কোর্ট রিপোর্টার্স ইউনিটির (সিআরইউ) ১১ সদস্যের নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা হয়েছে। আগামী এক বছরের জন্য গঠিত এই কমিটিতে ডিবিসি নিউজের সিনিয়র রিপোর্টার লিটন মাহমুদকে সভাপতি ও রাইজিংবিডি ডটকমের স্টাফ রিপোর্টার মামুন খানকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) ঢাকার নিম্ন আদালত প্রাঙ্গণে সংগঠনের স্থায়ী কার্যালয়ে এক সাধারণ সভায় সংগঠনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট প্রশান্ত কুমার কর্মকার এ কমিটি ঘোষণা করেন।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন সহ-সভাপতি পদে ডেইলি স্টারের রিপোর্টার এমরুল হাসান বাপ্পী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে কালের কণ্ঠের নিজস্ব প্রতিবেদক মাসুদ রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে সকাল সন্ধ্যার নিজস্ব প্রতিবেদক অ্যাডভোকেট আরিফুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ পদে ঢাকা পোস্টের নিজস্ব প্রতিবেদক অ্যাডভোকেট নাইমুর রহমান নাবিল, দপ্তর সম্পাদক পদে জনবাণীর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক আজহারুল ইসলাম সুজন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে বিডিনিউজের নিজস্ব প্রতিবেদক মহিউদ্দিন খান রিফাত, তথ্য প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক পদে কালবেলার নিজস্ব প্রতিবেদক রকি আহমেদ।

এ ছাড়া বাংলানিউজের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক অ্যাডভোকেট খাদেমুল ইসলাম ও ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের নিজস্ব প্রতিবেদক তসলিম হোসেন (রনি) কমিটিতে কার্যনির্বাহী সদস্য হয়েছেন।

ঢাকা/মামুন/এনএইচ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ডাকসু নেতার প্রবীণ ব্যক্তিকে লাঠি হাতে শাসানো নিয়ে সমালোচনা-বিতর্ক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ডাকসুর এক নেতার একজন প্রবীণ ব্যক্তিকে লাঠি হাতে শাসানোর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, ডাকসুর কার্যনির্বাহী সদস্য সর্বমিত্র চাকমা ওই ব্যক্তিকে লাঠি হাতে শাসাচ্ছেন এবং ক্যাম্পাস থেকে চলে যেতে বলছেন। ভিডিওতে আরও দেখা যায়, প্রক্টরিয়াল টিমের একজন সদস্য ওই ব্যক্তির ব্যাগে লাঠি দিয়ে কয়েকবার আঘাত করছেন।

গত মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। পরে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় সমালোচনা। অনেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবীণ এক ব্যক্তির সঙ্গে এমন আচরণের প্রতিবাদ জানান। আবার কেউ কেউ এ ঘটনার পক্ষে অবস্থান জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে সর্বমিত্র চাকমা ফেসবুকে লিখেছেন, ‘যে বৃদ্ধ লোকটিকে দেখছেন, আমি শুরুর দিন থেকে এই লোককে সেই মেট্রোস্টেশন থেকে তুলছি প্রতিরাতে। লোকটা ক্যাম্পাস ছেড়ে যায়-ই না, ওনার সাথে আরেকজন আরও বৃদ্ধ, উনিও মাদকাসক্ত। এই লোকের কাছে এর আগে একবার গাঁজা পাওয়া গেছিল। এই লোকগুলোকে তোলাটা অত্যন্ত কঠিন, তুললে আগায় ৪ কদম। তাই লাঠিসোঁটা ছাড়া বা ভয়-ভীতি প্রদর্শন না করে তাদের তোলা যায়–ই না।’

ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক এ বি জুবায়ের ফেসবুকে লিখেছেন, ‘ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে সর্বমিত্র যেই মুরুব্বিকে লাঠি হাতে শাসাচ্ছে, তিনি একজন মাদক কারবারি। বেশভূষা দেখে বোঝার উপায় না থাকলেও সত্য হচ্ছে, তিনি ক্যাম্পাস এরিয়ায় মাদক কারবারের সাথে জড়িত। তাকে বারবার উঠিয়ে দেওয়া হলেও তিনি ক্যাম্পাস এরিয়া ছাড়ছেন না। কারণ, এইখানে তার মাদকের কারবার!  সর্বমিত্রের নিজেই লাঠি হাতে নিয়ে মুরুব্বিকে শাসানোর এই অ্যাপ্রোচকে আমি ঠিক মনে করি না। প্রক্টরিয়াল টিমের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা নিলে ব্যাপারটা আরও সুন্দর হতো।’

ঘটনার সমালোচনা করেছেন ছাত্রদলের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল শাখার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইব্রাহিম হোসেন। ভিডিওটি ফেসবুকে শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, ‘বাবা, তুমি একটু শান্ত হও, তার হাঁটুর বয়সও হয়নি তোমার। ক্ষমতা পাইছ, তার মানে এই না যে অপব্যবহার করবে। সেদিন তো ছবি তোলা নিয়ে কত জ্ঞান দিলেন—মবের ছবি তোলা নিষিদ্ধ, আজকে কে যেন ভুলে ভিডিও করছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ