মেয়ের জন্মের পর বাড়ে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির নির্যাতন, অভিযোগ চিকিৎসাধীন গৃহবধূর
Published: 19th, November 2025 GMT
রংপুরের তারাগঞ্জে যৌতুকের টাকা না পেয়ে এক গৃহবধূকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের বানিয়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ওই গৃহবধূ বর্তমানে তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
ভুক্তভোগী গৃহবধূর নাম আদুরী খাতুন (২০)। তিনি রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের বানিয়াপাড়া গ্রামের নাঈমুল ইসলামে স্ত্রী এবং মধুরামপুর চিকলীপাড়া গ্রামের আতাউর রহমানের মেয়ে।
নাঈমুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করলেও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার দাবি, যৌতুকের চাপ ও কন্যাসন্তান জন্মের পর থেকে আদুরীর ওপর নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায়।
আদুরীর পরিবার ও কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ২০২৩ সালে পারিবারিকভাবে আদুরী ও নাঈমুলের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় বরের পরিবারের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে যৌতুক বাবদ ৫ লাখ টাকা, ১ ভরি স্বর্ণালংকার ও ঘরের আসবাব কিনে দেন আদুরীর বাবা। বিয়ের এক বছর পর তাঁদের সংসারে একটি কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। কন্যাসন্তান হওয়ায় আদুরীর ওপর ক্ষিপ্ত হন নাঈমুল ও তাঁর পরিবারের লোকজন। নানা অজুহাতে তাঁরা আদুরীর ওপর নির্যাতন চালাতে শুরু করেন। একপর্যায়ে নাঈমুল ও তাঁর পরিবারের লোকজন আরও ১ লাখ টাকা যৌতুক আনার জন্য আদুরীকে চাপ দেন। সর্বশেষ গতকাল সকাল ৯টায় জমি কেনার অজুহাতে টাকা আনতে বলেন তাঁরা। এতে অস্বীকৃতি জানালে আদুরীকে মারধর করা হয়।
তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আদুরী খাতুন বলেন, ‘বিয়ের পর থেকে সংসার ভালোই চলছিল। মেয়েটা হওয়ার পর থেকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন আমার ওপর অসন্তুষ্ট। কথায় কথায় মারধর করে। বাবার বাড়ি থেকে যৌতুকের টাকা আনার জন্য চাপ দেয়। আমি রাজি না হওয়ায় নাঈমুল আমার মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। মারধরে সহযোগিতা করেছে শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুর।’
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নাঈমুল ইসলাম। তিনি মুঠোফোনে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো সঠিক নয়। আমার এক ভাবিকে মারধর করে আদুরীকে বাড়ি নিয়ে গেছে আমার শালা-শ্বশুরেরা।’
এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাননি বলে জানিয়েছেন তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ ফারুক। তিনি বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র পর ব র র ল কজন র ওপর ম রধর উপজ ল গ হবধ
এছাড়াও পড়ুন:
মেয়ের জন্মের পর বাড়ে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির নির্যাতন, অভিযোগ চিকিৎসাধীন গৃহবধূর
রংপুরের তারাগঞ্জে যৌতুকের টাকা না পেয়ে এক গৃহবধূকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের বানিয়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ওই গৃহবধূ বর্তমানে তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
ভুক্তভোগী গৃহবধূর নাম আদুরী খাতুন (২০)। তিনি রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের বানিয়াপাড়া গ্রামের নাঈমুল ইসলামে স্ত্রী এবং মধুরামপুর চিকলীপাড়া গ্রামের আতাউর রহমানের মেয়ে।
নাঈমুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করলেও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার দাবি, যৌতুকের চাপ ও কন্যাসন্তান জন্মের পর থেকে আদুরীর ওপর নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায়।
আদুরীর পরিবার ও কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ২০২৩ সালে পারিবারিকভাবে আদুরী ও নাঈমুলের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় বরের পরিবারের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে যৌতুক বাবদ ৫ লাখ টাকা, ১ ভরি স্বর্ণালংকার ও ঘরের আসবাব কিনে দেন আদুরীর বাবা। বিয়ের এক বছর পর তাঁদের সংসারে একটি কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। কন্যাসন্তান হওয়ায় আদুরীর ওপর ক্ষিপ্ত হন নাঈমুল ও তাঁর পরিবারের লোকজন। নানা অজুহাতে তাঁরা আদুরীর ওপর নির্যাতন চালাতে শুরু করেন। একপর্যায়ে নাঈমুল ও তাঁর পরিবারের লোকজন আরও ১ লাখ টাকা যৌতুক আনার জন্য আদুরীকে চাপ দেন। সর্বশেষ গতকাল সকাল ৯টায় জমি কেনার অজুহাতে টাকা আনতে বলেন তাঁরা। এতে অস্বীকৃতি জানালে আদুরীকে মারধর করা হয়।
তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আদুরী খাতুন বলেন, ‘বিয়ের পর থেকে সংসার ভালোই চলছিল। মেয়েটা হওয়ার পর থেকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন আমার ওপর অসন্তুষ্ট। কথায় কথায় মারধর করে। বাবার বাড়ি থেকে যৌতুকের টাকা আনার জন্য চাপ দেয়। আমি রাজি না হওয়ায় নাঈমুল আমার মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। মারধরে সহযোগিতা করেছে শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুর।’
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নাঈমুল ইসলাম। তিনি মুঠোফোনে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো সঠিক নয়। আমার এক ভাবিকে মারধর করে আদুরীকে বাড়ি নিয়ে গেছে আমার শালা-শ্বশুরেরা।’
এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাননি বলে জানিয়েছেন তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ ফারুক। তিনি বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।