বিএসইসি চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি বিনিয়োগকারীদের
Published: 3rd, February 2025 GMT
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগের দাবিতে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের নিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএমআইএ)। এ সময় পুঁজিবাজার পতন রোধে তাৎক্ষণিক করণীয় হিসেবে বিনিয়োগকারীদের পক্ষ থেকে কয়েকটি দাবি জানানো হয়েছে।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলে ডিএসইর পুরাতন ভবনের সামনে এ প্রতিবাদ সমাবেশ শুরু হয়। এ সময় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিষ্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ (সাধারণ সম্পাদক এবি পার্টি)।
এ সময় সংগঠনটির সমন্বয়ক নুরুল ইসলাম মানিকের সভাপতিত্বে মুখপাত্র ফরিদ আহমেদ, এস এম ইকবাল হোসেনসহ অন্যান্য বিনিয়োগকারীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন:
ছয় মাসে লোকসানে ৬ কোম্পানি
সূচকের উত্থান, কমেছে লেনদেন
সম্মেলনে পুঁজি রক্ষার্থে এবং আগামীর বাংলাদেশে স্বচ্ছ ও একটি সুন্দর পুঁজিবাজার গঠনে মাকসুদের পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে।
সমাবেশে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা বলেন, “রাশেদ মাকসুদ অযোগ্য। তার শেয়ারবাজার নিয়ে জ্ঞান নাই। তারপক্ষে শেয়ারবাজার পরিচালনা করা সম্ভব না। তাই শেয়ারবাজারের স্বার্থে তার দ্রুত পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে।”
প্রতিবাদ সমাবেশে পুঁজিবাজার পতন রোধে তাৎক্ষণিক করণীয় হিসেবে দাবি-বিএসইসির চেয়ারম্যান ও আইসিবির চেয়ারম্যানকে দ্রুত অপসারণ করে নতুন যোগ্য চেয়ারম্যান নিয়োগ করে পুঁজিবাজারকে বাঁচাতে হবে। বর্তমান মার্কেট পরিস্থিতির কারণে গেইন-ট্যাক্স সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করতে হবে। বর্তমান মার্কেট পরিস্থিতির কারণে অযাচিত হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে (তদন্ত ও অসময়ে জেড গ্রুপে প্রেরণ বিষয়ে)।
পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানিকে জেড ক্যাটাগরিতে পাঠানোর বিধান সংস্কার করা প্রয়োজন। কারণ কোম্পানির জেড ক্যাটাগরিতে গেলে সর্বোপরি বিনিয়োগকারী ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কোম্পানিগুলোকে আয়ের নূন্যতম ৫০ শতাংশ লভ্যাংশ প্রদান করতে হবে। ব্যাংক, ফাইন্যান্স, ইন্স্যুরেন্স, মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও আইসিবিসহ পুঁজিবাজারে তাদের যতটুকু বিনিয়োগ করার কথা তা শতভাগ কার্যকর করতে হবে।
টাস্কফোর্সের সংস্কারগুলো মিডিয়ার মাধ্যমে বিনিয়োগকারী ও পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের দ্রুত জানাতে হবে। সংস্কারের নামে কালক্ষেপণ করে বিনিয়োগকারীকে ক্ষতিগ্রস্ত বা সর্বশান্ত করা হচ্ছে। কোম্পানিগুলোকে নূন্যতম শেয়ার ধারণ ৩০ শতাংশ অবিলম্বে কার্যকর করতে হবে। বিএসইসির দায়িত্ব অন্তত ১০টি মিউচ্যুয়াল ফান্ড দ্রুত সময়ের মধ্যে বাজার বিনিয়োগ নিয়ে আসা। পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানি পরপর দুই বছর লভ্যাংশ প্রদানে ব্যর্থহলে তার বোর্ড পুনর্গঠন করতে হবে। ফোর্স সেল বন্ধ করতে হবে।
ঢাকা/এনটি/এসবি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
হিমাদ্রির বোনাস লভ্যাংশ প্রদানে বিএসইসির অসম্মতি
পুঁজিবাজারে এসএমই প্ল্যাটফর্মে প্রকৌশল খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি হিমাদ্রি লিমিটেডের ঘোষিত বোনাস লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের প্রদানে অসম্মতি জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইবি)।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য মতে, হিমাদ্রি লিমিটেড ২০২৫ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করে। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী বিএসইসির অনুমতি ছাড়া কোনো কোম্পানি বোনাস লভ্যাংশ বিতরণ করতে পারে না। বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করে তা শেয়ারহোল্ডারদের মাঝে বিতরণের অনুমতি চেয়ে বিএসইসিতে আবেদন করে কোম্পানিটি। কিন্তু বিএসইসি হিমাদ্রি লিমিটেডের বোনাস লভ্যাংশ প্রত্যাখ্যান করেছে।
এদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রকাশিত কোম্পানির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৩০ জুন ২০২৫ তারিখে সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত হিসাবপত্রে অদৃশ্য সম্পদ, কর দায় এবং মূলধন সংরক্ষণী- সংক্রান্ত বিষয়ে নিরীক্ষকের আপত্তি বা শর্তযুক্ত মন্তব্য রয়েছে। এসব ঝুঁকি দূর না হওয়া পর্যন্ত বোনাস শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে পরিশোধিত মূলধন বাড়ানোর অনুমোদন দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে বিএসইসি।
এর ফলে হিমাদ্রি লিমিটেডের ঘোষিত ১০০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড আপাতত আটকে গেল। সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীরা বলছেন, আর্থিক বিবরণীর অসঙ্গতি দূর করে স্বচ্ছতা নিশ্চিত না হলে কোম্পানির মূলধন কাঠামো আরো ঝুঁকিতে পড়বে।
হিমাদ্রি লিমিটেড জানিয়েছে, নিরীক্ষকের আপত্তিগুলো পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় সংশোধনী কার্যক্রম গ্রহণের বিষয়ে বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে।
ঢাকা/এনটি/ইভা