ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেছেন, “পুঁজিবাজারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে কাজ করে যাচ্ছে। মার্কেট ইন্টারমিডিয়ারিজ হিসেবে আমরা বলেছি, বাজারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বজায় রাখতে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হবে।”

সোমবার (২৮ জুলাই) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সিকিউরিটিজ কমিশন ভবনে পুঁজিবাজার অংশীজনের (স্টেকহোল্ডার) নিয়ে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড.

আনিসুজ্জামান চৌধুরী; সভাপতিত্ব করেন বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।

রাতে সভার বিষয়ে তথ্য দেন সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, “সমন্বয় সভায় অত্যন্ত ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।”

আরো পড়ুন:

ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের দুই পরিচালক কিনছেন পৌনে ১৮ লাখ শেয়ার

নগদ লভ্যাংশ পাঠিয়েছে শাহজালাল ব্যাংক

তিনি ববলেন, “সভায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সভায় বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদসহ অন্য কমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন। আর পুঁজিবাজারের সব স্টেকহোল্ডার সভায় উপস্থিত ছিলেন। ফলে এই সমন্বয় সভায় ওয়াইড রেঞ্জ অব ডিসকাশন ছিল। বিএসইসি অত্যন্ত সহযোগিতামূলক আচরণ করেছে। সভায় আমরা প্রতিটি ইস্যুই অ্যাড্রেস করার চেষ্টা করেছি। পাশাপাশি সমসাময়িক ও গোয়িং ফরওয়ার্ড ইস্যু নিয়েও আলোচনা হয়েছে।”

“এ ছাড়া মার্কেটে কী কী সমস্যা রয়েছে যেমন- নেগেটিভ ইক্যুইটি, ইনভেস্টেবল স্টক কম, সাপ্লাই সাইট শক্তিশালী করা এবং মার্কেটে গভর্নেন্স নিশ্চিত করার বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে,” বলেন সাইফুল ইসলাম।

ডিবিএ সভাপতি বলেন, “বিভিন্ন যুগোপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে পুঁজিবাজারকে আজকে এ অবস্থায় নিয়ে আসার জন্য সভায় ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী ও খন্দকার রাশেদ মাকসুদকে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সবার পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানিয়েছি। বর্তমানে মার্কেটে যে মোমেন্টাম এসেছে, সেটা আমরা ধরে রাখতে চাই এবং সেটাকে আরো এগিয়ে নিতে চাই।”

তিনি আরো বলেন, “আগে দেওয়া নির্দেশনার ব্যাপারে কাজ হচ্ছে। বিএসইসি ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ফলে আমরা কিছু ডেভেলপমেন্ট দেখতে পাচ্ছি। আমরা মার্কেটকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। অমরা বাজারের লেনদেনটাকে আরো বাড়াতে এবং ইনডেক্সটাকে ধরে রাখতে চাই।”

সমন্বয় সভায় আইসিবির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ডিএসই ও সিএসইর চেয়ারম্যান, ডিবিএ সভাপতি, বিএমবিএ সভাপতি, বিএপিএলসি সভাপতি, সিডিবিএল সিইও, সিসিবিএল চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক, পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্স, আইসিবি এএমসিএল সিইও, ভিআইপিবি এএমসিএল সিইও এবং বিএসইসির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/এনটি/রাসেল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপস থ ত ছ ল ন ব এসইস

এছাড়াও পড়ুন:

পুঁজিবাজারে বড়-মাঝারি বিনিয়োগকারী বেড়েছে : বিএসইসি

পুঁজিবাজার থেকে সাম্প্রতিক সময়ে বিনিয়োগকারী বেরিয়ে যাওয়ার কথা বলা হলেও পরিসংখ্যানে এর বিপরীত চিত্রই উঠে এসেছে। ২০২৪ সালের ৩০ জুনের তুলনায় ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সময়ে অতি ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীর সংখ্যা কিছুটা কমলেও বড় ও মাঝারি বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বেড়েছে। ফলে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা নয় বরং তাদের বিনিয়োগক্ষমতার ধরণ ও মান বদলেছে। তাই পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা কিংবা বিনিয়োগ কমছে এমন তথ্য সম্পূর্ণ সত্য নয় বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিএসইসি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানান হয়েছে, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা অথবা বিও হিসাবের সংখ্যা কিংবা বিনিয়োগ কমছে এমন বক্তব্য সাম্প্রতিক সময়ে পরিলক্ষিত হয়েছে। কিন্তু বিষয়টি মূলত সম্পূর্ণ সত্য নয়। মূলত বিগত বছরের তুলনায় পুঁজিবাজারে বৃহৎ বিনিয়োগকারীর (৫০ কোটি হতে ৫০০ কোটি টাকা এবং তদুর্ধ্ব পোর্টফোলিও ভ্যালুসম্পন্ন) সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।

আরো পড়ুন:

পুঁজিবাজারে টানা ৩ কার্যদিবস সূচকের পতন

বিএসইসি ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে কাজ করছে: ডিবিএ সভাপতি

পাশাপাশি বিগত বছরের তুলনায় মাঝারি বিনিয়োগকারীর (৫০ লাখের ঊর্ধ্বে ও ৫০ কোটি টাকার নিম্নের পোর্টফোলিও ভ্যালুসম্পন্ন) সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। একইসঙ্গে বিগত বছরের তুলনায় ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীর (১ লাখের ঊর্ধ্বে ও ৫০ লাখের টাকার নিম্নের পোর্টফোলিও ভ্যালুসম্পন্ন) সংখ্যাও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

তবে বিগত বছরের তুলনায় অতি ক্ষুদ্রবিনিয়োগকারীর (১ লাখ টাকার নিম্নের পোর্টফোলিও ভ্যালুসম্পন্ন) সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। অর্থ্যাৎ অতি ক্ষুদ্রবিনিয়োগকারীর (১ লাখ টাকার নিম্নের পোর্টফোলিও ভ্যালুসম্পন্ন) সংখ্যা ব্যতীত অন্য সকল ক্ষেত্রেই উন্নতি হয়েছে।

পোর্টফোলিও ভ্যালু ৫০ কোটি টাকার বেশি এমন বৃহৎ বিনিয়োগকারীর সংখ্যা ২০২৫ সালের জুনে দাঁড়িয়েছে ৭৩৩ জন, যা আগের বছর ছিল ৬৯৬। আর ৫০০ কোটির ঊর্ধ্বে পোর্টফোলিওধারীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭০, যা আগের বছর ছিল ৬৮।

মাঝারি বিনিয়োগকারীদের ক্ষেত্রেও ইতিবাচক প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। ৫০ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ রয়েছে এমন মাঝারি বিনিয়োগকারীর সংখ্যা ২০২৫ সালে দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজার ২২৫ জন, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ১ হাজার ৩১৮ জন বেশি।

তবে বিপরীত চিত্র রয়েছে ১ লাখ টাকার নিচে বিনিয়োগ রয়েছে এমন অতি ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। তাদের সংখ্যা ২০২৪ সালের ৯ লাখ ১৬ হাজার ১৫৭ থেকে কমে ২০২৫ সালে দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ৩১ হাজার ৭৪৮ জন। অর্থাৎ প্রায় ৮৫ হাজার বিনিয়োগকারী ১ লাখ টাকার নিচের পোর্টফোলিও থেকে সরে এসেছেন বা বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেছেন। 
 

ঢাকা/এনটি/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিএসইসির নতুন কমিশনার সাইফুদ্দিন
  • পুঁজিবাজারে বড়-মাঝারি বিনিয়োগকারী বেড়েছে : বিএসইসি
  • ‘পুঁজিবাজারে ভালো কোম্পানি তালিকাভুক্তিতে কাজ করছি’
  • বিএসইসিতে পুঁজিবাজার অংশীজনদের নিয়ে সমন্বয় সভা সোমবার
  • অনলাইন আইপিও আবেদন নিয়ে পাইলট টেস্টিং-প্রশিক্ষণ