কোর্ট রিপোর্টার্স ইউনিটির নেতৃত্বে লিটন-মামুন
Published: 21st, January 2025 GMT
কোর্ট রিপোর্টার্স ইউনিটির (সিআরইউ) ১১ সদস্যের নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা হয়েছে। আগামী এক বছরের জন্য গঠিত এই কমিটিতে ডিবিসি নিউজের সিনিয়র রিপোর্টার লিটন মাহমুদকে সভাপতি ও রাইজিংবিডি ডটকমের স্টাফ রিপোর্টার মামুন খানকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) ঢাকার নিম্ন আদালত প্রাঙ্গণে সংগঠনের স্থায়ী কার্যালয়ে এক সাধারণ সভায় সংগঠনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট প্রশান্ত কুমার কর্মকার এ কমিটি ঘোষণা করেন।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন সহ-সভাপতি পদে ডেইলি স্টারের রিপোর্টার এমরুল হাসান বাপ্পী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে কালের কণ্ঠের নিজস্ব প্রতিবেদক মাসুদ রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে সকাল সন্ধ্যার নিজস্ব প্রতিবেদক অ্যাডভোকেট আরিফুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ পদে ঢাকা পোস্টের নিজস্ব প্রতিবেদক অ্যাডভোকেট নাইমুর রহমান নাবিল, দপ্তর সম্পাদক পদে জনবাণীর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক আজহারুল ইসলাম সুজন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে বিডিনিউজের নিজস্ব প্রতিবেদক মহিউদ্দিন খান রিফাত, তথ্য প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক পদে কালবেলার নিজস্ব প্রতিবেদক রকি আহমেদ।
এ ছাড়া বাংলানিউজের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক অ্যাডভোকেট খাদেমুল ইসলাম ও ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের নিজস্ব প্রতিবেদক তসলিম হোসেন (রনি) কমিটিতে কার্যনির্বাহী সদস্য হয়েছেন।
ঢাকা/মামুন/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
অ্যাওয়ে ‘অভিষেকে’ নাঈমের ফাইফার
২০১৮ সালে নাঈম হাসানের টেস্ট অভিষেক। ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সাদা পোশাকে পথচলা শুরু। সাত বছর পর নাঈমের দীর্ঘ এক অপেক্ষা ফুরাল। দেশের বাইরে প্রথম টেস্ট ম্যাচে বোলিংয়ের সুযোগ পেলেন তিনি। একটু ঘুরিয়ে হলেও বলা যায় অ্যাওয়ে ‘অভিষেক’। যেখানে ৫ উইকেট নিয়ে নাঈম নিজেকে প্রমাণ করেছেন।
একটু ঘুরিয়ে কেন সেটা খোলাসার প্রয়োজন। ২০১৯ সালে ইডেনে নাঈমের খেলার সুযোগ হয়েছিল। একাদশে থেকে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং করে ১৯ রান করেছিলেন। কিন্তু ২২ গজে হাত ঘোরানো হয়নি। ফিল্ডিংয়ে চোট পাওয়ায় নাঈম ছিটকে যান। ফলে তার অ্যাওয়ে ম্যাচে বোলিংয়ের অভিষেকের অপেক্ষা দীর্ঘ হয়। টেস্ট ক্যাপ পাওয়ার সাত বছর পর দেশের বাইরে প্রথম টেস্ট খেলেই বাজিমাত করলেন। ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফাইফারের স্বাদ পেলেন। ৪৩.২ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১২১ রানে ৫ উইকেট নেন এই অফস্পিনার।
আরো পড়ুন:
শ্রীলঙ্কার কড়া জবাব
ভারতের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের একাদশ ঘোষণা
এর আগে তিনবার ফাইফার পেয়েছেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রামে ৬ উইকেট পেয়েছিলেন যা তার ক্যারিয়ার সেরা। এছাড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আছে ৫ উইকেট পাওয়ার কীর্তি। সাত বছরের লম্বা ক্যারিয়ারে নাঈম ঘরের মাঠেও খুব বেশি ম্যাচ খেলেননি। এই ম্যাচের আগে তার টেস্টের সংখ্যা ছিল ১২টি। সব মিলিয়ে ১৩ টেস্টে তার উইকেট ৪৪টি।
এই ম্যাচেও তার খেলা হতো কিনা সেটাও বিরাট প্রশ্নের। দেশের মাটিতে বাংলাদেশ দুই ডান হাতি অফস্পিনার খেলানোর চিন্তা করতে পারে টিম ম্যানেজমেন্ট। মিরাজ ও নাঈম একই সঙ্গে খেলতে পারেন। দেশের বাইরে সেই পরিকল্পনা থেকে সরে আসে। ব্যাটিংয়ে এগিয়ে থাকায় মিরাজ হয়ে যান অটোমেটিক চয়েজ। ফলে নাঈমকে থাকতে হয় ডাগআউটে। থাকতে হয় সুযোগের অপেক্ষায়। এই টেস্টের আগে হঠাৎ মিরাজের জ্বর আসায় নাঈমের ভাগ্য খুলে যায়। অফস্পিনারের সুযোগ হয় হাত ঘুরানোর। সুযোগটি দারুণভাবে কাজে লাগিয়ে ফাইফারের স্বাদ পেয়ে গেলেন অ্যাওয়ে অভিষেকেই।
উইকেট ফ্ল্যাট। বল বিরতি দিয়ে ঘুরছে। সমান বাউন্সের উইকেট থেকে বাড়তি টার্ন ও বাউন্স পাওয়ায় নাঈমের বোলিং ছিল ধ্রুপদী। বাংলাদেশ ১০ রানের লিড পেয়েছে। নাঈমের ফাইফারের সুবাদেই মিলেছে এই সাফল্য। এই টেস্টে ফল পেতে হলে দ্বিতীয় ইনিংসেও অভাবনীয় পারফর্ম করতে হবে বোলারদের।
তার সঙ্গে তাইজুল ও মুমিনুল ১টি করে উইকেট পেয়েছেন। হাসান মাহমুদের পকেটে গেছে ৩ উইকেট।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল