এক ব্যক্তির আলমসাধু ভর্তি মাছ লুট করে বিক্রির অভিযোগে যশোরের মনিরামপুর বিএনপির দুই নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।  

সোমবার (২০ জানুয়ারি) জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাদের বহিষ্কারের তথ্য জানিয়েছেন। 

বহিষ্কৃতরা হলেন- মনিরামপুর উপজেলার নেহালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য মাহাবুবুর রহমান ও ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য রাজিব। বহিষ্কৃত এই দুই নেতা সাংগঠনিক কোনো কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকতে পারবেন না সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।  

আরো পড়ুন:

নেতাকর্মীদের বক্তৃতা ও স্লোগানের প্রশিক্ষণ দিতে হবে: ফখরুল

খুলনায় ছুরিকাঘাতে যুবদল নেতা নিহত

যশোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু বলেন, ‍“দলের কঠোর নির্দেশনা রয়েছে, কেউ দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজ করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার। উপজেলা বিএনপির সুপারিশে দুই নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দলের যেই হোক না কেন; দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজ করলেই আমরা বহিষ্কার করছি।’

বহিষ্কৃত ওই দুজনের বিরুদ্ধে গত শনিবার (১৮ জানুয়ারি) আলমসাধু ভর্তি মাছ লুট করে বিক্রির অভিযোগ ওঠে। তারা নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের মাছ ভেবে সেগুলো লুট করেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় রাজনীতিতে ব্যাপক তোলপাড় হয়। বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, মাছ লুটের তথ্য পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই নেহালপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতারা তা উদ্ধারে সক্রিয় হয়ে ওঠেন। 

ঘটনার পর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান জানান, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে মাহাবুব ও রাজিব নামে দুই জনকে মাছ লুটের সঙ্গে জড়িত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। পরে তাদের কাছ থেকে মাছ বিক্রির সব টাকা উদ্ধার করে মালিককে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছিলেন বিএনপির এই নেতা।

ঢাকা/রিটন/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব এনপ র সদস য ব এনপ র স ন ব এনপ ল ট কর

এছাড়াও পড়ুন:

জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ইইউ-ইসি বৈঠক সোমবার

জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রাক নির্বাচনী টিম নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠক করবে। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নির্বাচন ভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ভবনে ইসি সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে গত ১৯ আগস্ট ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার ইসির সঙ্গে বৈঠক করেন।

আরো পড়ুন:

জাতীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্য করতে পর্যবেক্ষক ও গণমাধ্যমকর্মীদের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা জরুরি

ইসি জানায়, আগামী নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনকে ৪ মিলিয়ন ইউরো সহায়তা দেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। আসছে নির্বাচন আন্তর্জাতিক মানের অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হওয়ার প্রত্যাশা রেখে সেপ্টেম্বরে তাদের বিশেষজ্ঞ পর্যবেক্ষক দল বাংলাদেশে এসেছে।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে আরো জানা যায়, নির্বাচন পর্যবেক্ষণে বাংলাদেশকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে ইইউ। গণতান্ত্রিক নির্বাচনের জন্য তারা সহায়তা করবে। গণতন্ত্রের সঙ্গে সবসময়ই আছে ইইউ। বাংলাদেশের নির্বাচনও তারা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে।

এজন্য নির্বাচন বিষয়ক শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে নির্বাচন কমিশন ও সুশীল সমাজের সঙ্গে তারা কাজ করবে। এছাড়া নির্বাচনে ডিসইনফরমেশন, মিসইনফরমেশন ও ডিজিটাল সমস্যা নিয়েও কাজ করতে চায় ইইউ।

আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি।

ঢাকা/আসাদ/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ