বিপিএলে সবার আগে সুপার ফোর নিশ্চিত করেছে রংপুর রাইডার্স। ঢাকা ও সিলেট পর্বের সবগুলো ম্যাচে জিতেছে তারা। চট্টগ্রাম পর্বেও ছিল জয়ের ধারায়। তবে দলের নবম ও চট্টগ্রাম পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে ২৪ রানে হেরেছে নুরুল হাসানের সোহানের দল। 

এই হারকে ‘এলার্মিং’ হিসেবে দেখছেন দলটির অধিনায়ক সোহান। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, কোন জায়গায় ভুল হয়েছে এটা সবার খুঁজে বের করতে হবে এবং সেই  অনুযায়ী কাজ করতে হবে। 

সোহান বলেন, ‘টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত আমরা ভালো খেলেছি। এই হারটা অবশ্যই দলের জন্য এলার্মিং। এখান থেকে কীভাবে জেতা যায় এটা সবার চিন্তা করতে হবে। ক্রিকেটটা এমন, ভালো খেলে জিততে হবে। আসলেন, জিতলেন এমন আশা করা ঠিক না। আমরা কোন জায়গায় ভুল করেছি, এগুলো নিয়ে সকলে কাজ করবো।’ 

দলের হারের জন্য পাওয়ার প্লে’তে ভালো খেলতে না পারাকে দায়ী করেছেন বিপিএলের আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজে গ্লোবাল সুপার কাপ জেতা সোহান। তার মতে, ব্যাটে-বলে পাওয়ার প্লেতে ভালো করতে পারেননি তারা, ‘আমরা পাওয়ার প্লেতে ভালো শুরু করিনি। ১৫ ওভারের পর রান চেক দিয়েছি। কিন্তু শুরুটা ভালো হয়নি। ব্যাটিংয়েও শুরুতে ভালো হয়নি। ব্যাটিং-বোলিং দুটোই বিপক্ষে গেছে।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব প এল

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ শুরু 

কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ। মহান মে দিবস উপলক্ষে ঢাকার নয়াপল্টনে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল আয়োজিত এ সমাবেশে হাজার হাজার নেতকর্মী উপস্থিত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে ওলামা দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কারী গোলাম মোস্তফার কোরআন তেলাওয়াত শুরু করেন।

এর আগে দুপুর ১২টা থেকে সমাবেশ মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়। এতে বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের শিল্পীরা গান পরিবেশন করেন। 

দুপুর আড়াইটায় আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল থেকেই মিছিল নিয়ে ঢাকা মহানগরী ও আশপাশের জেলা থেকে দলে দলে নেতাকর্মীরা যোগ দেন সমাবেশে।

নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে লন্ডন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশ মঞ্চে উপস্থিত আছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, সহ দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপুসহ বিএনপির সিনিয়র নেতারা। সমাবেশে শ্রমিক দলের পক্ষ থেকে তুলে ধরা হবে ১২ দফা দাবি। 

সমাবেশ স্থলে দেখা যায়, নেতাকর্মীরা ব্যানার, মাথায় নানা রঙের ক্যাপ, দলীয় টি-শার্ট পরে নয়পল্টনে আসছেন। জায়গায় জায়গায় চলছে স্লোগান, দলীয় সংগীত আর ঢাক-ঢোলের বাদ্য।

সমাবেশস্থলে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি উপস্থিত রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) আহ্বায়ক হেলাল খান, সদস্যসচিব জাকির হোসেন রোকন প্রমুখ।

এদিকে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সমাবেশস্থলে পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। জিরো পয়েন্ট থেকে পল্টনমুখী সড়ক সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা রাখা হয়েছে।

টানা চার মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের সরকার পতনের পর নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে প্রথম এতো বড় সমাবেশ করছে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল।

এর আগে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত বছরের ৮ আগস্ট প্রথম বাধাহীন সমাবেশ করে বিএনপি। এতে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন। পুরো এলাকায় ছিল উচ্ছ্বল নেতাকর্মীদের ভিড়।

ঢাকা/এএএম/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ