চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় কেরুজ চিনিকল এলাকা থেকে তিনদিনের ব্যবধানে ছয়টি বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার করা হয়েছে। এবার একই স্থানে চারটি বোমাসদৃশ বস্তুর সন্ধান মিলেছে।

রোববার দুপুর ২টার দিকে কেরুজ শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী জয়নাল আবেদীন নফরের আনন্দবাজারস্থ সংগঠন কার্যালয়ের পেছন থেকে এগুলো উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে চিনিকল পল্লীতে।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে কেরুজ ক্লাবের পাশে লাল টেপ দিয়ে মোড়ানো একটি বোমাসদৃশ বস্তু পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী, র‌্যাব ও বিজিবির প্রতিনিধিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে রাজশাহী-৫ র‌্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের একটি টিম এসে তা নিস্ক্রিয় করে।

এদিকে কেরুজ চিনিকল এলাকায় একের পর এক বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার হওয়ায় চুয়াডাঙ্গা সহকারী পুলিশ সুপার জাকিয়া সুলতানার নেতৃত্বে চুয়াডাঙ্গা গোয়েন্দা পুলিশ, দর্শনা থানা পুলিশ, চুয়াডাঙ্গা সেনাবাহিনী ও কেরুজ নিরাপত্তাকর্মীদের সমন্বয়ে তল্লাশি দল গঠন করা হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: চ ন কল

এছাড়াও পড়ুন:

ঘোষণাপত্রে সংবিধান নিয়ে প্রশ্ন তোলার প্রতিবাদ গণফোরামের

জুলাই ঘোষণাপত্রে ১৯৭২–এর সংবিধান প্রণয়নপদ্ধতি এবং সাংগঠনিক কাঠামোগত দুর্বলতা নিয়ে যে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, তাতে তীব্র ক্ষোভ, নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে গণফোরাম। বুধবার বিকেলে গণফোরাম সভাপতি পরিষদের এক সভায় এ নিন্দা জানানো হয়। গণফোরামের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গণফোরামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুব্রত চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান, সভাপতি পরিষদের সদস্য জগলুল হায়দার আফ্রিক, মোশতাক আহমেদ, মেজবাহ উদ্দিন, সেলিম আকবর, সুরাইয়া বেগম, শাহ নূরুজ্জামান প্রমুখ।

সভায় নেতারা বলেন, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণা এবং ১০ এপ্রিলের প্রক্লেমেশন অব ইনডিপেনডেন্টের ভিত্তিতে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা এবং স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর এর ধারাবাহিকতায় ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের সংবিধান রচিত হয়। দীর্ঘ ৫৩ বছরে কোনো রাজনৈতিক দল বা সরকার ’৭২–এর সংবিধানের প্রণয়নপদ্ধতি নিয়ে কখনো প্রশ্ন উত্থাপন করেনি।

সংবিধান সময়ের প্রয়োজনে জন আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী সংশোধন, সংযোজন ও পরিমার্জন হতে পারে উল্লেখ করে সভায় বলা হয়, সংবিধানের প্রণয়নপদ্ধতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হলে মুক্তিযুদ্ধকেই বিতর্কিত করা হয়। একমাত্র মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী শক্তিই বিভিন্ন সময়ে মুক্তিযুদ্ধ এবং ’৭২–এর সংবিধান নিয়ে প্রশ্ন তুলে থাকে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ’৭২–এর সংবিধানের প্রণয়নপদ্ধতি এবং কাঠামোগত দুর্বলতা নিয়ে জুলাই ঘোষণাপত্রে বিতর্ক সৃষ্টি করার কারণে মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই–আগস্ট গণ–অভ্যুত্থানকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে ফেলেছে।

গণফোরামের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘শুধু ৭২ সালের সংবিধানকে দায়ী করে পরবর্তী সরকারগুলোর রাষ্ট্র পরিচালনার ব্যর্থতাকে আড়াল করার হীন মানসিকতা পরিলক্ষিত হয়েছে। রাষ্ট্র পরিচালনায় রাজনৈতিক দলের ব্যর্থতাকে কোনোভাবেই সংবিধানের ওপর চাপিয়ে দেওয়া যুক্তিসংগত হবে না।’

জুলাই ঘোষণাপত্র তৈরি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতামত গ্রহণে বৈষম্য করা হয়েছে বলেও অভিযোগ গণফোরামের। দলটির নেতারা বলেন, বৈষম্যহীন রাষ্ট্রব্যবস্থা গঠনের দাবিতে জুলাই গণ–অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে। জুলাই ঘোষণাপত্রে ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রব্যবস্থার কোনো রূপরেখা স্থান পায়নি। জুলাই ঘোষণাপত্রে একতরফা, পক্ষপাতদুষ্ট ও ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টা লক্ষণীয়। অন্যদিকে ৩৬ জুলাই উদ্‌যাপন অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি করা হয়েছে, যা কাম্য নয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ