেও নিজেদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পরিচিত করছে এটি বন্ধে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। প্রায় ২ হাজার ৭০০ রিট মামলা রয়েছে। কিছু মামলা রায়ের অপেক্ষায় আছে। বৃহস্পতিবার ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে পতাকা উত্তোলন, স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন গার্ড অব অনার গ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্সে যে ক্ষতি হয়েছে তা সংস্কার করা হবে এছাড়া মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছা হবে না এবং কোনো কিছু আরোপিত করা হবে না। মুজিবনগর সরকারের নাম পরিবর্তনের কোনো ইচ্ছা এ সরকারের নেই। কারণ ইতিহাস কখনো মুছা যায় না। ইতিহাসকে ইতিহাসের জায়গায় রাখতে...
“ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধারা বিব্রত অবস্থা পড়েছে এছাড়া যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ না করেও নিজেদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পরিচিত করছে এটি বন্ধে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। প্রায় ৩ হাজার রিট মামলা রয়েছে কিছু মামলায় রায়ের অপেক্ষায় রয়েছি।” বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীর প্রতীক। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে ভোরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন ও গার্ড অব অনার গ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা তিনি আরো বলেন, “মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্সে যে ক্ষতি হয়েছে, তা সংস্কার করা হবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছানো হবে না এবং কোন কিছু আরোপিত করা হবেনা।” পরে তিনি ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের মুজিবনগরে বাংলাদেশের...
আজ ১৭ এপ্রিল, ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে তৎকালীন মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ গ্রহণ করে।শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপরাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে মুজিবনগর সরকার গঠন করা হয়। প্রধান সেনাপতি নিযুক্ত করা হয় এম এ জি ওসমানীকে।সেই সরকারের শপথ গ্রহণের স্থান বৈদ্যনাথতলাকে মুজিবনগর নামকরণ করা হয়। শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন ১২ জন আনসার সদস্য।১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালি জাতির ওপর বর্বরোচিত হামলা চালানোর পর ১০ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠন করা হয়। মুজিবনগর সরকারের সফল নেতৃত্বে ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন...
বাংলাদেশের ইতিহাসে গৌরবোজ্জ্বল দিন আজ। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলা গ্রামের আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করে। এ আম্রকাননকে পরে ‘মুজিবনগর’ নামকরণ করে বাংলাদেশের অস্থায়ী রাজধানী ঘোষণা করা হয়। ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালনে বিশাল আম্রকানন, মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্স ও এর চারপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করাসহ সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসন। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারক-ই-আজম আজ সূর্যোদয়ের পরপর জাতীয় সংগীত পরিবেশনের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন। এর পর গার্ড অব অনার গ্রহণ ও মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। ইউএনও পলাশ মণ্ডল বলেন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মুজিবনগরে আসছেন। সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে দিনটি উদযাপনে জেলা প্রশাসন, গণপূর্ত বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের অংশগ্রহণে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গৌরবোজ্জ্বল দিন আজ। ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিলের এই দিনে গঠিত হয় স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের প্রথম সরকার। আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রও পাঠ করা হয় সরকার গঠনের পর। এদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণাকে দেওয়া হয় অনুমোদন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলা গ্রামের আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করে। শপথ গ্রহণের পর ওই সরকারে প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন সাতজন। এ সময় মুজিবনগর সরকারের কাঠামো ছিল– রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (পাকিস্তান সামরিক শাসকদের হাতে বন্দি), উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম (বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি এবং পদাধিকারবলে সশস্ত্র বাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়কের দায়িত্ব গ্রহণ), প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, অর্থমন্ত্রী এম মনসুর আলী, স্বরাষ্ট্র, ত্রাণ ও পুনর্বাসনমন্ত্রী এএইচএম কামারুজ্জামান, পররাষ্ট্র ও আইনমন্ত্রী খন্দকার মোশতাক আহমেদ, প্রধান সেনাপতি কর্নেল (অব.)...
মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত মেহেরপুরের মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্সে দর্শনার্থী কমছে। ঈদের ছুটিসহ বিশেষ দিনগুলোতে সাধারণত দর্শনার্থীদের পদচারণে মুখরিত থাকত কমপ্লেক্স এলাকা। তবে এবারের ঈদের ছুটিতে দর্শনার্থীদের উপস্থিতি ছিল একেবারে নগণ্য। গত ৫ আগস্ট স্মৃতি কমপ্লেক্সের তিন শতাধিক ভাস্কর্য ভাঙচুরের কারণে দর্শনার্থীরা আগ্রহ হারিয়েছেন বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, স্মৃতি কমপ্লেক্সের ফটকে দুজন আনসার সদস্য বসে আছেন। দু–একজন করে দর্শনার্থী আসছেন। টিকিট সংগ্রহ করে তাঁরা ভেতরে প্রবেশ করছেন। কমপ্লেক্সের ভেতরের বিভিন্ন অংশে ছুটির দিনের চিরচেনা সেই ভিড় নেই।ফটকে দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্য আবু ওসমান প্রথম আলোকে বলেন, ৩০০টি ছোট-বড় ভাস্কর্য ভেঙে ফেলা হয়েছে। পর্যটকদের প্রধান আকর্ষণ ছিল ভাস্কর্যগুলো। প্রতিদিন কয়েক হাজার দর্শনার্থী এখানে আসতেন। কমপ্লেক্সের বেশির ভাগ ভাস্কর্য ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। সে...
মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় যাঁরা দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে রণাঙ্গনে সরাসরি যুদ্ধ করেছেন এবং যাঁরা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন, শুধু তাঁরাই ‘বীর মুক্তিযোদ্ধার’ স্বীকৃতি পাবেন। এর বাইরে যাঁরা দেশে-বিদেশে থেকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশেষ অবদান রেখেছিলেন, বিশ্বজনমত তৈরিতে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিলেন, তাঁরা হবেন ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’।জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) আইন সংশোধন করে নতুন যে অধ্যাদেশ হতে যাচ্ছে, তাতে বীর মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞায় এ পরিবর্তন আনা হচ্ছে। ইতিমধ্যে এই অধ্যাদেশের খসড়া তৈরি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে। এর আগে মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞায় পরিবর্তন আনা হয়েছিল ২০২২ সালে। সর্বশেষ সংজ্ঞায় মুক্তিযুদ্ধের সময় যাঁরা যুদ্ধ করেছিলেন এবং যাঁরা বিশেষ অবদান রেখেছিলেন, তাঁদের সবাইকে বীর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল।মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মুক্তিযুদ্ধের সংজ্ঞা পরিবর্তন আনার দাবি উঠে বিভিন্ন মহল থেকে। এরপর বিষয়টি...
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা আরও ২৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় গতকাল রোববার এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এর আগে গত ২৬ ফেব্রুয়ারির প্রজ্ঞাপনে ২৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করা হয়েছিল।রোববারের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামকরণ ও বিদ্যমান নাম পরিবর্তন নীতিমালা, ২০২৩ অনুযায়ী ২৯টি বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করা হলো। বিদ্যালয়গুলো হলো—বঙ্গবন্ধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদারগঞ্জ, জামালপুরের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে লালডোবা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদারগঞ্জ, জামালপুর, বেতাগা বঙ্গবন্ধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদারগঞ্জ, জামালপুর পরিবর্তন করে বেতাগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদারগঞ্জ, জামালপুর, মুজিবনগর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মুজিবনগর, মেহেরপুরের পরিবর্তিত নাম ভবেরপাড়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মুজিবনগর, মেহেরপুর, চর কচ্ছপিয়া শেখ রাসেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লালমোহন,...
শেখ মুজিবুর রহমান ও ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা দেশের ১৩টি (একটি মুজিবনগরের নামে) সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নতুন নাম হবে এলাকা ও বাংলাদেশের নাম অনুসারে। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) এই ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। সম্প্রতি উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে নাম পরিবর্তনের এই সিদ্ধান্ত হয়। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, গাজীপুরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম হবে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জের নাম হবে গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি, চট্টগ্রামের নাম হবে বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের নাম হবে গাজীপুর ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি;...
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা দেশের ১৩টি (একটি মুজিবনগরের নামে) সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নতুন নাম হবে এলাকা এবং বাংলাদেশের নাম অনুসারে। আজ বৃহস্পতিবার এই ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। এর আগে সম্প্রতি উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে নাম পরিবর্তনের এই সিদ্ধান্ত হয়।আরও পড়ুনশেখ পরিবারের নামে থাকা ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত১৬ জানুয়ারি ২০২৫অধ্যাদেশ অনুযায়ী গাজীপুরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম হবে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জের নাম হবে গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি, চট্টগ্রামের নাম হবে বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি; বঙ্গবন্ধু শেখ...
যোগদানের ১০ দিনের মাথায় ওএসডি হলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড যশোরের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খোন্দকার কামাল হাসান। আজ রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব মাহবুব আলম সাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে। ৮ জানুয়ারি যশোর শিক্ষা বোর্ডে চেয়ারম্যান হিসাবে পদায়ন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এদিকে, কামাল হাসানের স্থলে নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হয়েছে অধ্যাপক ড. আসমা বেগমকে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের পৃথক আদেশে এ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ড. আসমা ঢাকার সরকারি তিতুমীর কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক। ড. খোন্দকার কামাল হাসান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিতর্কিত ভূমিকা, আওয়ামী লীগের মন্ত্রীর আশির্বাদপুষ্ট, শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও দুর্নীতির অভিযোগে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন। দুই মাস আগে বগুড়ার আজিজুল হক কলেজের...