Samakal:
2025-08-01@04:51:00 GMT

নিরাপদ লিডের খোঁজে বাংলাদেশ

Published: 22nd, April 2025 GMT

নিরাপদ লিডের খোঁজে বাংলাদেশ

সিলেট টেস্টের ফলাফল নিয়ে চর্চা শুরু হয়ে গেছে গতকালই। দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসা বাংলাদেশের প্রতিনিধি মুমিনুল হক আর জিম্বাবুয়ের প্রতিনিধি মুজারাবানির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল জয়-পরাজয়ে কত রানের ভূমিকা থাকবে। মুমিনুল ২৭০ থেকে ৩০০ রানকে নিরাপদ লিড দাবি করেন। মুজারাবানির মতে, ২০০ রানের টার্গেট তাড়া করা সম্ভব। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশকে ২৮২ রানের মধ্যে বেঁধে ফেলতে হবে জিম্বাবুয়েকে। সেখানে নিরাপদ লক্ষ্যে পৌঁছাতে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় ইনিংসে করতে হবে ৩৮২ রান। অর্থাৎ আজ চতুর্থ দিন ছয় উইকেটে আরও ১৮৯ রান করতে হবে নাজমুল হোসেন শান্তদের। খুব ভালো ব্যাটিং করতে না পারলে এ রান করা চ্যালেঞ্জিং। সেদিক থেকে দেখলে সিলেট টেস্ট পেন্ডুলামের মতো দুলছে।  

১ উইকেটে ৫৭ রানে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছিল বাংলাদেশ। বৃষ্টিবিঘ্নিত তৃতীয় দিন ৩ ঘণ্টা ২০ মিনিট ব্যাটিং করে সে স্কোর নিয়ে গেছে ১৯৪ রানে। ৪৪ ওভার খেলে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। মঙ্গলবার সকাল থেকে বৃষ্টি হওয়ায় দুপুর ১টায় তৃতীয় দিনের খেলা মাঠে গড়ায়। সেশন নির্ধারণ করা হয়েছিল ২ ঘণ্টা ২০ মিনিট করে। আলোস্বল্পতা দেখা দেওয়ায় ১ ঘণ্টা কম খেলা হয়। বিকেল ৫টায় দিনের খেলা শেষ করেন ম্যাচ অফিসিয়ালরা। আজ ১৫ মিনিট আগে সকাল পৌনে ১০টায় চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চালাতে চান আম্পায়াররা।  

সোমবারের দুই অপরাজিত ব্যাটার মাহমুদুল হাসান জয় (২৮) আর মুমিনুল হক (১৫) দিন শুরু করে বেশিক্ষণ জুটি অক্ষত রাখতে পারেননি। ১৯.

৫ ওভারে জুটি ভাঙে। ৩৩ রান করে মুজারাবানির বলে ক্যাচ আউট হন জয়। ৯৭ বলে ৬০ রানের জুটি দু’জনের। মুমিনুলের সঙ্গে শান্ত জুটি গড়েন দেখেশুনে খেলে। ৯১ বলে করেন ৬৫ রান। সেট হওয়ার পর দারুণ খেলছিলেন অভিজ্ঞ দুই ব্যাটার। ড্রেসিংরুম থেকে বড় রান আশা করা হয়েছিল জুটিতে। মুমিনুলের আত্মাহুতিতে সে স্বস্তি ভেস্তে যেতে বসে। মুজারাবানির লাফানো বল ব্যাটে চুমু খেয়ে ক্রেইগ আরভিনের হাতে। ৮৪ বলে ছয় চারে ৪৭ রান তাঁর। এর পরও সিলেট টেস্টের দলের একমাত্র ধারাবাহিক ব্যাটার তিনি। প্রথম ইনিংসের একমাত্র হাফ সেঞ্চুরিয়ান। মুমিনুলের পর মুশফিকুর রহিম এসে ৪ রান করে দলকে বিপদে ফেলে ড্রেসিংরুমে ফেরেন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুটি ডাবল সেঞ্চুরি করা মুশফিক সিলেট টেস্টে করেছেন আট (৪+৪) রান। ১৫৫ রানে চতুর্থ উইকেট পতনের পর জাকের আলী শান্তর সঙ্গে জুটি গড়ে স্বস্তি ফেরান। ৯২ বলে ৩৯ রানে অবিচ্ছেদ্য

তারা। শান্ত ১০৩ বলে ৬০ রান করেছেন। টেস্টের পঞ্চম হাফ সেঞ্চুরিকে সেঞ্চুরিতে নিয়ে যেতে চাইবেন টাইগার অধিনায়ক। কারণ এ জুটির ওপর নির্ভর করছে ইনিংসের ভবিষ্যৎ।
মুমিনুল হকের মতে, ‘টার্গেট ৩০০ রানের উপরে দিলে ভালো। ৩০০ না হলেও ২৭০ থেকে ২৮০ রান করতে হবে।’ বাকি ছয় উইকেটে এ লক্ষ্য দেওয়া সম্ভব বলে মনে করেন তিনি। কারণ টেলএন্ডে বোলাররা রান করতে পারেন। তিনি বলেন, ‘এসব জায়গায় আমাদের আরেকটু ক্যালকুলেটিভ ব্যাটিং করতে হবে। কালকে সকালে কঠিন হতে পারে। ক্রাঞ্চ মোমেন্টে আমাদের আরও লম্বা সময় মনোযোগ দিয়ে ব্যাটিং করতে হবে। ভালো জুটি গড়তে পারলে তিনশর কাছাকাছি যাওয়া সম্ভব।’ নিয়মিত ব্যাটাররা ব্যর্থ হয়ে রানের জন্য অপেক্ষা করেন বোলারদের ওপর। অথচ হওয়ার কথা উল্টো। ব্যাটাররা বড় ইনিংস গড়ে বোলারদের স্বস্তিতে ব্যাট করার সুযোগ দেবেন। কিন্তু তা হচ্ছে না। মুমিনুল স্বীকার করেছেন, সম্প্রতি ব্যাটিং ইউনিট বোলিং ইউনিটের মতো ভালো করতে পারছে না। জিম্বাবুয়ের মতো দ্বিতীয় টায়ারের টেস্ট দলের বিপক্ষেও ব্যাটিং ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে। অথচ বাংলাদেশ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপেই দুই বছরে ১২টি টেস্ট খেলেছে। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দলই খাবি খাচ্ছে জিম্বাবুয়ের কাছে।  

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র ন কর উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

স্টিভ জবসের মডেল কন্যাকে কতটা জানেন?

মার্কিন ফ্যাশন মডেল ইভ জবস। অ্যাপল কম্পিউটারের সহপ্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবসের কন্যা তিনি। স্টিভ জবস ও লরেন পাওয়েল জবস দম্পতির কন্যা ইভ।

কয়েক দিন আগে বয়সে ছোট প্রেমিকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ২৭ বছরের ইভ। তার বরের নাম হ্যারি চার্লস। যুক্তরাজ্যের নাগরিক হ্যারি অলিম্পিকে স্বর্ণপদকজয়ী অশ্বারোহী। বয়সে ইভের চেয়ে এক বছরের ছোট হ্যারি। গ্রেট ব্রিটেনে এ জুটির বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। 

 

ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইভের জাঁকজমকপূর্ণ বিয়েতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধনাঢ্য পরিবারের লোকজন। এ তালিকায় রয়েছেন—তারকা শেফ ব্যারনেস রুথ রজার্স, বিল গেটসের মেয়ে জেসিকা, রোমান আব্রামোভিচের মেয়ে সোফিয়া প্রমুখ। অ্যাপলের প্রতিষ্ঠাতা উত্তরাধিকারীর পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবদের বিলাসবহুল মিনিবাসের স্রোত বইছিল বিয়ের ভেন্যুতে।

 

জাকজমকপূর্ণ বিয়েতে কত টাকা খরচ হয়েছে তা নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা। সংবাদমাধ্যমটিকে প্রয়াত স্টিভ জবসের স্ত্রী লরেন পাওয়েল জবস বলেন, “ইভ-হ্যারির বিয়েতে ৫ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ হয়েছে (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯০ কোটি ২৮ লাখ টাকার বেশি)। 

 

১৯৯১ সালে লরেন পাওয়েলকে বিয়ে করেন স্টিভ জবস। এ সংসারে তাদের তিন সন্তান। ইভ এ দম্পতির কনিষ্ঠ কন্যা। ১৯৯৮ সালের ৯ জুলাই ক্যালিফর্নিয়ায় জন্ম। তার বড় বোন এরিন, ভাইয়ের নাম রিড। লিসা নামে তার একটি সৎবোনও রয়েছে।

 

ইভা পড়াশোনা করেছেন স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০২১ সালে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং সমাজ (সায়েন্স, টেকনোলজি অ্যান্ড সোসাইটি) বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। একই বছর প্যারিসে ‘কোপের্নি’ সংস্থার হাত ধরে মডেলিং দুনিয়ায় পা রাখেন। মডেলিং জগতে পা রেখেই চমকে দেন স্টিভ-তনয়া। 

 

অনেকে নামিদামি ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করেছেন ইভ। বিখ্যাত ব্যাগ প্রস্তুতকারী সংস্থা লুই ভিতোঁরের মডেল হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। মডেলিংয়ের পাশাপাশি অশ্বারোহী হিসাবেও খ্যাতি রয়েছে ইভের। এক সময় বিশ্বের ২৫ বছরের কম বয়সি ১ হাজার সেরা অশ্বারোহীর মধ্যে পঞ্চম স্থানে ছিলেন তিনি।

 

মাত্র ছয় বছর বয়সে ঘোড়ার পিঠে চড়ে দৌড় শুরু করেছিলেন স্টিভ জবস তনয়া। ঘোড়ায় চড়ার প্রশিক্ষণের পাশাপাশি মেয়ে যাতে পড়াশোনায় মন দেয়, সে দিকে বরাবরই সজাগ দৃষ্টি ছিল ইভের বাবা-মায়ের। তবে গ্রীষ্মাবকাশ ও বসন্তের ছুটির সময়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য বাবা-মায়ের অনুমতি পেতেন ইভ। 

 

ইভ যেখানে অশ্বারোহণের প্রশিক্ষণ নেন, সেই জায়গার মূল্য দেড় কোটি ডলার। ইভ প্রশিক্ষণ শুরু করার পর তার মা ওই জায়গা কিনে নিয়েছিলেন। তবে মডেল হওয়ার কোনো পরিকল্পনা কখনো ছিল না ইভের। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, “আগে কখনো মডেলিং করিনি। তবে প্রস্তাব পেয়ে ঘাবড়ে যাইনি। আমার মনে হয়েছিল, কেন নয়? এই প্রস্তাব আমাকে আকৃষ্ট করেছিল।”

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ