‘দরদ’ সিনেমার শুটিং শুরুর সময় নির্মাতা অনন্য মামুন জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে একই দিনে হিন্দি, তেলুগুসহ পাঁচটি ভাষায় ভারতে মুক্তি পাবে ‘দরদ’। ফলে সিনেমাটিকে প্যান ইন্ডিয়ান ছবি দাবী করেছিলেন তিনি। সিনেমাটিতে নায়ক ছিলেন শাকিব খান। প্যান ইন্ডিয়ান দাবিতে নায়কেরও মৌন সম্মতি ছিল,সন্তুষ্টি চিত্তে মেনেও নিয়েছিলেন তিনি।

কিন্তু বাস্তবে প্যান ইন্ডিয়ান কেবল পরিচালকের দাবি করার মধ্যেই আটকে থেকেছে। বাস্তবে কোনো রুপ পায়নি। মুক্তির সময় কথা ও কাজের মিল দেখা যায়নি। গত বছরের ১৫ নভেম্বর বাংলাদেশে মুক্তি পেলেও ভারতে উপেক্ষিতই  ‘দরদ’।

যদিও বাংলাদেশে মুক্তির সময়  সাংবাদিকদের কাছে ভারতে মুক্তি এ প্রসঙ্গ নির্মাতা বলেছিলেন, বাংলাদেশে মুক্তির দুই সপ্তাহ পরে দরদ ভারতে মুক্তি পাবে। এর কারণ মূলত পাইরেসি। বাংলাদেশের পাশাপাশি বিশ্বের অন্যান্য জায়গায় বাংলা, হিন্দি ও তামিলে দরদ মুক্তি পেয়েছে। কেবল একটা দেশেই মুক্তি পায়নি এটা বড় কোনো বিষয় নয়।

সেই দুই সপ্তাহ গিয়েছে কবেই ভারতে আর মুক্তি পায়নি। ফলে দরদের দরদের বেলায় প্যান ইন্ডিয়ান মুভি হয়ে ওঠা আর সম্ভব হয়নি!

প্যান ইন্ডিয়ান অর্থ:

‘প্যান-ইন্ডিয়ান ফিল্ম’ শব্দটি এমন একটি চলচ্চিত্রের জন্য ব্যবহৃত হয় যা একই সাথে সারা ভারত জুড়ে একাধিক ভাষায় বাজারজাত করা হয় এবং মুক্তি পায় - তেলেগু , হিন্দি , তামিল , কন্নড় এবং মালায়ালাম । এই ধরনের চলচ্চিত্র ভাষাগত, সামাজিক, আঞ্চলিক এবং সাংস্কৃতিক বাধা অতিক্রম করে ভারতের সব প্রদেশের সকল দর্শকদের কাছে পৌছানের চেষ্টা করে। 

দরদ কি প্যান ইন্ডিয়ান?

যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড, কানাডাসহ প্রায় ২০ দেশে দরদ মুক্তি পেলেও ভারতে এখনো মুক্তি পায়নি দরদ। এবার জানা গেল, ভারতে মুক্তির আগেই ওটিটিতে দেখা যাবে সিনেমাটি। ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আইস্ক্রিন তাদের ফেসবুক পেজে সিনেমার পোস্টার শেয়ার করে দরদ মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তার মানে  আদৌ দরদ ভারতে মুক্তি পাবে কি না, তা নিয়ে আছে সংশয়। পাকিস্তানেও দরদ মুক্তি দেওয়া সম্ভব হয়নি। সেখানকার একটি পরিবেশক প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিরা দরদের প্রিভিউ কপি দেখার পর সিনেমাটি পাকিস্তানে মুক্তির সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন বলেও জানা গেছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা, আবেদনের ১১ ধাপে আবেদন, নেগেটিভ নম্বরসহ দেখে নিন বিস্তারিত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ২০২৫–২০২৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) এবং বিবিএ প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শিক্ষার্থীরা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন করতে পারবেন।

প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ভর্তি পরীক্ষা হবে মোট ১০০ নম্বরের ভিত্তিতে। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা হবে। প্রতিটি সঠিক উত্তরের মান নির্ধারণ করা হয়েছে ০.৭৫ নম্বর। এর মধ্যে এমসিকিউ পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত ৭২ নম্বর, এসএসসি বা সমমান ফলের জন্য ১০ নম্বর এবং এইচএসসি বা সমমান ফলের জন্য ১৮ নম্বর বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুনযুক্তরাজ্যে নতুন যুগের পড়াশোনা: কোন বিষয়গুলো ট্রেন্ডে?২০ নভেম্বর ২০২৫

এর আগে ১৩ নভেম্বর ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় লিখিত প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও নেগেটিভ মার্কিং পুনরায় চালু রাখার জন্য সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়ে ছিলেন।

ইউনিট ‘এ’, ‘বি’, ‘সি’, ‘ডি’–এর জন্য ১ হাজার টাকা ও ইউনিট ‘ই’ (চারুকলা)–এর জন্য ১ হাজার ২০০ টাকা আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে (বিকাশ, রকেট ও সেলফিন) ফি পরিশোধ করা যাবে।

ভর্তি পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত যোগ্যতা অনুযায়ী, বিজ্ঞান ইউনিটে মোট জিপিএ (এসএসসি ও এইচএসসি) ন্যূনতম ৭.৫০, কলা ও আইন, ব্যবসায় শিক্ষা এবং সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটে কমপক্ষে ৬.৫০ জিপিএ থাকতে হবে। চারুকলা ইউনিটে আবেদনের জন্য ন্যূনতম মোট জিপিএ নির্ধারণ করা হয়েছে ৬.০০।
ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি অনুযায়ী, ‘ই’ (চারুকলা অনুষদ) ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১৩ ডিসেম্বর। ‘এ’ (বিজ্ঞান) ইউনিটের পরীক্ষা হবে ২৬ ডিসেম্বর, ‘সি’ (ব্যবসায় শিক্ষা) ইউনিটের ২৭ ডিসেম্বর, ‘ডি’ (সামাজিক বিজ্ঞান) ইউনিটের ৯ জানুয়ারি এবং ‘বি’ (কলা ও আইন) ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ৩০ জানুয়ারি।

নির্দেশিকায় আরও বলা হয়, কোনো ধরনের জালিয়াতি, অসদুপায় অবলম্বন বা পরীক্ষায় অনিয়ম প্রমাণিত হলে তাৎক্ষণিকভাবে প্রার্থিতা বাতিল করা হবে এবং প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুনচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ২ ঘণ্টা আগে

আবেদনের ১১ ধাপ—

১. প্রথমে এইচএসসি , এসএসসি রোল নম্বর, মোবাইল নম্বর দিয়ে পাসওয়ার্ড নিতে হবে। পাসওয়ার্ড মোবাইল নম্বরে পাঠানো হবে।
২. লগইন করতে হবে।
৩. লগইন করার পরে Dashboard-এ যে সকল ইউনিটে পরীক্ষা দিতে পারবেন তার তালিকা আছে। যে ইউনিটে আবেদন করবেন “Click here to Apply” বাটনে ক্লিক করে আবেদন করতে হবে।
৪. ছবি এবং স্বাক্ষর আপলোড করতে হবে।
৫. Question version সিলেক্ট করতে হবে।
৬. পরীক্ষার কেন্দ্র (A এবং B ইউনিটের জন্য) সিলেক্ট করতে হবে।
৭. যদি কোটা থাকে কোটার ধরন এবং ফাইল আপলোড করতে হবে।
৮. bKash এবং Rocket-এর মাধ্যমে পেমেন্ট করতে হবে।
৯. পেমেন্ট করার পরে Final Submit করতে হবে।
১০. Final Submit পর আর কোন তথ্য আপডেট করা যাবে না।
১১. আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর লগআউট করতে হবে।

ভর্তিসংক্রান্ত সব তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুনহাজী দানেশের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি, ১৭৯৫ আসনের আবেদন শুরু ১৬ নভেম্বর১৩ নভেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ