।। বাংলাদেশি কবির বিরল সম্মাননা ।।
Published: 30th, April 2025 GMT
আন্তর্জাতিক সাহিত্য সমন্বয় কেন্দ্র, কলকাতা, ভারত থেকে প্রকাশিত " দু হাজার বছরের সর্ববৃহৎ কাব্যগ্রন্থে বাংলাদেশি কবি অধ্যাপক আর. কে. শাব্বীর আহমদ'র অভিনব ও মৌলিক সৃষ্টি ' বহমান সময় ' কবিতার জন্য তাঁকে বিশ্বসাহিত্যের ইতিহাসে একজন সম্মানিত কবি হিসেবে ২০২৫ স্মারক সম্মানে ভূষিত করা হয়।
স্মারক সম্মানে ভূষিত কবি অধ্যাপক আর.
কবি পরিচিতি:
আর, কে, শাব্বীর আহমদ। জন্ম ১৯৫৭ সালে কুমিল্লা জেলার লাকসামে। পেশায় অধ্যাপক। অধ্যাপনা করেছেন, বাঙলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে ইকবাল মেমোরিয়াল কলেজ, ফেনী, ঢাকা। এম, এম, লাকসাম আলিয়া মাদরাসা, কুমিল্লা। এম.এম, সরকারি মাদরাসা আলিয়া, ঢাকা। বি.এ. অনার্স, এম.এ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
আশির দশক থেকে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও সাময়িক পত্র পত্রিকায়। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ১. ছিন্নপ্রেম ২. চেতনার দুয়ার গবেষণা গ্রন্থ ১. মহিলা বিষয়ক হাদিসে রাসুল স. ১ম খণ্ড ২. মহিলা বিষয়ক হাদিসে রাসুল স. ২য় খণ্ড ৩. আলকুরআনে নারী বিধান ৪. পর্দার বিধন ঘরে ও বাইরে সম্পাদনা গ্রন্থ অনেক আছে।
এছাড়াও তিনি একজন বিশিষ্ট গীতিকার, সুরকার ও কণ্ঠশিল্পীও। তাঁর মানবপ্রেম, প্রকৃতিপ্রেম, আল্লাহ ও রাসুলপ্রেম বিষয়ক এবং দেশাত্মবোধক গানের সংখ্যা শতাধিক। সাংগঠনিক ও সাহিত্য-সাংস্কৃতিক অবদানের জন্য উত্তর মানিকদিয়া প্লট মালিক সোসাইটির পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক লাভ।
ঢাকা সাহিত্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সম্মাননা পদক ও কবি সম্মাননা সনদ অর্জন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ গ রন থ
এছাড়াও পড়ুন:
সিলেটে সহপাঠীর সঙ্গে বেড়াতে যাওয়া স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ
সিলেটের জকিগঞ্জে সহপাঠীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে দশম শ্রেণির এক ছাত্রী (১৬) দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা প্রথমে দুই শিক্ষার্থীর ছবি ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন বলে এ ঘটনায় করা মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
গত শনিবার সকালে উপজেলার বারহাল ইউনিয়নের পরিত্যক্ত একটি ইটভাটায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরী আজ বুধবার সকালে জকিগঞ্জ থানায় মামলা করেছে।
মামলায় আসামি হিসেবে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁরা হলেন উপজেলার বারহাল ইউনিয়নের নিদনপুর গ্রামের ইমরান আহমদ (২৩), খিলগ্রামের তানজিদ আহমদ (১৮), মাইজগ্রামের শাকের আহমদ (২৪), একই গ্রামের শাকিল আহমদ (২১) ও মনতৈল গ্রামের মুমিন আহমদ (২০)।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী ২৬ জুলাই সকালে বারহাল ইউনিয়নের একটি পরিত্যক্ত ইটভাটায় এক সহপাঠীকে নিয়ে বেড়াতে যায়। সেখানে অভিযুক্ত পাঁচ তরুণ গোপনে তাঁদের ছবি ধারণ করেন। পরে ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেন। পরে দুজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ সময় অভিযুক্ত তরুণেরা দুই শিক্ষার্থীকে বিষয়টি কাউকে জানানো হলে তাঁদের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে ভয় দেখান।
এদিকে ঘটনার তিন দিন পর বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে এলাকার একটি পক্ষ বিষয়টি সালিস বৈঠকে মীমাংসার চেষ্টা করছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। তবে গতকাল মঙ্গলবার রাতে জকিগঞ্জ থানা-পুলিশ ওই স্কুলছাত্রীকে তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান–স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগ দিতে বিলম্ব ও বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ায় অভিযুক্ত তরুণেরা গা ঢাকা দিয়েছেন। এ ছাড়া জকিগঞ্জ ভারত সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় অভিযুক্ত তরুণেরা অবৈধ পথে সীমান্ত পাড়ি দিতে পারেন বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় লোকজন।
জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রাতে খবর পেয়ে পুলিশ ভুক্তভোগীকে তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে। আজ সকালে মামলা হওয়ার পর থেকে আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে।